Better Life with Steem|| The Diary Game||15 january 2024||my lifestyle
![]() |
---|
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
আবারো চলে আসলাম ,আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের সমস্ত কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ,ভালোলাগা থেকেই মূলত আসি আপনাদের মাঝে। আলহামদুলিল্লাহ সারাটা দিন ভালই কেটেছিল আমার ।তো আপনারা কেমন আছেন সবাই তা তো জানা হলো না, আশা রাখছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে ।ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সেই প্রত্যাশাই করি সব সময়।
সকাল বেলা
তো চলুন বন্ধুরা মূল পর্বে প্রবেশ করি। সকালবেলা সাধারণত একটু ভোরেই আমার ঘুম থেকে ওঠা হয় যেহেতু আমার স্কুল থাকে তাই যাবতীয় কাজগুলো সেড়েই যাওয়ার চেষ্টা করি স্কুলে ।কারন স্কুল থেকে এসে একটু ক্লান্ত থাকি তাই যতটুকু পারি কাজ সেরেই যাই।
তোর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিচেনে চলে যাই, নাস্তা করে স্কুলের জন্য রেডি হই। সত্যি কথা বলতে কি আজকে আমার খুব একটা রাস্তা খেতেই ইচ্ছে করছিল না। তাই কেক ও দুধ চা খেয়েই চলে গেলাম স্কুলে। ৮:৪৫ মিঃ বাসা থেকে রওনা দিলাম, ৫ মিনিটের মত লাগে আমার স্কুলে যেতে, বাসা থেকে বের হয়ে দরজার সামনেই বিড়াল মামা আমাকে সম্বর্ধনা জানালো, ওর সাথে একটু সময় কাটিয়ে আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলাম নিচে নেমে একটি গাড়ি দেখতে পেলাম ।
মনে হয় আমাদের সিঁড়ি তে কেউ বেড়াতে এসেছে। বছরের প্রথম দিক দিয়ে আসলে সবার বাসায় টুকটাক মেহমানের আনাগোনা থাকে, সম্ভবত আমার তিনতলার ভাবীর বড় মেয়ে এসেছে ঢাকা থেকে, কারণ ওরা প্রায়ই গাড়ি নিয়ে আসেন। নিজেদের গাড়ি বলেই যতদিন থাকেন এই গাড়িটি আমাদের বাসার নিচেই থাকেন ।তাই গাড়িটি আমার কাছে পরিচিত মনে হল, সেজন্যই ভাবলাম ওই মনে হয় এসেছে।
একটু সামনে যে একটি ঘর দেখতে পাচ্ছেন এই ঘরটি হলো আমার হসপিটালের পিছনে, কেউ মারা গেলে এখানে গোসল করায় ।তাই ঘরটি দেখলে আসলে আমার মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়ে যায়। হসপিটালের একটু সামনে মসজিদ, মসজিদের সামনে দিয়েই আমি প্রায়ই স্কুলে যাই। আমার ক্যাম্পাসের ভিতরেই হসপিটাল, মসজিদ ,ব্যাংক, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর সবকিছুই রয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। খুব একটা প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে হয় না আমাদের । তো নয় টার দিকে অ্যাসেম্বলি শুরু হল ,বৈরী আবহাওয়া থাকলে অ্যাসেম্বলি সাধারণত ক্লাসেই হয়। আমি ক্লাসে ঢুকতে না ঢুকতেই শুরু হয়ে গেল অ্যাসেম্বলি, বাচ্চারা দাঁড়িয়ে সমসূরে জাতীয় সংগীত গাইতে লাগল, জাতীয় সংগীতের শুনলে মনটা ভরে যায়, এই জাতীয় সংগীতের সুরের সাথে কেমন যেন একটা আবেগ কাজ করে। হাজারো গান কবিতা যত কিছুই থাক এই জাতীয় সঙ্গীতের সাথে কোনোটিই তুলনা হয় না।তারপর শপথ বাক্য পাঠ করল সব শিক্ষার্থীরা মিলে। এসেম্বলি শেষ হওয়ার পর আমি যথারীতি ক্লাস নিতে শুরু করলাম।
