ছুটির দিনটি বিশেষ কাজেই অতিবাহিত হলো
![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা |
---|
আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে সত্যি বলতে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি আপনাদের সাথে আসতে আসতে। কোন না কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে, মোটকথা আপনারা হচ্ছেন আমার ভালো ও মন্দের সাথী। যেখানে মন খুলে নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারি। এমনকি আপনাদের সুন্দর সুন্দর এবং গঠনমূলক কমেন্টস গুলো পড়েও খুব ভালো লাগে আমার।
তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে মূল পর্বে প্রবেশ করি।
আজ ২২শে মে, ৮ই জ্যৈষ্ঠ বুদ্ধ পূর্ণিমার বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।তাই আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার তাড়া ছিল না অনেকটা ঢিলা ঢালা ভাবেই সকালে ঘুম থেকে উঠেছি ।তবে ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ ।আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন আমার বড় মেয়ের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা চলছে ,সে সকালে ফোন দিয়ে বলল যে তার রান্না করা তরকারি গুলো শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।
এর কারণ হলো ও হোস্টেলের রান্না করা খাবারগুলো খেতে পারে না অনেকটা বাধ্য হয়েই খায়। তাই আমি সম্ভব হলে যতটুকু পারি রান্না করে ওর বাবাকে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেই। যদিও খুব একটা কাছে থাকে না। তারপর ও আজ যেহেতু স্কুল বন্ধ ।তাই তার বাবাকে দিয়ে কিছু খাবার রান্না করে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
আমার বড় মেয়ে পুটিং ও খুব পছন্দ করে, তাই চারটি ডিম দিয়ে দুটি পুটিং বানিয়েছিলাম ওকে দিয়ে দিয়েছি আরেকটি বাসার জন্য রেখে দিয়েছি। তবে সময়ের স্বল্পতার জন্য একটি ইলেকট্রনিক ওভারে বানিয়েছি এবং আরেকটি গ্যাসের চুলায় বানিয়েছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
সে আবার গত কালকে ফোন দিয়ে বলেছিল মুরগির মাংস যাতে রান্না করে না দেই। কারণ হোস্টেলে ও নাকি প্রতিদিনই মুরগির মাংস দিচ্ছে ,খেতে খেতে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে মেয়ে। তাই আজকে প্রায় সবগুলো তরকারি সাধারণ তরকারি রান্না করেছি এবং খুব অল্প পরিমাণে দিয়েছি।
যাতে করে সাথে সাথেই খেয়ে শেষ করে ফেলতে পারে। ফ্রিজে রেখে তরকারি খেতে খুব একটা ভালো লাগে না ।আমি নিজেও তেমন একটা পছন্দ করি না ফ্রিজে রেখে তরকারি খেতে। তাই চারটা পাঁচটা আইটেম দিয়েছি তবে পরিমানে খুব কম দিয়েছি। শুধু রুই মাছ ভুনা আর গরুর মাংসটা একটু বেশি দিয়েছি। শাক আর করোলা বাজি একেবারেই অল্প দিয়েছি যাতে করে সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
করলা বাজি ও ফ্রিজে রেখে খেতে মোটেও ভালো লাগেনা ।আমার সাথে আপনারা ও নিশ্চয়ই একমত হবেন ।সব জিনিস ফ্রিজে রেখে খেতে ভালো লাগে না কিছু জিনিস আছে যা সাথে সাথে খেতেই ভালো লাগে।
দুপুরের দিকে রান্না করা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফ্যানের নিচে রেখে ঠান্ডা করলাম ঠান্ডা করে প্যাকেট করে সাহেবকে রেডি করে দিলাম ।বিকেলের দিকে বের হয়ে গেল, তাই পোস্ট লিখতে বসে গেলাম পোস্ট লেখার আগে কয়েকটা কমেন্ট করে নিলাম।কারন ২-৩ সপ্তাহ যাবত আমার কমেন্টের অবস্থা খুবই খারাপ অনলাইনে থাকি না বললেই চলে।
তবে একটি কথা না বললেই নয় আমার কমিউনিটির এডমিন ম্যাম ও অন্যান্য মডারেটরগণ আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিচ্ছেন। কারণ আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না ।তবে আমি চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব পরিবার ও চাকরি সবকিছু সামলে যতটুকু দেওয়া ততটুকু দিতে।
