ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে দুটো দিন
![]() |
---|
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
কেমন আছেন সবাই ,আশা রাখি ভাল আছেন আমি খুব একটা ভালো নেই ।কারন হলো ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে একেবারে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। আমাদের কোয়ার্টারে দুদিন যাবত পানি ও বিদ্যুৎ কিছুই নেই। তাই জীবন যাপন অনেকটাই কস্টকর হয়ে পড়ছে। পানি ও বিদ্যুৎ ছাড়া একটি মুহূর্ত কি কল্পনা করা যায় বন্ধুরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি হানা দিলেও আমাদের এখানেও এর প্রকট খুব একটা কম ছিল না। গতকাল থেকে সারাদিন ঝড় বৃষ্টি। রাতের দিকে ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ আরো বেড়ে গিয়েছিল। দুদিন যাবৎ পানি ও বিদ্যুৎ কিছুই নেই। এর মধ্যে এমবি কিনেছি এমবি তেও কাজ হচ্ছে না টাওয়ারে নাকি বজ্রপাত পড়ে টাওয়ার পড়ে গিয়েছে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ গুলো ও চালাতে পারছি না।
![]() |
---|
![]() |
---|
এদিকে আত্মীয়-স্বজন ফোন দিচ্ছে, আমার বড় মেয়ে তো প্রতিদিন সন্ধার পরে ফোন দেয়। কাউকে নেটে না পেয়ে অনেকটা টেনশনে পড়ে গিয়েছে সে।তারপর কল দিও পাচ্ছে না। কারণ ওকে বলা হয়নি আমাদের টাওয়ারের সমস্যা। ওর বাবা যেহেতু হাইপ্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগী তাই ভেবেছে বাবার কিছু হয়েছে।
অনেক বারফোন দেওয়ার পর একবার ফোন রিসিভ করতে পেরেছিলাম তখন বললাম যে আমাদের টাওয়ারের সমস্যা। তাই ডাইরেক্ট কল ও দেওয়া যাচ্ছে না এবং নেট ও চালাতে পারছি না। তুমি চিন্তা করো না আমরা সবাই ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।তখন একটু নিশ্চিন্ত হয়েছে মেয়ে।
আসলে দূরে থাকলে মন এমনিতেই ছোট থাকে। নানা ধরনের চিন্তা মাথায় কাজ করে। যত দূরেই থাকুক তথ্য প্রযুক্তি আমাদেরকে একেবারে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সমস্ত বিশ্ব। আর তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা একে অপরের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারি ।নিজের মধ্যে কথা আদান প্রদান করতে পারি। আর কোন কারনে যদি আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে আমরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়ি।
![]() |
---|
আমার বাসায় যেহেতু দুদিন যাবত কারেন্ট ও পানি কিছুই নেই। তাই অনেকটা কষ্টে দিন পার করছি। ঘরের জমানো পানিগুলো দিয়ে কোন রকম চালাচ্ছি। জানিনা কখন পানি আসবে একেবারে উদ্বিগ্নের মধ্যে রয়েছি অনেকটাই। দুদিন যাবত পরিবারের কারো ই গোসল নেই ,কোনোরকম খাবার পানিটা রেখেছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
রাতের বেলা প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল ।ইচ্ছে করলে হয়তো ছাদে কিছু রেখে দিলে পানি নিতে পারতাম ,কিন্তু মাথায় আমার এটা কাজ করেনি ।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে আমার বাসার সামনে অনেক পানি জমে আছে তখন একটু আফসোস হয়েছিল। যদি রাতে কিছু রেখে দিয়ে আসতাম সাদে তাইলে সকাল বেলা হয়তো কাজে লাগাতে পারতাম।
আসলে চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে এমন একটি কাজই হয়েছে আমার সাথে। তবে গত কালকের চেয়ে আজকে আবহাওয়া টা একটু ভালো। গতকাল তো প্রচন্ড বাতাস ঝড় মোটকথা খুবই খারাপ ছিল দিন। আলহামদুলিল্লাহ আজ একটু গতকালকের চেয়ে ভালো আবহাওয়া।
তবে দুদিনের পরিস্থিতিতে বুঝতে পারলাম। অপ্রয়োজনে আমরা প্রচুর পরিমাণে পানি ও বিদ্যুৎ অপচয় করি । বিদ্যুৎ ও যেহেতু সরকারি বিল দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই ,তাই অপ্রয়োজনে বাতি চালিয়ে রাখি আর দুদিন যাবত পানি ও বিদ্যুৎ নেই তাই বুঝতে পারছি হারে হারে। তাই অপ্রয়োজনে পানি ও বিদ্যুৎ অপচয় করা উচিত নয়। পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ।আমাদের কর্মফল আমাদের ই ভোগ করতে হয়। যেমন এখন আমি করছি তো পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়। এই দুই দিনের পরিস্থিতিতে বুঝতে পারছি অপ্রয়োজনে গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়।