যদিও আমি হাই স্কুলের শিক্ষিকা। আমার এখানে বেবি থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ক্লাস হয়। তাই প্রাইমারি ক্লাস ও আমাদের নিতে হয় । প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষার্থী গুলো সাধারণত একটু ছোট বয়সের হয়। তাই ওদের একটু আদর সোহাগ দিয়ে পড়ালে তারা পাঠদানে আনন্দ পায়। ওদের আনন্দ দেওয়ার জন্য , মোট কথা ওদের সাথে আমার একটা সৌভাগ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার জন্য আমি যথেষ্ট চেষ্টা করি । তাই হোয়াইট বোর্ডের কোনায় স্মাইল এঁকে রেখেছি, যে যে সবচেয়ে বেশি সুন্দর করে পাঠ্য উপস্থাপন করতে পারবে তাদের কে উৎসর্গ করব , তো খুব ভালো ফিডব্যাক পাই আমি, বাচ্চাগুলো খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের কাজগুলো করেন। আর আমার সাথে তাদের একটা ভালো সম্পর্ক ও তৈরি হয়েছে।
দুপুর বেলা
স্কুল ছুটি হলো ১২.২০ মিঃ টে স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে স্কুল মাঠে দেখতে পেলাম কিছু সংখ্যক ছেলে হ্যান্ডবল খেলছে।
শীতকালীন ক্রিয়া প্রতিযোগিতা হবে তাই তারা প্র্যাকটিস করছে। তো যাই হোক বন্ধুরা বাসায় আসতে আসতে পথিমধ্যেই যোহরের আযান দিয়ে দিল। তাই বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে হাতের কিছু কাজ ছিল তা গুছিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম ।
নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আজকের দুপুরের খাবার মেন্যু ছিল, পালং শাক ভাজি, টমেটোর চাটনি,মুরগির মাংস ও ডাল। দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিলাম। উঠে আসরের নামাজ আদায় করলাম।
সন্ধ্যা বেলা
টুকটাক হাতের কাজ করতে করতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিল। তো অজু করে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম। আর সন্ধ্যায় বাসায় কোন নাস্তা বানায় নি সাহেব বাহির থেকে মোগলাই কিনে এনেছিল। তাই মোগলাই খেলে নিলাম। আর আমি সাথে পাকিস্তানি সেমাই ও খেলাম।
রাতের বেলা
রাতের খাবার রেডি করার জন্য কিচেনে গেলাম। কিচেন থেকে বের হয়ে পোস্ট রেডি করলাম এবং কিছু কমেন্টস করলাম। খানিকটা সময় বোনের সাথে কথা বললাম মোবাইলে। বড় বোনের ছোট ছেলে কানাডা চলে যাচ্ছে, ২২ তারিখ রাতে ফ্লাইট। তাই স্বাভাবিকভাবে তার মন একটু খারাপ। যতটুকু সম্ভব সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চোখের আড়াল করতেই হবে ।
কিছুই করার নেই আমাদের। ভাবছি যাব ওকে দেখার জন্য, আমি যেতে না পারলেও সাহেব ও ছেলে যাবে। একই প্রতিষ্ঠানে দুজন চাকরি করি, তাই একসাথে ছুটি মিলাতে পারিনা। কিন্তু মনটা খুব খারাপ লাগছে,তো বোনের সাথে কথা বলে বিছানা গুছিয়ে ১১ টার দিকে শুয়ে পড়লাম।
তোর সকাল থেকে রাত অব্দি এভাবেই কাটলো আমার সারাটা দিন। আমি আমার মত করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকবেন।
আল্লা হাফেজ |
---|
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কেক আর চা খেয়ে স্কুলে গিয়েছেন। আপনার বিড়াল খুব সুন্দর তবে এত ঠান্ডার মাঝে কড্ট পাচ্ছে বেচারা বাইরে বসে বসে বোঝাই যাচ্ছে।
আপনার স্কুলের বাচ্চাগুলো অনেক সুন্দর।
ভালো লাগলো আপানার ব্যাস্ত দিনের দিনলিপি পড়ে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Your post has been successfully curated by @ripon0630 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
অসংখ্য ধন্যবাদ , আমার পোস্টটি পরিদর্শন করে মন্তব্য করার জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধ চা ও কেক খেয়ে আপনি স্কুলে চলে গেলেন। চমৎকার উপায়ে আপনি আপনার বাচ্চাদেরকে পড়ান। এভাবে পড়ালে বাচ্চাদের মনে এমনিতেই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। বিকেলে মোগলাই দিয়ে নাস্তা সারলেন। বোনকে সান্ত্বনা দিলেন ছেলে চলে যাবে বলে। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রতিষ্ঠিত হতে হলে চোখের আড়াল করতেই হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