তো বন্ধুরা আজ বুদ্ধ পূর্ণিমার বন্ধে আমি এই বিশেষ কাজগুলো দিয়েই দিনের সিংহভাগ কাটিয়ে দিয়েছি এর মধ্যে একটি রুমের পর্দা ও ধুয়েছিলাম ।যেহেতু পর্দা টা একটু মোটা, তাই আগে সাবান ও হুইল পাওয়ার দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
আজ তাহলে এখানেই থাক। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে দিন কাটাবেন ।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
ছুটির দিনে আমাদের সবারই আগে থেকে প্রস্তুতি থেকে যে, ইচ্ছেমতো ঘুমাবো এবং শান্তিতে দিন পার করব। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, ছুটির দিনে কাজের চাপ আরো বেশি থাকে।
আপনার মেয়ে হোস্টেলের খাবার তেমন খেতে পারে না এজন্য রান্না করেই আপনি খাবার পাঠিয়ে দেন। ছুটির দিন ছিল এজন্য অনেক কিছু রান্না করে আপনার মেয়েকে পাঠিয়েছেন।
আসলে সন্তানরা কি খেতে পছন্দ করে বাবা-মায়েরা সব সময় সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করে।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রোজ রোজ একই রান্না খেতে কারো ভালো লাগে না তা সেটা মুরগির মাংস হোক বা গরুর মাংস হোক। ফ্রিজে রাখা তরকারি খেতে আমারও ভালো লাগে না কিন্তু প্রায় রোজ বাধ্য হয়েই আমাকে খেতে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার তৈরি করা পুডিং দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। একদিন আপনাকে না বলে আপনার বাসায় গিয়ে উপস্থিত হব। আপনার হাতে তৈরি করা কিছু খাবার আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে অনেক জিনিস ফ্রিজের মধ্যে রেখে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। যেটা আমি নিজেও পছন্দ করি না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জানি না এখানে যারা আছে তাদের মধ্যে কজন হোস্টেলের রান্না খেয়েছেন। তবে আমি কিন্তু খেয়েছি আর আমি জানি এর স্বাদ কেমন।
আমি যখন ইন্টারে পড়তাম তখন হোস্টেলে থাকতাম আর আজও সেখানে খাওয়া খাবারের স্বাদ মনে পড়ে। সকালে জলের মতো ডাল আর অন্য সময় স্বাদহীন তরকারি,😀 এক কথায় বলতে গেলে বাধ্য হয়ে বাচার তাগিদেই খেতে হতো।
পড়াশোনা করতে গেলে এইটুকু সহ্য করতে হবে এজন্য চোখ বুজে এসব খেয়ে ক্ষিদে নিবারণ করেছি দুইটা বছর। আজ আপনার পোস্টের মধ্যে হোস্টেলের কথা শুনে সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হোস্টেলের খাবার যে খায়নি সে এই কষ্টটা বুঝবে না। সত্যি বলতে আমার বয়সের সব থেকে জঘন্য খাবার ঐ হোস্টেল লাইফে খেয়েছি। পড়াশোনা করতে গেলে বাড়ির বাইরে থাকতে হবে আর এটা খেতেই হবে, কিছু করার নেই। তবে আমি প্রায়শই বাইরে থেকে কিনে খেতাম কোনো উপায় না পেয়ে। ভালো থাকবেন।
আজ ছুটির দিন তাই স্কুলে যাওয়ার কোন ঝামেলা ছিল না সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার কাজ শুরু করে দেন।। আর হ্যাঁ অনেকই রয়েছে হোস্টেলে খাবার খেতে পারে না।। আর আপনার মেয়ে হোস্টেলে থাকে তাই যখনই সুযোগ পান তার জন্য খাবার দেন এটি অনেক ভালো কাজ করেন।।
সত্যি বলতে ছুটির দিন গুলোতে ঘুম থেকে ওঠার তাড়াহুড়ো থাকে না। আপনার তৈরি পুডিং টা দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। নিশ্চয় খেতে ও ভালো হবে। আসলে আমি কোন দিন খায়নি। আপনি ঠিকই বলেছেন ফ্রিজে রেখে কোনো খাবার খেলে খাবারের স্বাদ লাগে না। আপনার মেয়ের মতো আমারো রোজ রোজ মুরগির মাংস খেতে ভালো লাগে না। সুন্দর এই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।