Better Life with Steem|| The Diary Game||22 january 2024||my lifestyle

in Incredible India7 months ago (edited)
Picsart_24-01-22_22-58-56-529.jpg

সুন্দর একটি দিনের গল্প

  • ২২ জানুয়ারী,
  • রোজ সোমবার

Hello everyone

চলে আসলাম বন্ধুরা, আমার আজকের দিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার আজকের দিনের কার্যাবলীর মধ্যে কি কি ছিল তাই এখন ধারাবাহিক ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।
প্রতিটা দিন সবার একরকম যায় না ,সেটা আমরা সবাই জানি, তবে প্রত্যেকটা দিনেরই স্বতন্ত্র রয়েছে। ভালোমন্দের সংমিশ্রণে আমাদের জীবন। তো সর্ব অবস্থায় ই আলহামদুলিল্লাহ।

বন্ধুরা চলুন মূল পর্বে প্রবেশ করি।

সকালবেলা

প্রতিদিন যে সময় ঘুম থেকে উঠি আজকেও ঠিক সেই সময় ই উঠেছি প্রায় ৫.৩০ মিঃ। ঘুম থেকে উঠে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ছিল তা করে নিয়েছি। যেহেতু স্কুল খোলা তাই স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিলাম। আজ সকালে নাস্তা হিসেবে খেয়ে নিলাম ব্রেড ও দুধ চা। ফ্লাক্সে করে চা স্কুলে ও নিয়ে গেলাম। এখন মনে হচ্ছে শীত আরো বেশি লাগছে আমারকাছে ,বাতাসের জন্য হয় তো বা বুঝতে ছিনা আসলে।

IMG20240122080326.jpg

যাইহোক স্কুলের জন্য রওনা দিলাম যথা সময় স্কুলে যেয়ে পৌঁছলাম। আজও দুইটা ক্লাশ হলো আমাদের। তাই বলে বাসায় আসার কোন সুযোগ ছিল না। একদিকে রানিং ইভেনের অনুশীলন চলছে। অন্যদিকে ডিসপ্লে অনুশীলন। আমার দায়িত্ব ছিল রানিং ইভেনগুলোতে। স্কুল থেকে বের হয়ে আসতে আসতে প্রায় ১২টা বেজে গিয়েছিল।

IMG20240122112947.jpg
IMG20240122114651.jpg

দুপুরবেলা

স্কুল থেকে কয়েকজন কলিগ বের হয়ে এক ভাবির বাসায় গেলাম। ভাবির বাসায় কাপড় সেল করেন। তাই একটি থ্রি পিস ও গজ কাপড় নিলাম। আমার স্কুলে যাওয়ার কাপড় গুলো বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে, তাই ভাবছি দুটো নতুন ড্রেস বানাবো।

IMG20240122151525.jpg

সময় করে টেইলারের কাছে দিয়ে আসবো এখন এনে রেখে দিলাম আলমারিতে। বাসায় এসে কাপড় চেঞ্জ করে জহুরের নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। এরই মধ্যে আমার প্রাইভেটের স্টুডেন্ট চলে আসলো ‌। ওদের ঘন্টা খানিকের মতো পড়ালাম।

IMG20240122125320.jpg

এ দিকে সাহেব রুম থেকে ডেকে বলল, একটু চা করো বেশ ঠান্ডা লাগছে। তাই আমি আবার কিচেনে ঢুকলাম, কিচেনে ঢুকে চা তৈরি করে নিলাম। চায়ের সাথে একটি চাপটি পিঠা ও দিলাম ওকে। আমি চাকরি পিঠা খাইনি শুধু চা খেয়ে নিলাম। কারণ কেবল মাত্রই দুপুরের খাবার খেলাম। তাই আমি চাপটি পিঠা খাইনি।

IMG20240122162955.jpg
IMG20240122164154.jpg

বিকেল বেলা

আসরের নামাজ আদায় করে ছাদে গেলাম কাপড় আনার জন্য। এত বাতাস ছাদে দাঁড়ানোর কোন উপায় নেই। তাই জটপট কাপড়গুলো নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে কাপড় গুলো বারান্দায় নেড়ে দিলাম। কারণ কাপড় গুলো পুরোপুরি শুকায়নি।

