গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি পেশা ফেয়িওয়ালা।Feiwala is a traditional profession of rural Bengal.
হরেকরকম জিনিস |
---|
Hello everyone
সবাই কে সেখানে আছেন,যে ভাবেই আছেন, ভালো আছেন সুস্থ আছেন।সেই প্রত্যাশা রেখেই আমি আমার লিখায় হাত রাখছি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও
আপনাদের সংশ্পশে ভাল আছি।
গ্রাম বাংলায় বাহারি পেশার লোকজন রয়েছে।এর মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা হচ্ছে ফেরিওয়ালা।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে তারা তাদের পন্য সামগ্রী বিক্রি করে তাঁর তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
ফেরিওয়ালা:- |
---|
যারা ভিবিন্ন পন্য গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদেরকে ফেরিওয়ালা বলা হয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সাথে তাদের একটি
ভাব হয়ে যায়। তাই তারা বয়স ভেদে একেক জনকে একেক রকম সম্বন্ধন করে ডাকে।তাদের কাছ থেকে গ্রামের সহজ-সরল মহিলারাই তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করে থাকেন। তাই পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গেই তাদের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।
ঐতিহ্যবাহী পেশা |
---|
এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা হিসেবে পরিচিত।কারন এই পেশা সুদীর্ঘ কাল ধরে প্রচলিত আছে। এখানো দেখা মিলে তবে আগে তুলনায় অনেক কম।কারন হিসেবে বলতে গেলে বলা যায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সমগ্র জায়গায়।এখন প্রতিটি উপজেলায়
অতি আধুনিক প্রযুক্তির মার্কেট গড়ে উঠেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ফলে, খুব সহজেই তারা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারছে। এমনকি মানসম্মত জিনিস পত্র তারা তাদের হাতের নাগালে পাচ্ছে। তাই ক্রমশ এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ছে।
বিলুপ্তির পথে
এই পেশা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমি একটি পরিবারিক অনুস্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম
আমার দাদু বাড়ি কুমিল্লায়।আমার মেজ চাচি চুরি,বেন্ট কিনার জন্য এই ফেরিওয়ালাকে ডাকে তখন আমি একটু আগ্রহ নিয়েই সামনে এগিয়ে যাই।
উদ্দেশ্যে ওনার অনুমতি নিয়ে কয়েকটি ছবি তোলে নিব। আপনাদের সাথে শেয়ার করর আর আমার শৈশব স্মৃতির একটি অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
শৈশবের একটি আনন্দঘন মূহূর্ত |
---|
আমার বাবা প্রায় প্রতিটি ঈদেই দেশে যান,পরিবার পরিজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য।
তো আমার দাদু জানে যে, আমি আসব,তাই তিনি ফেরিওয়ালা কে বলে দিত যে,ঐ দিন আপনি আসবেন, আমার নাতি আসবে ঈদ করতে তার জন্য নেলপলিশ,লিবিস্টীক,চুড়ি,ক্লিপ,কিনব। ভদ্র লোক ঐ
দিনই আসতেন,তখন আমার দাদু সব কিছু কিনে দিতেন। আমি তো ছোট মাছ দু'চোখ দেখতাম সব নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে লাফাতে লাফাতে বাবার কাছে চলে যেতাম।
বাবা তার পকেট থেকে টাকা বের করে দিতে চাইলে,দাদু নিষেধ করত। দাদু বলতো আমি অনেক আগে থেকেই জমিয়ে রেখেছি টাকা তো দিতে হবে না।
এই যে একটা পারিবারিক বন্ধন তা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
|
যদি পার ধরে রাখতে পারিবারিক বন্ধন
তবে ই বাড়বে ভালোবাসার বন্ধন।
একক পরিবারে নয় ,বরং যৌথ পরিবারেই
মিলে সুখের স্পন্দন।আজ আর নয়, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সেই প্রত্যাশায় রইলাম।
Thank You So Much For Reading My Blog বিদায় বন্ধুরা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার পর এতো সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য। হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন খুব কম দামেই তাদের পন্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন।কারন দোকান ভাড়া বা কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই অল্প দামেই তারা তাদের পন্য সামগ্রী গুলো বিক্রি করে দেয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময়।
একটা সময় ছিলো যখন আমি ছোট ছিলাম তখন প্রায় সময় এই, এই ধরনের ফেরিওয়ালারা আসতো মেয়েদের জিনিস নিয়ে কিন্তু এখন আর তাদেরকে তেমন একটা দেখতে পাইনা আমাদের দিকে। তবে এখনো মাঝে মাঝে অন্য কিছু ফেরিওয়ালা আসে যারা অন্য জিনিসপত্র নিয়ে আসে। যাই হোক খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো, ভালো থাকবেন।
প্রথমে ই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার পর এতো সুন্দর করে সাজিয়ে পোস্ট সম্পকৃত একটি মন্তব্য করার জন্য। আসলেই এই পেশার সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা খুবই কমে যাচ্ছে দিন দিন।সে জন্য ই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি আমাদের গ্রামীন জীবনের ঐতিহ্যবাহী একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। আসলে এমন ফেরিওয়ালা এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। আমাদের এখানে একজন ছিল উনি বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছে। যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম, বাড়ির উপরে এই ফেরিওয়ালা গুলো বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতো।
আর গ্রামের মহিলারা নিজেদের পছন্দমত এখান থেকে তাদের কসমেটিকস কিনে নিত। কিন্তু বর্তমানে সবাই মার্কেটকে অনেক বেশি ফলো করে। মার্কেটে গিয়ে তাদের কেনাকাটা করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, বিলুপ্তির পথে এই ফেরিওয়ালাদের জীবন নিয়ে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই অপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার পর এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।আপনি ঠিকই বলেছেন আপু এক সময় এই ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকেই সব কসমেটিকস কেনাকাটা করত।
এখন এই পেশার লোক খুব একটা চোখে পড়ে না। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
Interessant .
!invest_vote
@udabeu denkt du hast ein Vote durch @investinthefutur verdient!
@udabeu thinks you have earned a vote of @investinthefutur !
Thank you so much for your support
আমি আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার দিনের কার্যক্রম লিখেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল।
যাইহোক, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং আপনার পরবর্তী পোস্টটি পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম। আপনার দিনগুলো যেন সবসময় এরকম ভালো কাটে ধন্যবাদ।
হে ভাইয়াএটি একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা। এমনকি বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সহায়ক এটি। তাই ধরে রাখতে হবে এই পেশা টি কে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম চুড়ি,লিপস্টিক ফিতাওলা ফেরিওয়ালা আগে ছোটবেলা দেখতাম এখন আর চোখে পরে না।সময়ে সাথে সাথে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়।
ফেরিওয়ালা সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
তাই আমি ও অনেক কিনতাম।দাদুর বাড়িগেলে।
আবার যখন গেলাম ,দেখে খুব মনে পড়ে গিয়েছিল। শৈশবের কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এখন আর এই ফেরিওয়ালাদের খুব বেশি একটা দেখা যায় না। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্রায় দেখতাম 'এই লাগবে নাকি লেস ফিতা বলে তারা মানুষ জোর করত। এবং মানুষ দেখতে এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী কিনে নিয়ে যেত।
আপনাকে ধন্যবাদ আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো কিছু স্মৃতি মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে উঠেছে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট টি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য।হে আপু এখন ফেরিওয়ালা তেমন চোখে পড়ে না। তাছাড়া মানুষ সৌখিন হয়ে গেছে। মার্কেটিং করে বড় বড় সপিং মল থেকে তাই তারা এখন পথে বসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Welcome 🤗