Contest of January by @sduttaskitchen| My locality in five pictures.
Hello everyone |
---|
প্রথমেই ম্যাম কে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। কিছু কিছু বিষয়বস্তু রয়েছে যা নিয়ে লিখতে গেলে খুব একটা ভাবতে হয় না ,সময় ব্যয় করতে হয় না। অনায়াসে ই চলে আসে হাজারো কথা। তেমনি একটি বিষয় বস্তু হলো আজকের প্রতিযোগিতার। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, প্রতিটা মানুষের কাছে তার আবাসভূমি বা যেখানে সে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে সেটি স্বর্গ তুল্য। তার সাথে পৃথিবীর কোন এলাকার বা জায়গার তুলনা হয় না এক কথায় অতুলনীয়।
তো বন্ধুরা প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার কিছু সংখ্যক বন্ধুদের নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারা যাতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রসিদ্ধ পাঁচটি ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করে ।এতে করে তাদের এলাকার সম্পর্কেও আমরা একটা সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারবো।
কেন আপনার এলাকা আপনার কাছে মূল্যবান? |
---|
বন্ধুরা আমি আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারে ২০০১ সাল থেকে চাকরির সুবাদে বসবাস করে আসছি। এখানকার মাটি বাতাস আলো সবকিছু আমার জন্য আপন। এক চিমটি মাটি থেকে শুরু করে দুচোখ ভরে যা দেখতে পাই সবকিছু ই আমার কাছে অতি প্রিয়। যেদিকে তাকাই মনে হয় সবই আমার। প্রতিটা জিনিসের সাথে রয়েছে হাজারও স্মৃতি ভালোলাগা ভালোবাসা। তাই আমার এলাকাটি আমার জন্য অতি মূল্যবান এবং প্রিয়।
আপনার এলাকার বিভিন্ন স্থানের অন্তত পাঁচটি আসল ছবি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। |
---|
বন্ধুরা আমি ইতিমধ্যেই বলেছি আমি বন্দর নগরী আশুগঞ্জে বসবাস করি। তাই এই এলাকার পাঁচটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এবং ছবিগুলোর আঙ্গিকে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই আপনাদের সাথে যে ছবিটি শেয়ার করলাম, তাহলো আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার। যেহেতু চাকরির সুবাদে এখানে এসেছি। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারে আমরা হাজব্যান্ড ওয়াইফ দুজনই চাকরি করি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার আমাদের কাছে অনেক প্রিয় একটি জায়গা। আর এই ফার্টিলাইজারে উৎপাদিত ইউরিয়া সার, কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয় এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বা সচল রাখতে এর ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, তাই কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়, আমাদের উৎপাদিত ইউরিয়া সার। তাছাড়া এই সার কারখানা আমাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে। সেজন্যই সবার প্রথমেই এই ফার্টিলাইজারের ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
![]() |
---|
এখন যে ছবিটি শেয়ার করছি সেটা হলো আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজ। এটি আমার প্রাণের স্পন্দন। কোন কারণে যদি স্কুল কলেজ বন্ধ থাকে, আমি ছন্দ খুঁজে পাই না। কেমন যেন একঘেয়েমি লাগে। মোট কথা আমাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এই প্রতিষ্ঠানটি। সত্যি কথা বলতে কি ?কোমলময়ী শিক্ষার্থীদের সাথে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে । আমি খুব মিস করি কিছুদিন যদি এখান থেকে দূরে থাকি। এই জায়গাটা আমার কাছে খুব প্রসিদ্ধ। সেজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন মনে করলাম। আমার এই প্রিয় প্রতিষ্ঠানটি ছবি।
![]() |
---|
এই মুহূর্তে যে ছবিটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্র আমরা অসুস্থ হলে এখানে সেবা নেই। মোট কথা এটি হলো আমাদের বিপদের বন্ধু। এই চিকিৎসা কেন্দ্রে তিনজন মহিলা চিকিৎসক এবং তিনজন পুরুষ চিকিৎসক রয়েছে। আর প্রায় ২০ জনের মত স্টাফ হয়েছেন।
![]() |
---|
এটি হলো আশুগঞ্জ বন্দর। আশুগঞ্জ বন্দর ঘেঁষেই রয়েছে পরপর তিনটি ব্রিজ। দুইটি হল রেল যোগাযোগের জন্য রেল সেতু আর একটি হলো পরিবহনের জন্য সেতু।একসাথে তিনটি সেতু বাংলাদেশের কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই এটিও আমার কাছে একটি প্রসিদ্ধ জায়গা।
![]() |
---|
সর্বশেষ যে ছবিটি শেয়ার করলাম। এটি হলো ফেরিঘাট। এক সময় এই জায়গা দিয়ে ফেরি চলাচল করতো। এখন অবশ্য লঞ্চ চলাচল করে, সেতু হয়ে যাওয়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো লঞ্চ চলাচল করে তাই এটিকে লঞ্চঘাট ও বলে।
আপনি কি বিশ্বাস করেন যে একটি জায়গা আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি হয়ে যায় যখন আমরা সেখানে বছরের পর বছর থাকি? |
---|
