Better Life with Steem|| The Diary Game||25 June 2024||
Hello friends |
---|
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশা রাখি যে যেখানে আছেন ভালো আছেন এবং পরিবার-পরিজনদের সাথে ভালো একটি সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি এবং পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছি।
আজ আমি শেয়ার করব আমার আজকের কার্যক্রম গুলো। যে সমস্ত কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়েছে ।তার কিছু অংশ বিশেষ এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিয়েছি। তারপর সকালে নাস্তা বানাবো সেই ভেবে কিচেনের দিকে চলে গেলাম। নাস্তা কমপ্লিট করে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম এবং দুপুরে রান্না করার জন্য ফ্রিজ থেকে সবজি বের করলাম। অনেকদিন যাবত মাংস খাওয়া হচ্ছে ,তাই ছোট মাছ খেতে ইচ্ছে করছিল খুব ।আমি অবশ্য ছোট মাছগুলো কোরবানি ঈদের আগেই কিনে রেখে গিয়েছিলাম।কারন হলো ঈদের পর সাধারণত বাজারে তেমন একটা মাছ পাওয়া যায় না ,বিশেষ করে ছোট মাছগুলো তো একেবারেই পাওয়া যায় না। তাই ফ্রিজ থেকে ছোট মাস হিসেবে কাছকি মাছ বের করেছি।
এই মাছগুলো তো ছোট তাই খুব বেশিদিন ফ্রিজে রেখে দিলে খেতে ভালো লাগে না। তাই ভাবলাম আজ কাছকি মাছ ই রান্না করব। সাথে ছিল করলা ভাজি ও ডাল ।ডাল আমার বাসায় প্রতিদিনি রান্না করতে হয়,কারন ডাল ছাড়া আমার ছেলে এক মুঠো ভাত ও মুখে দেয় না।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
কাঁচা দেওয়া সম্পূর্ণ করে রান্না করার জন্য চুলায় পাত্র বসিয়ে দিলাম এবং রান্নার ফাঁকে ফাঁকে রুমের কিছু কাজ ছিল সেগুলো করে, সমস্ত রুম গুলো সুন্দর করে গুছিয়ে নিলাম। তাছাড়া আগামীকাল থেকে আমার স্কুল খোলা ইচ্ছে করলেই সব কাজ করতে পারবো না। সত্যি বলতে অতিরিক্ত কাজ করার কোন সুযোগই থাকে না।কারন হলো স্কুল থেকে আসার পর খুব ক্লান্ত লাগে।
তাছাড়া এখন আবার প্রচন্ড গরম পড়েছে আল্লাহই ভালো জানে কিভাবে কি করব । অসহনীয় গরমে ছেলেমেয়েদের জন্য ভোগান্তি হতে পারে। আল্লাহ গাফুরুর রহিম আল্লাহ পাকই সবকিছুর মালিক। তিনি যখন যা ভাল মনে করেন তাই করবেন। যাইহোক বন্ধুরা দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ খাতা কাটলাম তারপর আসরের নামাজ পড়ে একটু আশুগঞ্জ গিয়েছিলাম অনেক কেনাকাটা ছিল। যেহেতু আমি দেশের বাড়িতে ঈদ করেছি ,তাই বাসার জন্য তেমন কিছুই কেনাকাটা করা হয়নি ।সেজন্য আশুগঞ্জ গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার জন্য। বন্ধুরা আশুগঞ্জ গিয়ে কি কি কেনাকাটা করেছি তা আমি আমার পরবর্তী ব্লগে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সন্ধ্যার পর আশুগঞ্জ থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে এসেছিলাম সেই নাস্তা ছেলেকে দিয়েছিলেন নাস্তা করলো এবং আমি একটু চা খেয়ে খুব ক্লান্ত লাগছিল তাই একটু মোবাইল ঘাটাঘাটি করলাম। মোবাইল ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে একটা জামা খুব পছন্দ হয়েছে অনলাইনে ।ভাবছি অর্ডার দিব তবে এখন হাতে টাকা নেই ।টাকা হলেই অর্ডার দিবো।
সেই পর্যন্ত জামাটা থাকলেই হল। পেস্ট কালার আমার এমনিতেই খুব ভালো লাগে তাই জামাটা খুব চোখে পড়ে গেছে ।দেখি কি করা যায় ,যদি সময়-সুযোগ হয় অর্ডার দিয়েও ফেলতে পারি। শখের তোলা আশি টাকা ।সখ যেহেতু হয়েছে আশা পূরণ করব ই ইনশাল্লাহ।
তারপর রাতের রান্না শেষ করে টেবিল গুছিয়ে এশারের নামাজ পড়ে নিলাম ।নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। এরপর আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে মোবাইলটা হাতে নিয়ে পোস্ট লিখতে বসে গেলাম। বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের দিনের কার্যক্রমের বেশ কিছু অংশ যা আমি আমার মত করে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। জানিনা কতটুকু আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তবে আমি আমার মত করে সর্বোচ্চটুকু দিয়েই চেষ্টা করেছি। আজ আর নয় আজ এখানে শেষ করছি। পরবর্তী ব্লকে দেখা হবে ,সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন, সপরিবারে আনন্দেমতে উঠবেন এবং নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।আর হে বেশি বেশি মনের যত্ন নিবেন। মন ভালো তো সব ভালো। সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আল্লাহ হাফেজ।
