Better Life with Steem|| The Diary Game||16 january 2024||my lifestyle
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা
সুন্দর একটি দিনের গল্প
- ১৬ জানুয়ারী,
- রোজ মঙ্গলবার
আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার একটি দিনের কার্যক্রম গুলো গল্প আকারে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। তো আপনারা শুনতে চান আমার একটি দিনের গল্প যা বলার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের দিনের আমার যাবতীয় কার্যক্রম
গুলো।
সকালবেলা |
---|
আজ কদিন যাবত ই আমার এলাকায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে থাকে। তো স্বাভাবিকভাবে একটু শীত বেশি পড়েছে এখন। তবে উত্তরবঙ্গের আরেকটু বেশি ওখানে নাকি ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তো মূল পর্বে প্রবেশ করি বন্ধুরা।যেহেতু আমার নয়টায় স্কুল।
তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে , ফ্রেশ হয়ে কিছু কাজ সেরে,স্কুল ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আজ সকালে কোন নাস্তা করিনি টিফিন বক্সে করে রাস্তা নিয়ে গিয়েছিলাম। সাথে হালকা গরম পানি নিয়ে গিয়েছিলাম ফ্লাক্সে করে। ক্লাসের ফাঁকে সময় করে নাস্তা করে নিলাম। আমার এক কলিগ কিছু শাক এবং বরই দিল আমাকে তার দেশের বাড়ি থেকে এনেছে। তাই ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম। আজকেও ছোটদের ক্লাসে ক্লাস ছিল। এক ছোট্ট শিক্ষার্থী
একটা ছবি একে আমাকে দিল আমার জন্য এঁকেছে সে, তাই ওকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম তার আঁকা ছবিটি।
স্কুল থেকে বাসায় আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেল। আজকেও মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলা হচ্ছিল শীতকালীন খেলার জন্য অনুশীলন হচ্ছে মাঠে, তাই ওরা প্রতিদিনই মাঠে প্র্যাকটিস করে। প্রতিদিনের ন্যায় বাসায় আসতে আসতে দুপুর হয়ে গেল।
দুপুরবেলা |
---|
দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে আমার স্টুডেন্ট চলে আসলো প্রাইভেট পড়ার জন্য।
ওদেরকে কিছুক্ষণ পড়িয়ে কয়েকজন কলিগ মিলে আশুগঞ্জ চলে গেলাম। আমার কিছু কেনাকাটা ছিল, ওরাও সবাই টুকটাক কেনাকাটা করেছে। তারপর সবাই মিলে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম স্যান্ডউইচ খেলাম। তারপরে পরিচিতএক ভাবির সাথে দেখা হল উনি আমাদের সবাইকে উনার বাসায় নিয়ে গেলেন তাই উনার বাসায় যেয়ে চা খেলাম। উনার বাসা ছিল মার্কেটের উপরেই১২ তালা বিল্ডিং এর লিফটের তিনতলা তাই আমরা সবাই লিফট দিয়ে চলে গেলাম উনার বাসায়। কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে চলে আসলাম।
সন্ধ্যাবেলাওরাতের বেলা |
---|
বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল তাই সন্ধ্যার নাস্তাটা টেস্টি ট্রিট থেকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই নোটিফিকেশন শো করছে । ডিস্কটে মেনশন দিয়ে রেখেছে আমাকে । যেহেতু আমি বাইরে ছিলাম তাই দেখতে পাইনি । তোর সাথে সাথেই নক দিলাম। প্রিয়া দি ও সম্পাদি একটা জিনিস বুঝিয়ে দিল। তো সেই মোতাবেক আমি কাজটি করলাম। তারপর
কাপড় চেঞ্জ করে কিছু কাজ ছিল তা সেড়ে নিলাম। তারপর প্রতিদিনের মতো কিচেনে চলে গেলাম কারণ আমাকে রান্না করতে হয় রাতে। পরের দিনের জন্য যে খাবারটা সেটা আমি রাতে রান্না করে রাখি। স্কুল থেকে এসে রান্না করার সময় নেই। আস্তে আস্তে তো দুপুর হয়ে যায়, তাই রাতে রান্না করে রাখি। যাতে করে স্কুল থেকে এসে খেয়ে নিতে পারি। ফ্রেশ হতে হতে খাবার গরম হয়ে যায় খুব একটা বেগ পেতে হয় না। তাছাড়া স্কুল থেকে আসলে একটু ক্লান্ত ও লাগে রান্না করতে ইচ্ছে করেনা। তাই আমি রাতে রান্না করে রাখি শুধু স্কুল থেকে এসে ওভেনে গরম করে ফেলি। তারপর পোস্ট রেডি করি এবং কিছু কমেন্টস করি। দাঁত ব্রাশ করে বিছানা গুছিয়ে শুয়ে পরি। তো এই ছিল আজকের আমার যাবতীয় কার্যক্রম গুলো যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং এই সময়ে শরীরের বিশেষ যত্ন নিবেন বন্ধুরা।