সন্ধ্যা ও রাতের বেলা

আজ সন্ধ্যায় কোন রকম নাস্তা বানাতে একদমই ইচ্ছে করছে না। তাই ছেলেকে কনডেন্স মিল্ক দিয়ে ব্রেড দিয়ে দিলাম। আমার ছেলে এটি আবার খুব পছন্দ করে ।

IMG20240122194826.jpg
IMG20240122194733.jpg

তারপর রুম গুলো গুছিয়ে নিলাম। রুম গুলো গুছানো হয়ে গেলে কিচেনে কিছু কাজ ছিল তা সেরে নিলাম। রাতের রান্নাটা ও সেরে নিলাম একসাথে।তারপর ফ্রেশ হয়ে পোস্ট লিখতে বসলাম। এবং কিছু কমেন্টস ও করলাম। আমিও বসে সময় সুযোগ পেলেই টুকটাক কমেন্ট করে ফেলি। কারণ একসাথে বসে কমেন্টস করা হয় না ‌।

তো এভাবেই কাটলো আমার আজকের দিনটি। আজকে এখানেই লিখার সমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, এবং আমার পোস্টটি সময় ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Sort:  
Loading...
 7 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি পরিদর্শন করে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।হে ভাইয়া আমি ঠিকই বলেছেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ডিসপ্লে যত সুন্দর হবে ততই আকর্ষণীয় হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন বাতাসের জন্য বেশি শীত লাগছে সম্ভবত তাই ফ্লাক্সে করে চা বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম।

 7 months ago 

আমাদের এখানে তো বাতাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই অসম্ভব। আসলে জামা কাপড় যখন একটু পুরনো হয়ে যায়। তখন ইচ্ছে করে নতুন জামা কাপড় কিনে নেই। আপনার ইচ্ছেটাও আজকে আপনি পূরণ করে নিয়েছেন।

অবশ্যই সময় পেলেই কমেন্ট করা উচিত। কেননা কমেন্ট করা আমাদের একটা দায়িত্ব। এতে করে আমাদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়। আর আমাদের এনগেজমেন্ট যত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের অ্যাকাউন্ট হাইলাইট করতে তত বেশি সহজ হবে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য।

 7 months ago 
  • হ্যাঁ আপু আপনি বরাবরই বলেন এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করার জন্য। আমি চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব আরো করা উচিত বলে মনে করি আমি। হ্যাঁ অনেকদিন যাবতীয় নতুন কাপড় কেনা হয় না। তাই দেখে ভালো লাগলো কিনে নিয়ে আসলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

শীতের দিনে ভোরবেলায় সাড়ে পাঁচটার সময় ওঠা, আমার তো ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। জোরে বাতাস বইছে বলেই শীতটা আরো বেশি করে লাগছে। আমাদের এখানেও একই অবস্থা। কন্ডেন্স মিল্ক দিয়ে আমি কখনো ব্রেড খেয়ে দেখিনি। আপনার পোস্ট দেখে এখন আমার খেতে ইচ্ছে করছে।

 7 months ago (edited)
  • কনডেন্স মিল দিয়ে ব্রেড খুব মজা। তাছাড়া আমি এটি নিজ হাতে বানায়। সময় সুযোগ হলে একদিন খেয়ে দেখবেন। আমার বিশ্বাস খারাপ লাগবে না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

আমার কাছেও ইদানীং আগের তুলনায় শীত বেশি মনে হয়।দিন দিন শীত কমার তুলনায় আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই শীতে মাঠে খেলাধুলা করা অনেক কঠিন ব্যাপার।
ব্রেড এর সাথে কনডেন্স মিল্ক আমারও অনেক ভালো লাগে। কনডেন্স মিল্ক না থাকলে গুড়া দুধ দিয়ে ব্রেডও অনেক ভালো লাগে।

 7 months ago 
  • হে আপু আপনি ঠিকই বলেছেন। গুড়া দুধ দিয়ে চিনি দিয়ে আমার খুব ভালো লাগে। হালকা একটু গরম পানি দিয়ে মা খেয়ে নিলে কনডেন্স মিল্কের মত লাগে। একদমই ঠিক সেই দিন দিন বাড়ছে কমার পরিবর্তে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 58495.14
ETH 2461.74
USDT 1.00
SBD 2.36