অবশ্যই আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে একটি জায়গায় দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে সেই জায়গাটি হৃদয়ে স্থান করে নেয়। আমাদের এই কোয়ার্টারে সবাই যখন চাকরিতে জয়েন করে তখন তরুণ অবস্থায় থাকে আর যখন রিটায়ার্ড করে চলে যায় তখন প্রায় বৃদ্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর একটি জায়গায় থাকতে থাকতে এই জায়গার প্রতি এমন মায়া হয়ে যায় ,যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে। আর মায়ের কারণেই এমনটি করে সবাই। আমার হোম ডিস্ট্রিক্ট নারায়ণগঞ্জ, আমার প্রথম পোস্টিং হয় সিলেট ছাতক, ওখান থেকে ২০০১ সালে ট্রান্সফার হয়ে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ আসি। ২০০১ সালে যখন সিলেট ছাতক থেকে চলে আসি তখন কি পরিমানে কান্না করেছিল ভাবীরা। এখন ও ওদের সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। আমি সময় সুযোগ পেলে ভাবিদের ওখানে যাই। তাছাড়া মোবাইলে কথা হয় প্রতিনিয়তই। তো স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায় একটি জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে কি পরিমাণে মায়া জন্মায় ওই স্থানের প্রতি।
আমি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমার মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং আমার মত করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু আপনাদের হৃদয়ে দাগ করতে পারবে। তবে আমার খুব ভালো লাগলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ,নিজের ভাব গুলো প্রকাশ করতে পেরে। ম্যামের এই সৃজনশীল বিষয়গুলো আমাকে খুব আকৃষ্ট করে।
তো পরিশেষে সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত আমার লিখার এখানেই সমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই শীতে নিজের বিশেষ যত্ন নিবেন বন্ধুরা।
বন্ধুরা এই পোস্টের কিছু ছবি আমি পূর্বের কিছু পোস্টেও ব্যবহার করেছি।তো এখন আবার এই
প্রতিযোগিতার সাথে মিল রয়েছে বিদায় ছবিগুলো তাই পুনরায় আবার ব্যবহার করলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার ইনভাইট করার জন্য। আর আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি প্রতিযোগিতার প্রশ্ন গুলো সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন
*ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আসলে আমি চেষ্টা করেছি আমার মত করে প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য ।ভালো লাগলো আপনি
আমার পোস্টটি পড়েছেন জেনে।
ভালোই লেখেছেন তো।আমি কনটেস্টে অংশ গ্রহণ করেছি আমার পোস্ট টা পড়তে পারেন গো?
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর জন্যে ইনভাইট করার জন্য, যদিও আমি ইতোমধ্যে অংশগ্রহণ করেছি।
আপনার এলাকার ৫ টি ছবির মাধ্যমে আমাদের সাথে পরিচিত করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ভাবে আপনি প্রশংুলোর উত্তর দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এই জায়গাটা সম্পর্কে আমার বাবার কাছে অনেক শুনেছি। আমার বাবা এই জায়গায় চাকরি করত। সেটা অনেক বছর আগের কথা। তবে অনেক প্রশংসা করতেন জায়গা সম্পর্কে। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালই লাগলো।
ফেরিঘাটে আপনারা নেমেছেন যেখানে নদী রয়েছে তার সাথে রয়েছে লঞ্চ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এলাকার পাঁচটা ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এবং প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কতগুলো ছবি দেখার মাধ্যমে আপনার এলাকার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে মানুষ যেখানে জন্ম গ্রহণ করে আর বড়ো হয় সেই জায়গার প্রতি তার একটা অন্য রকম মায়া জন্ম নেই। আপনি এই আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ এতগুলি বছর ধরে আছেন যার কারণে এই জায়গার প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকাটাই স্বাভাবিক।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। প্রতিযোগিতায় আপনার সাফল্য কামনা করছি।
। কেমন যেন আপন আপন হয়ে গেছে জায়গাটি।
এটি কিন্তূ আমার জন্মস্থান ও নয় চাকরির সুবাদে থাকি তারপর এত মায়া।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনি পাঁচটি ছবির মাধ্যমে সমস্ত আশুগঞ্জ জেলার ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন । সত্যি আমারও মনে পড়ে না যে কোথাও একত্রে তিনটি ব্রিজ আছে । বেশ ভালো লাগলো আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন। আমরা যে স্থানে বেশিদিন থাকি সেই স্থানটি আমাদের কাছে আপন হয়ে ওঠে ।
হে আপু অনেক সুন্দর এলাকাটি। অনেক টা পর্যটন এরিয়ার মত। অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে।সময় সুযোগ হলে আসবেন। নিমন্ত্রণ রইল দিদি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।