আপনি আপনার সারাদিনের কাজকর্ম সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, আসলে সারাদিন মানুষ যত ধরনের কাজকর্ম করে সে সবগুলো যদি শেয়ার করে তাহলে সেগুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনি আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর ভাবে দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে যেহেতু কয়দিন আগে কোরবানি ঈদ গেছে তাই এখনো অনেক মানুষের বাড়ি মাংস আছে। এবং অনেক আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এখনো মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে যার জন্য শুধু মাংস খাওয়া হচ্ছে। একটি জিনিস অনেক দিন ধরে খেতে থাকলে এমনি ভালো লাগে না। যাই হোক ঈদের আগে আপনি ফ্রিজে ছোট মাছ কিনে রেখে দিয়েছিলেন সেটি আজ রান্না করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ছোট মাছ খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে।
ম্যাম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার দিনলিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততার মধ্যদিয়ে কাটিয়েছেন। যেহেতু আগামীকাল থেকে আপনার স্কুল খোলা তাই আজ হাতের কাজগুলো সেড়ে রাখছিলেন। আপনার বাসায় প্রতিদিন ডাল রান্না হয় জেনে ভালো লাগলো। কেননা আমার বাসায়ও প্রতিদিন ডাল রান্না হয়। আমিও ডাল ছাড়া ভাত একদম খেতে পারি না। ডাল হলে আমার অন্য তরকারি তেমন একটা লাগে না।
আপনি যে ড্রেসটি পছন্দ করেছেন সত্যি সেটি অসাধারণ ছিলো। সময় ক্ষ্যাপন না করে অর্ডার করে ফেলুন ম্যাম। কেননা শখের তোলা আশি টাকা। শখ এবং ইচ্ছে এই দুটো কখনো মনে পুষে রাখতে নেই। যাইহোক ম্যাম আপনার দিনের কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলেই চিন্তা হয় কি খাবো ,এত্তো বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে। যেদিন কেউ বাসায় না থাকে সেদিন আমি না খেয়ে থাকলেও রান্না ঘরে ঢুকি না। বাসায় যা থাকে টুকটাক সেগুলিই খাই।
আপনার ছেলের মতোই আমার ছেলেরও প্রতিদিন ডাল লাগে। এই এক সমস্যা আমারও জামা-কাপড় দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। যতই প্ল্যান করি না কেন ,যে আর কিনবো না কিন্তু সুন্দর করে অর্ডার দিয়ে ফেলি।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপু মাংস সকলে পছন্দ করে তবে প্রতিদিন একই জিনিস খেতে খেতে বিরক্ত চলে আসে। তাই হয়ত আপনার আজ ছোট মাছ খেতে ইচ্ছা করছিলো আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত ফ্রিজে অনেক দিন যাবত রেখে দিলে আগেট মতো স্বাদ পাওয়া যায় না। ফেসবুকে একটা জামা আপনার খুব পছন্দ হয়েছে, একেক জনের প্রিয় রং একেক রকম হয়ে থাকে। ভালো থাকবেন।
প্রতিটা মানুষের সকালে কিছু কাজ থাকে যেগুলো প্রতিনিয়ত করতে হয় যেমন আপনাদের রান্নার কাজ।। আর হ্যাঁ ছোট মাছ বেশি দিন ফ্রিজে রাখলে সেটি নরম হয়ে যায় আর খেতে কেমন সুস্বাদু লাগেনা।। আর হ্যাঁ জামাটার কালারটা আসলেই সুন্দর কিন্তু ফেসবুকে অনেক সময় অনেক কাপড় ক্যামেরার জন্য সুন্দর দেখা যায় এদিকে খেয়াল রাখবেন।।
আমি একটা জিনিস দেখেছি অনলাইনে কাপড় কেনা থেকে বিরত থাকাই ভালো কারণ এখানে ওরা অনেক প্রকার দুর্নীতি করে থাকে।। সবাইকে দুর্নীতি করে এরকম কিন্তু না অনেকেই আছে তারা যেমনটা বলে তেমনটাই করে।।
অনলাইন থেকে যেকোনো জিনিস কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করতে হবে তা রিভিউ দেখতে হবে তা না হয় আপনি প্রতারিত হবেন।।। বর্তমান সময়ে মানুষ মানুষকে প্রতারিত করতে অনেক রকম কৌশল করে থাকে।।
হয়তোবা আলোর কারণেই বেশি চাকচিক্য ময় লাগে বাসায় আন্টি একেবারে সাদামাটা।
দিন দিন প্রতারিত হওয়ার জন্যই বিশ্বাস নামক জিনিসটা মানুষের মন থেকে উঠে যাচ্ছে ।। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখতে না পারার জন্যই এমনটা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।।