Better Life with Steem|| The Diary Game||3 january 2024||my lifestyle
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
আমার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । আশা রাখি আপনাদের ভালো লাগবে। ৩রা জানুয়ারি আমি খুব ভোরে ৫ঃ৩০ মিঃ ই ঘুম থেকে উঠি, প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে, সকালের নাস্তা টা খেয়ে নেই। আজ আমার সকালের নাস্তায় ছিল ব্রেড আর আদা দিয়ে চা। কিছুদিন যাবত ই গলার অবস্থাটা খুব একটা ভালো না। তাই ঘনঘন রং চা খাচ্ছি। তো ব্রেড চা খেয়ে, রুম গুছিয়ে স্কুলের জন্য রওনা হলাম।
সকাল বেলা
এত কুয়াশা কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আজ বিশ কদিন যাবত ই সূর্যি মামার দেখা নেই বললেই চলে। তো আজ মনে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি শীত আমার কাছে। কেমন যেন গা ব্যথা করছে। ব্লেজার পড়েও রক্ষা পাচ্ছিনা। আমি মোবাইল খুলে যে কুয়াশার ছবি দেখাবো আপনাদের সেই সাহস টুকু ই পাচ্ছিলাম না।
কোনরকম নাক মুখ ঢেকে স্কুলে ঢুকলাম । আমি যখন বাসা থেকে রওনা দিয়েছি তখন সকাল ৯ঃ৪৫ মিনিট বাজে, স্কুলে ঢোকার সাথে সাথে এসেম্বলি শুরু হয়ে গেল।
বছরের প্রথম তাই পুরোপুরি ক্লাস শুরু হয়নি এখনো। তারপরও প্রতিদিন চারটা করে ক্লাস হচ্ছে। ক্লাশ শেষ করে বাসায় আসতে আসতে প্রায় ১২:৩০ মিনিট বেজে গেল। আমি মোটামুটি দুপুরের রান্না শেষ করেই গিয়েছিলাম। কারণ স্কুল থেকে এসে আবার রান্না করতে ইচ্ছে করে না। খুব ক্লান্ত লাগে। তাছাড়া নামাজ টা সেড়ে দুপুরে খাবার খেয়ে একটু রেস্ট না নিলে আর পারিনা।
দুপুর বেলা
তাই স্কুল থেকে এসে গায়ের পোশাক চেঞ্জ করে, অজু করে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম। বেলা ২.০০টার সময় দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নেই। হঠাৎ করে মনে হচ্ছে আমার সমস্ত শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে পুরো গা ব্যথা করতেছে তাই
উপায় আন্ত না দেখে রুম হিটার টা চালু করলাম।
খানিকক্ষণ হাত পা গরম করে নিলাম। তারপর আসরের নামাজ পড়ে মহিলা ক্লাবে যাই পুরস্কার আনার জন্য। যেহেতু হেঁটে যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে দেখতে পেলাম কয়েকজন ছেলে মেয়ে বসে পিকনিক করছে। আমার কাছে একটি মেয়েকে খুব পরিচিত মনে হল। কেন জানি মনে হলো ওকে কোন এক সময় আমি আমার কোয়ার্টারে দেখেছি।
এমনটা অনেক সময় হয় কারণ প্রায় দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর এক জায়গায় থাকার পর সেই জায়গার মায়া ছাড়তে পারে না। তাই তারা আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আবার ঘুরতে আসে। বাইরের খোলা জায়গায় বসে খাবার খায় মোটামুটি একটা পিকনিকের মত হয়ে যায় আর পরিচিত জায়গাটা ঘুরে দেখেও হয়ে যায়। তাছাড়া যারা অনেক আগে চলে যায় খুব বেশি মানুষ পরিচিত থাকে না তাই কারো বাসায় না উঠে সকাল সকাল এসে ঘুরে আবার চলে যায়। বেশিরভাগ সময় ঢাকা থেকেই আসে ঢাকা থেকে আশুগঞ্জের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। তাই একটু সকাল সকাল রওনা দিলে চলে আসা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই।
বিকেল বেলা
বিকেল বেলা মহিলা ক্লাব থেকে পুরস্কার নিয়ে আসতে ছিলাম। হঠাৎ করে চোখে পড়লো সেনাবাহিনী কয়েকটি গাড়ি। তারপর জানতে পারলাম যে আমার কোয়াটারের পাশে ওদের ক্যাম্প।
তাই তারা আমাদের গেস্ট হাউস টি ব্যবহার করছে। প্রায় প্রতিবেশীর শীতকালে ওরা এখানে আসে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা, এর পাশে ব্যাডমিন্টন খেলছে। ওহ্ আমার পুরস্কার ছিল পাইরেসের একটি বাটি। আমার বাসার অর্ধেক পুরস্কার ই মহিলা ক্লাব থেকে পাওয়া।
সন্ধ্যা ও রাতের বেলা