একজন মা হিসেবে আপনি সন্তানের খেয়াল রাখছেন। একজন শিক্ষিকা হিসেবে প্রত্যেকটা শিশুকে আপনি শিক্ষা পাট শেখানোর চেষ্টা করছেন। এবং একজন নারী হিসেবে নিজের সংসারটাকে খুব সুন্দর ভাবেই গুছিয়ে নিচ্ছেন। আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে।
আপনার বোনের ছেলে কানাডা চলে যাবে। তাই আপনার বোন একটু মন খারাপ করছে। আসলে ছেলেরা যখন পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হবে তখন এই মায়ের মুখে হাসি ফুটবে। আপনি ঠিক কাজ করেছেন। আপনি ওনাকে সান্তনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনুরোধ করব🙏 আপনার পোস্টে লেখা প্যারা গুলো আরো ছোট ছোট করে লিখবেন। তিন থেকে চার লাইনে একটা প্যারা শেষ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার লেখা পড়তে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আশা করি কথাটা মাথায় রাখবেন।
জি অবশ্যই চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার পোষ্টের কোয়ালিটি অনেকদিন বেড়ে যাবে। এবং আপনার পোস্ট দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাবে। কেউ পড়তে বসে তার মন ভরে যাবে। আর একজন নারী তো সবকিছুই সামলাতে হয়। এটা আমরা সবাই জানি।
হেআপু ঠিক বলেছেন, পোস্ট টি পড়তে সবাই স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। আমি পরবর্তী পোস্ট থেকে চেষ্টা করব। আসলেই একজন নারীকে সব কিছু সামলানো ক্ষমতা রাখতে হয়।
প্রতিদিনের ন্যায় আপনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গিয়ে সকালের নাস্তা করে নেন। কারণ আপনাকে স্কুলে যেতে হয় প্রতিদিন সঠিক সময়ে। আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল কারণ আপনার মাধ্যমে কতগুলো শিশু আজকে শিক্ষার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আহা আপু!! আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে।আমাদের স্কুলে এসেম্বলি করাটা বাধ্যতামূলক ছিলো হোক যত শীত বা গরম,অনেক চেষ্টা করতাম মাঝে মাঝে লুকিয়ে থাকতে কিন্তু পারতাম না।একদম ৪৫ মিনিট ধরে পি টি হতো আমাদের। তবে এখন অনেক মিস করি সময় গুলো।
আসলে বাচ্চা পড়ানো মুখের কথা না,আমি বাসায় এক ঘন্টা পড়াতে গেলেই বিরক্ত হয়ে যাই সেখানে আপনারা ঘন্টার পর ঘন্টা ওদের শিক্ষা দিয়ে যান।স্যালুট সকল শিক্ষকদের ধৈর্য সহকারে বাচ্চাদের শিক্ষাদান করার জন্য।
সকাল থেকে স্কুলে পড়ানোর পরে ক্লান্তি লাগাটা স্বাভাবিক, এত অনেক ভালো করেন কাজ গুলো সকালেই গুছিয়ে নিয়ে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য, ভালো থাকবেন।
খুবই সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন আপনি ক্লাস নিয়েছেন যেহেতু আবহাওয়া খারাপ তাই ভিতরেই এসেম্বলি করাতে হয়েছে।
বাড়ি ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে সন্ধ্যায় পাকিস্তানি সেমাই এবং বাহির থেকে কিনে আনা মোগলাই দিয়ে নাস্তা করলেন।
আপনার একটু মন খারাপ কারণ আপনার বোনের ছোট ছেলে কানাডায় চলে যাচ্ছে,, এটা সত্যি বলেছেন প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আমাদের চোখের আড়াল করতেই হয়।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
মাঝেমধ্যে রান্না করি।