বিরম্বনার দিন
হ্যালো বন্ধুরা,
পবিত্র মাহে রমজানের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সবাইকে। সেই সাথে এই পবিত্র রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রাখার সাথে সাথে সকলে যেন সুস্থ ও সুন্দর থাকেন সেই প্রত্যাশা করছি। আর আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন আমিও যেন এই পবিত্র মাহে রমজানের ৩০ টি রোজা সম্পন্ন করে সুস্থ ও সুন্দর থাকতে পারি। যাইহোক বন্ধুরা,আজ আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর এই পোস্ট হচ্ছে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি বিরম্বনার দিন।
আমার মেয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক জন ছাত্রী। আর তাই তাদের স্কুল থেকে একদিন বনভোজনের আয়োজন করেছিল। আমিও সেদিন আমার মেয়েকে বনভোজনে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে তৈরি করে স্কুলে পাঠিয়েছিলাম। তাকে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে আমি নিজেও আমার স্কুলে চলে গিয়েছিলাম। আমার স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমার কাছে হঠাৎ করে, একজন গার্ডিয়ান এর ফোন আসে।
তিনি আমাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করেন আমি লামিয়ার মামনি কিনা। আর আমিও সেইমাত্র বলে দেই হ্যাঁ আমি তো লামিয়ার মামনি। তখন সেই গার্ডিয়ান আমাকে বলে আপনি দ্রুত স্কুলে চলে আসুন আপনার মেয়ে ভীষণ অসুস্থ। আমি সেদিন ফোনটি পেয়ে মানসিকভাবে খুবই চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
কেননা মেয়েকে আমি সাজিয়ে গুজিয়ে তৈরি করে দিয়ে এসেছি বনভোজনের যাওয়ার জন্য। অথচ এখন ফোন দিয়ে বলছে আমার মেয়ে অসুস্থ। তাই আকাশটা যেন আমার মাথায় আছড়ে পড়েছিল। তাই আমি খুবই হন্তদন্ত হয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
কিন্তু আমি যখন স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তখন যেন স্কুলের ভিন্ন চিত্র দেখতে পেলাম। স্কুলের ভেতরটা একদম ফাঁকা,কোথাও কেউ নেই। আর যে নাম্বার থেকে আমার কাছে ফোন এসেছিল সে নাম্বারটিও বন্ধ। আমি স্কুলের এরকম পরিবেশ দেখে একদম হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর স্কুলের একজন ক্লাস টিচারের সাথে দেখা হয়ে গেল।
তাই টিচারকে দেখা মাত্রই আমি জিজ্ঞেস করলাম আমাকে কেউ একজন ফোন দিয়ে বলল আমার মেয়ে ভীষণ অসুস্থ, তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ। আর স্কুলে এসে দেখি স্কুল একদম ফাঁকা। তখন ক্লাস টিচার আমাকে বলল, যে অসুস্থ হয়েছে সে খ শাখার লামিয়া আমার মেয়ে নয়।
তখন আমি কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। যাক আমার মেয়ে তাহলে সুস্থ। তবে খারাপ লাগলো আমার মেয়ের পরিবর্তে অন্য একজন ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে। তখন আমি সেই ক্লাস টিচারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফেরার চিন্তাভাবনা করেছিলাম।
আর তখনই মনে হল এই স্কুলে আমি অনেকবার এসেছি তবে কখনো এরকম ছাত্রী শুন্য পরিবেশ দেখিনি। তাই কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে রেখে দিয়েছে আমার মোবাইল ফোনে। আর সেই ফটোগ্রাফি গুলো আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
সেদিন যখন আমি ফোন পেয়েছিলাম মেয়ের অসুস্থতার কথা শুনে আমি খুব দ্রুত অটোতে করে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আর যতক্ষণ স্কুলে পৌঁছাইনি ততক্ষণ পর্যন্ত আমার মানসিক চিন্তা যেন ধীরে ধীরে আমাকে গ্রাস করে ফেলেছিল। কেননা কোন বাবা মা তার সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনলে স্থির থাকতে পারে না।
আর আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সেই দিনটি আমার খুবই বিড়ম্বনায় কেটেছে, আর আমার বিরম্বনার দিনটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত আপনারা সকলে অনেক অনেক ভাল ও সুস্থ থাকুন।
মা বাবা সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনলে ঠিক থাকতে পারেনা। যতক্ষণ না পুরো পরিস্থিতিটা ভালোমতো দেখছে ততক্ষণ মানসিক অশান্তি যেন দূর হতে চায় না।
যাই হোক আপনার মেয়ে অসুস্থ হয়নি। এটা শুনে অনেক ভালো লাগছে। এই পোস্টটি করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু ।ভালো থাকবেন।
হঠাৎ করে এমন খবর শুনলে সব বাবা-মা হতাশ হয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক যাইহোক আপনার মেয়ে অসুস্থতা হয়নি এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনার মেয়ে সব সময় সুস্থতা দান করুক অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া, অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Wow amiga entiendo tu desesperación, ningún padre quiere que su hijo se enferme, gracias a Dios solo fue una confusión, da tristeza saber que hay otra niña enferma en la escuela, aunque los maestros deberían de tener más cuidado a la hora de llamar a un padre, ya que sufrir una angustia por una equivocación no es bueno.
Te deseo muchas bendiciones 😊
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।