Better Life with Steem|| The Diary Game||8 February 2024||my lifestyle
![]() |
---|
সুন্দর একটি দিনের গল্প
*৮ই ফেব্রুয়ারি
*রোজ বৃহস্পতিবার
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
ঘড়ির কাঁটায় এখন ১২. ২ মিনিট। সংসারে যাবতীয় কাজ সেরে একটু অবসর সময় পেলাম ।তাই ভাবছি আপনার সাথে শেয়ার করি কিভাবে কাটালাম আজকের দিনটি। আমার বাসার ওয়াইফাই টা বেশ কতদিন যাবতই খুব ঝামেলা করছে।
আগের কানেকশন বাদ দিয়ে নতুন করে কানেকশন নিয়েছি মাসিক চার্জ একটু বেশি দিচ্ছি, কিন্তু কাজের কাজ দেখছি কিছুই হচ্ছে না। কোন কাজই ঠিক মতো করতে পারছি না। আমি সাধারণত পোস্টগুলো ১০-১১ টার আগেই করে ফেলি। কিন্তু কয়েকদিন যাবতই নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে, একটু রাত জেগে পোস্ট করতে হয়।
যত রাত জাগে সঙ্গত কারণে খুব সকালে উঠতে পারি না। মনে হয় যে, রাজ্যের ঘুম জেঁকে বসে চোখে তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে বেশ খানিকটা কষ্ট হয়ে যায়। আসলে সত্যি কথা বলতে সব সময় সবকিছু করার থাকে না। ইচ্ছে না করলে উঠতে হয়।
তাই বেশিক্ষণ সময় নষ্ট না করে ঘুম থেকে উঠে, সময়মতো ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম। নামাজ আদায় করে প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ছিল ,সেই হাতের কাজগুলো সেরে নিলাম। প্রতিদিনের ন্যায় নাস্তা করে, স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
![]() |
---|
সেদিন যে নিগার সুলতানা আপাকে বিদায় দিয়েছিলাম। তা ছিল ঘরোয়া ভাবে বিদায়। মূলত আমরা কয়েকজন মহিলা শিক্ষিকাও অফিস স্টাফ মিলে বিদায় দিয়েছিলাম। আজ ৮ই ফেব্রুয়ারি মূলত উনার কর্ম দিবসের শেষ দিন। তাই অফিসিয়াল ভাবে আজকে বিদায় দিয়েছে উনাকে ।
![]() |
---|
![]() |
---|
আজকে ও দুটো ক্লাস হলো। একটি ক্লাস ছিল আমার। তাই সময় মতো ক্লাস করে অফিস রুমে আসছিলাম।তখন এক শিক্ষার্থী আমার হাতে তার আঁকা একটি ছবি দিয়ে দৌঁড়িয়ে চলে গেল। আমি আবার ছবিটি মোবাইল দিয়ে তুলে রাখলাম। মোটামুটি ভালোই এঁকেছিল মেয়েটি। ওদের ক্লাসে আজ আমি যাইনি। তাই স্কুলের বারান্দায় ওর সাথে দেখা হয়েছিল। শিশুরা হচ্ছে আদর প্রত্যাশী। আদর করে অনেক কিছু তাদের কাছ থেকে আদায় করা যায় বা খুব সহজেই কঠিন জিনিস গুলো শেখানো যায়।
![]() |
---|
দুটো ক্লাসের পর ডিসপ্লে শুরু হলো। ঘন্টাখানে ডিসপ্লে অনুশীলন করা হলো। তারপর নিগার সুলতানা আপার বিদায় অনুষ্ঠান যথারীতি শুরু হলো। যেহেতু বিদায় অনুষ্ঠান সবাই আপার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা রাখল। আমি নিজেও বক্তৃতা দিয়েছিলাম, তবে খুব বেশি বিস্তারিত বলিনি সারসংক্ষেপ বলেই রেখে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
পরিশেষে আপাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিল। আপনাকে উপহার হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দিয়েছিল এবং সাথে দিয়েছিলে একটি ক্রেস। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসে সবাই মিলে মোরগ পোলাও খেলেছিলাম। যেহেতু প্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল তাই আমি বাসায় নিয়ে চলে আসছিলা। কারণ প্রায় দুটো বেজে গিয়েছিল। বাসায় এসে ঝটপট ওযু করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। যেহেতু গতকাল রাতে একটু রাত জেগে পোস্ট কমেন্ট করেছিলাম তাই ,সকালের ঘুমটা পুরোপুরি হয়নি।
সেজন্যই মনে হয়, দুপুরে জোহরের নামাজ আদায় করার পর আর চোখ খুলে তাকাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল জায়নামাজেই ঘুমিয়ে পড়ি। তাই দুপুরের খাবার না খেয়েই শুয়ে পড়লাম। ঘন্টাখানে ঘুমানোর পর একটু সতেজ লাগছে শরীরটা। আসলে ঘুম এমন একটা জিনিস যা লক্ষ টাকার বিনিময়ে ও পাওয়া যায় না।
