সাহসিকতার নামই জীবন
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি গত এক পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম যে আমি ভীষণভাবে অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে গেয়েছিলাম ডাক্তার আমাকে কিছু ওষুধ এবং কয়েকটা টেস্ট দিয়েছিল আমি টেস্টটা আজকে করতে গিয়েছিলাম।আমার সাথে ছিল আমার মেয়ে,এবং কথা ছিল আমার হাজব্যান্ড আমাকে বাইকে করে নামায় দিয়ে আসবে হসপিটালে কিন্তু তা আর হলো না আমার হাজব্যান্ডকেও আমার সাথে থাকতে হলো, কি কারনে থাকতে হলো গল্পটি সম্পন্ন পড়লে অবশ্যই জানতে পারবেন তো চলুন দেরি না করে শুরু করে আজকের গল্প।
আমি সকালবেলা উঠে তাড়াতাড়ি করে নাস্তা রেডি করে আমার হাজব্যান্ডকে ঘুম থেকে ডাকলাম।আমার হাজব্যান্ড উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।হাজব্যান্ড আমাকে বলল তুমি নাস্তা সেরে মেয়েকে রেডি করে নিয়ে আমাকে কল দিও আমি চলে আসবো তোমাকে হসপিটালে নামিয়ে দিয়ে আসবো। আমি বললাম ঠিক আছে তুমি যাও আমি রেডি হয়ে আসতেছি।এরপর আমি রেডি হয়ে মেয়েকে নিয়ে নিচে নামলাম। আমার হাজব্যান্ড কে কল দিলাম আমার হাসবেন্ড চলে আসলো তিনজন মিলে বাইকে করে আমরা হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। হসপিটালে যাওয়ার পর আমার হাসবেন্ড আমাকে বলল ঠিক আছে তুমি তাহলে সব পরীক্ষাগুলো করে আমাকে কল দিও আমি আবার এসে তোমাকে নিয়ে যাব।
কিন্তু আমি আমার হাজব্যান্ড কে বললাম আমি তো চিনি না কোথায় কোথায় এই সবগুলো টেস্ট করাতে হয় তুমি থাকলে একটু ভালো হতো তুমি কি থাকতে পারবা?আমার হাজব্যান্ড কিছু না ভেবে বলল ঠিক আছে চলো তাহলে আমি তোমার সাথেই থাকি। এই সময়টা আমার এত বেশি ভালো লাগছিল যে কি বলবো একটা মনে হয় বিরাট টেনশন থেকে মুক্তি পেলাম।প্রথমেই রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য একটা হাসপাতালে গেলাম। আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু রক্ত দেওয়ার পর খুব একটা সমস্যা হয়নি। এরপর, আমরা আরেকটি বিল্ডিংয়ে গেলাম, যেখানে মাথার এক্সরে করানোর কথা ছিল। সেখানেই আমার ভীষণ ভয় লাগছিল। জানি না কেন, তবে যখন সেই এক্সরে মেশিনের কাছে গেলাম, বুকের ভেতরটা কেমন জানি দুরুদুরু করতে লাগল।এক্সরে শুরু করার পর, যে আপুটা আমাকে সাহায্য করছিল, সে খুবই সুন্দরভাবে মাথায় এক্সরে করালো।
যখন মেশিনটি কাজ করতে শুরু করলো, তখন বুকের ভেতর ভয় আরো বাড়তে লাগল। আমি বার বার আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম, যেন কোনো সমস্যা না হয়।আমার মেয়েটা আমার হাজব্যান্ডের সাথে বাইরে অপেক্ষা করছিল, কারণ সেখানে পুরুষদের প্রবেশ অনুমতি ছিল না। একদিকে মেয়েটার কথা ভাবছিলাম, আর অন্যদিকে নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।সবশেষে, এক্সরে শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আমি কিছুটা স্বস্তি পেলাম।সেখানকার ডাক্তার বলল যে আগামীকাল রিপোর্টগুলো নিয়ে যাবেন।এখন চিন্তা হচ্ছে সত্যি রিপোর্ট গুলো ভালো আসবে তো? যাই হোক সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যে এই গ্রুপ গুলো যেন সব ঠিকঠাক থাকে। এবং আমি যেন তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠি। এরপর আমি আমার হাজব্যান্ড কে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।আমার হাজবেন্ড আমাদের নিচে পর্যন্তই নামিয়ে দিয়ে আবার অফিসে চলে গেল। শেষমেশ, আমার হাজব্যান্ড আমাকে পুরোটা সময় সঙ্গ দিয়েছিলেন, যা আমাকে অনেক সাহস দিয়েছিল।
আমি কৃতজ্ঞ তার জন্য, যিনি শুধু আমাকে সঙ্গ দিয়েছেন, বরং পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাকে একা না ফেলে পাশে ছিলেন।
এটা ছিল আজকের অভিজ্ঞতা । শারীরিক সমস্যা আমাদের জীবনের এক অংশ, তবে সঠিক পরামর্শ, সাহস এবং পরিবারের সঙ্গের মাধ্যমে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারি।আজ তাহলে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Regards
@isha.ish(Moderator)
Incredible India
Date:-10/2/2025
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন আপনাকে খুব দ্রুত সুস্থতা দান করেন৷ দোয়া করি যাতে আওনার সকল রিপোর্ট গুলো পজিটিভ আসে। নিজের এবং বাচ্চার প্রতি খেয়াল রাখবেন৷ ধন্যবাদ আপনাকে অসুস্থতার মাঝেও পোষ্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
জীবন মানে ই একটা যুদ্ধ কেন্দ্র যেখানে মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি আসে যে পরিস্থিতি মোকাবেলা সত্যি অনেক বেশি সাহসের প্রয়োজন।।
আপনার একটা পোস্ট দেখেছিলাম অসুস্থতার কথা।। আর আজকে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন এবং বেশ কিছু টেস্ট দিয়েছে।। সত্যি কথা বলতে ভালোবাসার মানুষগুলো কাছে থাকলে অনেক বেশি সাহস পাওয়া যায়।। দোয়া করি আপনার রিপোর্ট গুলো যেন ভালো আসে।।
সত্যি ভাইয়া আপনি একটি চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের জীবনটাই হচ্ছে যুদ্ধের একটা ময়দান এই ময়দানে আপনি যদি সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারেন তাহলে আপনি সফল সাহসিকতার নাম জীবন নয় সাহসী হয়ে মনের মধ্যে সাহস নিয়ে এগিয়ে চলার নাম হচ্ছে জীবন আপনি একটা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন তবে আপনার মধ্যে অনেকটা ভয় ছিল।
আমি মনে করি সেই পুরুষ হচ্ছে উত্তম যেই পুরুষ নিজের স্ত্রীর বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনি ভয়ে ছিলেন কিন্তু আপনার হাসবেন্ড আপনাকে রেখে এক মিনিটের জন্য কোথাও যায়নি এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো আপনাদের ভবিষ্যৎ জীবন অনেক বেশি সুন্দর হোক এটাই কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ভালো থাকবেন।