Better Life with Steem|| The Diary Game||7 July 2024||
![]() |
---|
Hello friends |
---|
আমাদের প্রতি দিন এক রকম যায় না ।একেক দিন একেক ভাবে কাটে।আর এককে দিন একেক রকমের স্মৃতি ও রয়ে যায় মনের মনিকোঠায় তাই নয় কি বন্ধ রা। কিছু সময় খুব ভালো কাটে ,যা জীবনেও ভূলা যায় না । আবার কিছু মুহূর্ত রয়েছে যা কল্পনা অতীত। যা ভুলেও কল্পনা করি না ,এমন ঘটনাও ঘটে আমাদের জীবনে। আসলে কিছু করার নেই আমাদের পরিকল্পনামাফিক সবকিছু হবে এমনটাও নয়। তারপরও সর্ব অবস্থায় আল্লাহ পাকের উপর শুকরিয়া। যে যেই অবস্থায় আছি তাতে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। যাইহোক
![]() |
---|
বন্ধুরা এখন আমার আজকের দিনটি কিভাবে কাটল তাই এখন শেয়ার করবো বলে ভাবছি। আশা রাখছি আপনাদেরও ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
এখন যেহেতু আমার স্কুলে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে তাই বিকেলের দিকে স্কুল থাকে বিকেল বলতে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত। তাই সকালে ওটার খুব একটা তাড়া ছিল না। অনেক টা ঢিলা ঢালা ভাবেই ঘুম থেকে উঠেছি এবং প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেড়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
সাধারণত প্রতিদিনই এক ধরনের কাজই থাকে খুব একটা বৈচিত্র নেই আমাদের কাজগুলোতে। বিশেষ করে গৃহস্থালি কাজগুলো প্রতিদিন একই রকমের করে থাকি। মাঝেমধ্যে দুই একটা কাজে ভিন্নতা আসে।
এখন যেহেতু বর্ষাকাল এই ভালো তো এই মন্দ আকাশের মন মর্জি বোঝা খুবই কঠিন ।এই মনে হচ্ছে হেসে খুন, কিছুক্ষণ পরে অজরে কাঁদছে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম নীল দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল এর মতই উজ্জ্বল সূর্য ঝলঝল করছে। রোদ দেখে আর দেরি না করে কিছু কাপড় ভিজিয়ে ফেললাম। তবে আমি ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুতে দিলেও নিজে একটু সাবান দিয়ে কেচে দিই এতে করে কাপড়টা ঝকঝকে পরিষ্কার হয়।
![]() |
---|
![]() |
---|
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুতে দিয়ে ,নাস্তার পর্ব টা শেষ করে ফেললাম। নিজে ও একটু নাস্তা খেয়ে চা খেয়ে নিলাম ।তারপর বাকি কাজগুলো করে কাঁচা দোয়া করে নিলাম একে একে সমস্ত রান্না শেষ করে রুম গুছিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
যেহেতু দুপুর ২ টা থেকে স্কুল তাই যোহরের নামাজটা পড়ে স্কুলে গিয়েছি। তা না হলে নামাজটা কাজা হয়ে যাবে। স্কুল থেকে এসে আসরের নামাজ পড়ে একটু রেস্ট নিলাম। তারপর কিছু ফল কেটে খেলাম ফল বলতে বাসায় আমি ছিল , তাই আমগুলো খেয়ে সাথে চা ও খেলাম। তারপর রুম গুছিয়ে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে নিলাম।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
এসব কাজ করতে করতেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্ত যেতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে মাগরিবের আজানের ধ্বনি চার দিক থেকে শোনা যাচ্ছিল। সে এক মধুর আওয়াজ মনোমুগ্ধ কর এই আওয়াজ শুনলে মনটা এমনিতেই ভরে যায় তাই না বন্ধুরা। আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর সেরা আওয়াজ হচ্ছে আযানের ধ্বনি। তাই অজু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম।
![]() |
---|
মাগরিবের নামাজ আদায় করার পরপরই সাহেব কে দেখলাম যে বাজার পাঠিয়েছে সাথে ছিল চালের বস্তা ।বাসার চাল শেষ হয়ে গিয়েছে ।তাই বাজার থেকে চাল পাঠিয়ে দিয়েছে।ঐ গুলো গুছিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করে ফেলি,ঐ সময় পাশের বাসার ভাবি মিস্টি নিয়ে এসেছে ওনার ছেলের বেবি হয়েছে তাই মিষ্টি বিতরণ করছে সিঁড়ি তে।এই সপ্তাহে আমার একেবারেই পোস্ট নেই। শরীর অসুস্থতার কারণে পোস্ট করতেই পারিনি। এংগেজমেন্টের অবস্থা ও খুবই খারাপ। তাই ভাবলাম পোস্ট টা করে ফেলি,আসলে শরীরের উপরে কারো হাত নেই। শরীর অসুস্থ থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। প্রয়োজনীয় কাজগুলো ও করতে ইচ্ছে করে না ।শখের কাজ তো দূরেরই কথা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন । আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি ।যে যেখানে আছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন, সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন ,আল্লাহ হাফেজ।
আপনার স্কুলে এইচএসসি পরীক্ষা চলার কারণে আপনার স্কুলে এখন বিকেল ২টা থেকে চলছে।
যার কারণে ঢিলাঢালা ভাবে ঘরের কাজ করেন। কাপড় ধুয়ে নাস্তা করে রান্না করে স্কুলে গিয়েছিলেন । ভাই চাল কিনে পাঠিয়েছিল। পাশের বাসায় বেবি হওয়ার কারণে মিষ্টিও খেয়েছেন। আসলে প্রতিবেশীর আনন্দ মানে নিজেদের আনন্দ।
আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন একেকভাবে কাটে। আর কিছু কিছু দিন এমনভাবে পার হয়ে যায় যেগুলো আমাদের জীবনে পাতায় লেখা থাকে। স্কুলে পরিক্ষা থাকলে শিক্ষকদের উপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। সকালে স্কুলের কাজ শুরু হয় আর বিকাল পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এই সপ্তাহে আপনার শরীর খুব অসুস্থ ছিলো। আশা করি এখন সুস্থ রয়েছেন।
আসলে মনে করেন যদি আপনার কর্মস্থান যাওয়া টা একটু লেটে হয়, তাহলে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে আসো তুমি ভালো লাগেনা মন যা চায় যা আরেকটু ঘুমিয়ে থাকে এটা খালি আপনার না এটা সবার ক্ষেত্রে একই রকম যাইহোক আজকে আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম অনেক সুন্দর করেই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমরা যখন ফ্রি থাকি তখন আমাদের কাজগুলো আস্তে আস্তে করার চেষ্টা করি, যেমন আপনার স্কুল বিকালে হওয়ার কারণে সকালে কোন তাড়াহুড়ো করেন নাই, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, বিশেষ করে নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেখে বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি জীবনে কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো প্রতিনিয়ত মনে হয়।। এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় স্কুল বিকেলে তাই সকালে কাজের চাপ কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে।। যেহেতু রোদ উঠেছে তাই কাপড়ও ধৌত করেছেন এছাড়াও সাহেব বাজারে ও এনেছেন।।