পর্যাপ্ত ঘুম না আসলে এর প্রভাব শরীরে পড়ে। সত্যি আল্লাহপাক অপ্রয়োজনে কোন কিছুই তৈরি করেননি। প্রতিটা জিনিসেরই প্রয়োজন রয়েছে আমাদের জীবনে।
![]() |
---|
![]() |
---|
সেহেতু দুপুরে ঘুমের কারণে দুপুরের খাবার খেতে পারিনি। তাই ঘুম থেকে উঠে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম। এখন তো বেলা খুবই ছোট। তাই দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এদিকে দূর থেকে মাগরিবের আযানের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। তাই মানসিকভাবে প্রস্তূতি নিতে লাগলাম নামাজের জন্য।
মাগরিবের নামাজ আদায় করে দুটো পোস্ট ভেরিফিকেশন করলাম। নেট সমস্যার কারণে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল দুটো পোস্ট ভেরিফিকেশন করতে। পোস্ট ভেরিফিকেশনের কাজ সেরে কয়েকটি কমেন্টস করে নিলাম। এই সপ্তাহের খুব বেশি কমেন্টস করতে পারিনি আমি। কেমন যেন ছন্দ ছাড়া হয়ে গিয়েছে আমার কাজগুলো।
সময় মত কিছুই করতে পারছি না। তাই অনেকটাই খেয়া হারিয়ে ফেলছি কাজের। কাল যেহেতু শুক্রবার, তাই ইচ্ছা আছে কিছু পোস্টে কমেন্ট করার। সত্যি কথা বলতে কি, মন মতো কোন কিছু না হলে ভালো লাগে না। আর এটাও সত্য যে,সবসময় সবকিছু নিজের মন মতো হয় না। অনেক সময় ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। এটাই জীবনের রীতি বা ধর্ম।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমি বেশিরভাগ সময় রাতে খেতে চাই না। সন্ধ্যার নাস্তা খেলেই হয়ে যায়। আজকে কেন যেন একটু খেতে ইচ্ছে করলো, তাই মুরগির মাংস দিয়ে রুটি খেলাম সাথে ঘন লিকার দিয়ে এক কাপ দুধ চা। সেটা খাওয়ার পর মাথাটা একটু হালকা মনে হলো ফ্রেশ অনুভব করলাম। আর তখনই লিখতে বসলাম আমার আজকের দিন লিপি টি।
বন্ধুরা যে যেখানে আছেন ,ভালো থাকবেন ,অন্যকেও ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
!invest_vote
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমাকে এভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ আপনাকে।
একসঙ্গে অনেক বছর থাকার পর। সেই মানুষটা আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে একটু খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনার ছাত্রী আপনাকে যে চিত্র দিয়েছে। সেটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে সবাইকে একদিন নিজের পদ ত্যাগ করে আবার সংসার জীবনে ফিরে আসতে হবে। তবে যে মানুষগুলোকে আমরা মন থেকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি। তাদের জন্য আমাদের অনেক মায়া হয়। তারা যখন আমাদের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যায়। তখন আরও বেশি কষ্ট লাগে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আমার এখানেও ওয়াইফাই এর খুব ঝামেলা হচ্ছিল এজন্য বিগত মাসেই নতুন করে আবার কানেকশন নিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সকালের নাস্তা করে স্কুলে গিয়েছিলাম। মুরগির মাংস দিয়ে রুটি দিয়ে খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে যখন নেটওয়ার্ক খুব সমস্যা করে তখনকার মত দুর্ভোগ আর হয় না। ঠিক তেমনি আপনার বাসায় ওয়াইফাই একটু ঝামেলা করছিল যার কারণে আপনাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আপনার সারা দিনটি খুব কর্মব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করেছেন।
ইন্টারনেট সমস্যা অনেক বড় একটি সমস্যা আমার কাছে মনে হয়।। যদি ইন্টারনেট কাজ না করে তাহলে ফোন ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে না।।
প্রতিদিনের মতো যথাসময়ে স্কুলে গিয়েছিলাম আর আজকে স্কুলে বক্তব্য দিয়েছেন।। আর শুনে ভালো লাগলো আপনাকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে।।
যখন কেউ চলে যায় আর সবাই মিলে এভাবেই তাকে বিদায় জানান এটি সত্যি অনেক ভালো একটি কাজ।।
সব কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে আর এই সময় পর তাকে বিদায় নিতে হয়।।