প্রতিদিন এর মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে রেতি হয়ে ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেছেন।স্কুলের বাচচার আকা ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। এমন উপহার পেতে ভালোই লাগবে।
সকালে কাজ থাকলে রাতে রান্না করে রাখাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সকালবেলা নাস্তা করতে পারেননি। তাই নাস্তা আপনি আপনার স্কুলে নিয়ে গিয়েছিলেন সময় পেয়ে নাস্তা করে নিয়েছেন। আপনার কলেজ আপনাকে শাক এবং বড়ই দিয়েছিল, উনার দেশের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে। এরপর আপনি বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে প্রাইভেট পড়িয়েছেন। তারপর আপনার কলিগদের সাথে আশুগঞ্জ কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছেন।
আসলে শীতের সময় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। আর শীতের বাইরের খাবারগুলো গরম গরম রেস্টুরেন্টে বসে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনারা ঠিক সেই কাজটাই করেছেন। আসলে আপনার কাজগুলো যখন সকালবেলা শুরু হয়। তখন আপনি রান্না বান্না করার সময় কোথায় পাবেন। একদমই ঠিক কাজ করেন রাতের বেলায় রান্না করে রাখেন। এতে করে আপনার সুবিধা হয় না ধন্যবাদ। আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একজন শিক্ষক হিসেবে নিজের দায়িত্বগুলো যেভাবে পালন করা যাচ্ছেন। সংসারের দায়িত্বটা সামলানো অনেক বেশি কষ্টকর। কিন্তু তারপরেও আপনি সেটা করে যাচ্ছেন। এটাই তো বড় কথা ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন আমার জন্য আমি যেন সব সময় এভাবে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানে শুধু আপনাদের হবিগঞ্জে না বর্তমানে সব জায়গাতেই এরকম ঠান্ডা। তারপরও আপনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে স্কুলে চলে যান। আপনার পোষ্টের ছবিগুলো দেখে আমি অনেকটা বিস্মিত হয়ে গেছি। আপনি একা একটা মানুষের কতগুলো কাজ সারা দিনে করেন। ধন্যবাদ আপনাকে ১৬ই জানুয়ারির কাটানো দিনের আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট্ট শিক্ষার্থী খুব সুন্দর ছবি এঁকে উপহার দিয়েছি আপনাকে। আপনি রাতে রান্না করে রেখে খুব ভালো কাজ করেন। পরের দিন স্কুল থেকে ফিরে আর রান্না করার প্যারা নিতে হয় না। আপনার প্রায় প্রতিটি দিনই যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটে। তার মধ্যে থেকেও আপনি সময় বার করে প্রতিদিন স্টিমিটের জন্য পোস্ট লেখেন এবং কমেন্ট করেন, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সকালের শীতটা অনেক বেশি তীব্র হয়ে থাকে।খাওয়া দাওয়া কোনো কিছুই সকাল বেলা তেমন একটা ভালো লাগে না।
বিকালবেলা টা অফিস কলিগের সাথে অনেক আনন্দের সাথে কাটিয়েছেন। প্রতিটা মুহূর্তই আসলে আনন্দের সাথে কাটানো উচিত আমাদের।
সব মিলিয়ে খুব সুন্দর এবং ব্যস্তময় একটি দিন কেটেছে আপনার।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে গিয়েছেন। বাসায় ফিরে দুপুরে খাবার শেষ করে একটু রেস্ট নিতেই, প্রাইভেট পড়তে চলে আসলো স্টুডেন্টরা।
পড়ানো শেষ করে বিকেলে আপনার বান্ধবীদের সাথে গিয়েছিলেন আশুগঞ্জ খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন তখন, ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।