এত শীত তাই বিকেলে নাস্তা কি বানাবো ভেবে চিনতে পারছিলাম না। তাইলে ইলেকট্রিক ওভেনে একটা টিফিন কেক বানিয়ে ফেললাম। সময় করে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। দুটো ডিম দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেললাম টিফিন কেক টি। তাছাড়া এই শীতে ওভেন ব্যবহার করলে রুম একটু গরম হয়। মূলত সেই জন্যই কেক টি বানিয়েছিলাম।
এরপর বাসার কিছু টুকটাক কাজ ছিল তা সেরে রাত ১১ টা দিকে শুয়ে পরলাম। আমি ইতিপূর্বে ই বলেছি আমি রাতে খাই না। তবে মাঝে মাঝে খুব খিদে লাগলে তখন খাই।
তো এভাবেই কাটলো আমার সারাটি দিন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সময়ও ধৈর্য্য নিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
আজকে ভোর ৫.৩০ মিনিটে উঠেছেন। আদা চা দিয়ে নাস্তা করে নেন। কিনতু শরীর খুব একটা ভালে লাগতেছিলে না আপনার। ব্লেজারেও শীত না কাটায় রুম হিটার চালিয়ে দেন।
স্কুল থেকে ফিরে বিকেলের দিকে মহিলা ক্লাবে যান গিফট আনতে।বাসায় ফিরে নাস্তার জন্য কেক বানান।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
করতে পারিনা শীত।
এই শীতের সকালে ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় উঠেছেন! আপনি দেখছি আমার মতন চা দিয়ে রুটি খেয়ে ব্রেকফাস্ট করছেন। এরকম করলে তো চলবে না। আপনি না হাউসওয়াইফ!
বেলা সাড়ে বারোটার সময় বাড়ি ফিরে কার আর দুপুরের রান্না করতে ইচ্ছে করবে? আপনি ভালোই করেছিলেন দুপুরের রান্না আগে থেকে করে রেখে।এই বয়সি ছেলে মেয়েদের এখন প্রেম করার বয়স তাই তিনজন ছেলে আর তিনজন মেয়ে রয়েছে। আমরা অনেকেই এই বয়সটা পার করে এসেছি তাই মোটামুটি আন্দাজ করতে পারি।
আপনি সত্যিই কেক বানানোতে এক্সপার্ট। এত তাড়াতাড়ি টিফিন কেক বানিয়ে ফেললেন। দেখে তো বেশ ভালই লাগছে।
শীতে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করলে যে রুম একটু গরম হয় এ ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি সকাল বেলা উঠে চা আর রুটি খেয়ে স্কুলের জন্য রওনা দিয়ে দেন ৷ তারপর আপনি প্রায় দশ টার দিকে স্কুলে পৌঁছে যান ৷ তারপর দুপুর বেলা বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে বাকি কাজ কর্ম সেরে ফেলেন তারপর বিকেল বেলা মহিলা ক্লাব থেকে পুরষ্কার নিয়ে আসছিলেন ৷ তারপর রাতে ইলেক্ট্রনি ভাবে কেক তৈরি করে ফেলেন ৷
যাই হোক এভাবেই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো অতিবাহিত হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আদা দিয়ে রং চা খেলেন। আসলে আদার রং চা খেতে বেশ দারুন লাগে আমার কাছে। আসলে এখন বর্তমান কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে না ঠান্ডা পরিমাণ অনেকটা বেশি। সন্ধ্যায় আপনি ওভেনে কেক তৈরি করেছেন যেটা দেখে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আর কালার টা একদম খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার একটা দিনে কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
অসম্ভব মজা। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবে।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন যেহেতু আজ স্কুল ছিল এরপরে সকালে। আদা চা দিয়ে চা খেয়ে নিলেন এবং স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
স্কুল শেষ করে এসে জোহরের নামাজ আদায় করলেন বাসাতে। এবং কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে গিয়েছিলেন মহিলা ক্লাবে একটা অনুষ্ঠানে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটা কেক বানিয়ে নিন অপেক্ষায় রইলাম কেকটার রেসিপি দেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
*প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে পোস্ট রিলেটেড মন্তব্য করার জন্য। সত্যি কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে আপনারা যখন আমার রেসিপি অপেক্ষায় থাকেন। অবশ্যই আমি চেষ্টা করব খুব দ্রুত রেসিপি দেওয়ার জন্য একেবারেই ইজি আমার বিশ্বাস আপনি খুব সুন্দর ভাবেই পারবেন। হ্যাঁ পরপর ঠিকই বলেছেন যে তুই স্কুল তো সকালে আমাকে স্কুলে যেতে হয় কুয়ার সাথে উপেক্ষা করে।