বন্ধুরা দোয়া করবেন যাতে খুব দ্রুতই পানি এবং বিদ্যুৎ চলে আসে ।আমাদের কোয়ালিটি যেহেতু 40 45 বছরের পুরনো তাই অনেক বড় বড় গাছ রয়েছে। মূলত গাছের ডাল পরেই বিদ্যুতের তার ছিড়ে গিয়েছে। এগুলো মেরামত করতে হয়তো সময় লাগবে মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো মেরামত হয়ে গেলে বিদ্যুৎ দিয়ে দিবে আর বিদ্যুতের সাথে পানির ও সম্পর্ক রয়েছে।
বন্ধুরা আমার বর্তমান পরিস্থিতিত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ঘূর্ণিঝড়ে সবারই একই অবস্থা, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কারেন্ট নেই সাথে নেট নেই কোন কাজ করতে পারছি না বাবা-মাকে ফোন দিতে পারছি না। গতকালকে আমাদের বাসায় পানি না থাকায় পাশের বাসার ছোট পুকুর আছে ওই পুকুরে গোসল করে আসি।
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম কারেন্ট ছাড়া পানি ছাড়া ইন্টারনেট ছাড়া দুইদিন খুব কষ্টে অতিবাহিত করছে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সবারই একই অবস্থা হয়েছে। আমাদের এখানে কারেন্ট রয়েছে। কিন্তু নেটওয়ার্ক খুব সমস্যা হচ্ছে। সারাদিন কলে জল আসছে না। আমার বাগানে ও কিছু গাছ পালা ভেঙে গেছে। যাইহোক ঝড়ের ফলে অনেক মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। সাবধানে থাকবেন। ভালো থাকবেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আপনাদের ওখানেও ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পানির পরিমাণটা আপনারা একেবারেই দেখতে পাননি। আসলে যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করে, তাদের বিদ্যুৎ না থাকলেও পানি অন্ততপক্ষে তাদের খুব কাছাকাছি থাকে। পানি না থাকলে কোন কাজ করা একেবারেই অসম্ভব। বিশেষ করে আমরা পানি না খেয়ে বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।
আশা করছি বর্তমান সময়ে আপনি বেশ ভালো আছেন, আপনার পরিবার-পরিজন নিয়ে। এই ঘূর্ণিঝড় আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নিয়ামত। এটা আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না। তবে অবশ্যই আমরা যেরকম আছি সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
কেননা পশু পাখি জীবজন্তু তাদের অবস্থা যদি আমরা চিন্তা করি। তাহলে কিন্তু তারা আমাদের চাইতেও খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। তার পরেও তারা আল্লাহতালার শুকরিয়া আদায় করে, ধন্যবাদ ঘূর্ণিঝড় কবল থেকে বের হয়ে, আমাদের সাথে আপনার সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়-রেমালের কথা সবাই শুনেছি। যদিও আমাদের উত্তরবঙ্গে তেমন একটা প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলে অনেক জেলায় প্রভাব পরেছে। দক্ষিণ অঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় ভালই ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
আর এই দুর্যোগের মাঝে বিদ্যুৎ না থাকলে সবার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা টা বন্ধ হয়ে যায়। আর বিদ্যুৎ না থাকলে তো নেটওয়ার্ক পাওয়াই যায় না।
ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে বের হয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নেটওয়ার্ক যদি বাংলাদেশে না থাকে মানুষের সাথে যোগাযোগ একদম বিচ্ছিন্ন থাকবে।। আর অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টির জন্য নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই জঘন্য থাকে।। আর হ্যাঁ মেয়ে যেহেতু নেটওয়ার্কের পাচ্ছে না একটু চিন্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক।। যেকোনো কাজের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি আর পানির অভাবে বেশি কষ্টের মধ্যে দুইদিন পার করেছেন।।
আসলেই পানি ছাড়া চলা খুবই মুশকিল তার উপর দুদিন পানি ছিল না নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট করতে হয়েছে পানির জন্য।। আসলে ছেলেমেয়েরা এমনই বাহিরে থাকলে বাবা-মার সাথে কথা না হলে তারা একটু বেশি চিন্তা করে।