Better Life with Steem|| The Diary Game||12 July 2024||
![]() |
---|
Hello friends |
---|
বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার গতদিনের কাটানো সময়ের কিছু সুন্দর মুহূর্ত । সুন্দর মুহূর্ত বলছি এই জন্য কারণ হচ্ছে দীর্ঘ দিন পর এম,বি,বি,এস ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে আমার বড় মেয়ে বাসায় এসেছে । আমাদের পরিবারটি পুনরায় পরিপূর্ণ হতে পেরেছে ওর আগমনে,তাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।
![]() |
---|
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
যেহেতু মেয়ে হোস্টেল থেকে রওনা দিয়েছে, এবং প্রায় কয়েকদিনই থাকবে আমাদের সাথে ।তাই চা বিস্কিট দিয়ে সকালে নাস্তাটা শুরু করেছি ।তারপর দুপুরে রান্না গুছানোর পরিকল্পনা চলছিল । দুপুরে রান্নায় অনেক আইটেমই ছিল ।ওর পছন্দের আইটেমগুলো রান্না করেছিলাম ।তবে ওর বেকারি আইটেমগুলো খুব বেশি পছন্দ করে বলে ,বিকেলে নাস্তায় নিজ হাতে তৈরি করা বার্গার রেখেছি। তো আপনারা জানেন বেকারী আইটেম গুলো প্রস্তুত করণ প্রক্রিয়া বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ।তাই সকালেরনাস্তা শেষ করে, বার্গারের যে উপকরণ গুলো, সেগুলো গুছিয়ে নিয়েছি যাতে করে রান্নার কাজ শেষ করে বার্গারের প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারি।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
ঐ সমস্ত কাজ শেষ করে,রুম গোছানো হয়ে যাওয়ার পর,আবার রান্নার কাজে শামিল হলাম। রান্নার ঝামেলা শেষ করে , বার্গারের জন্য কাবাব তৈরি করলাম। কারণ বার্গার কাবার বানাব। কাবাব তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।
![]() |
---|
এদিকে বার্গারের ডো টা বানিয়ে চুলার সামনে রেখে দিয়েছি, যাতে করে গরম জায়গায় থেকে ফুলে ফেঁপে একাকার হয়ে যায়। ডো টা যত ফুলবে বাগার টা খেতে তত টাই সফট হবে ।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সন্ধ্যার পর রেডি করা বার্গার ওভেনে ব্রেট করতে দিয়েছি। ওভেন থেকে বের করে গরম গরম বার্গার খাওয়ার মজাই আলাদা আসলে ।এটা বলে বুঝানো যাবে না ,খুব ভালো লাগলো খেতে।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমরা সাথে সাথে খেয়ে ফেললাম সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে আজকে বার্গার ই ছিল। সাথে ছিল সমছা পিঠা ,যা আমার মেয়ে হোস্টেল থেকে নিয়ে এসেছে ।তার বান্ধবীর মা দেশ থেকে পাঠিয়েছেন আমাদের জন্য ,দুটো খাবার ই খুব সুস্বাদু ছিল ।আজকের নাস্তাটা মোটকথা বেজায় মজার ছিল।সন্ধ্যার নাস্তার পর্ব শেষ করে, রাতের খাবার টেবিলে দিয়ে দিলাম। কারণ আজ আমাদের আজকে হ্যাংআউট হয়েছে। রাতের খাবার টেবিলে গুছিয়ে রাখলাম।
![]() |
---|
হ্যাংআউট মানে আনন্দ , হ্যাং আউট মানেই মাস্তি। হ্যাং আউট থেকে বের হয়ে কিছু কাজ ছিল সেগুলো গুছিয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ পরিচিত এক ভাবির সাথে কথা বললাম মোবাইলে। প্রয়োজনীয় কোথায় ছিল । তাই প্রায় দীর্ঘ সময় ই কথা বলতে হল একটা বিষয় নিয়ে। ভাবির সাথে কথা বলার পর দেখলাম যে রাত প্রায় অনেক হয়ে গিয়েছে। তাই বিছানা য় শোয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। কারণ হলো আমাদের একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়। বেশি রাত করে ঘুমালে সকালে উঠতে খানিকটা কষ্ট হয়ে যায়।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কর্মসূচির বেশ কিছু অংশ। যা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। সবার দিনকাল একই রকম কাটে না? আর প্রতিনিয়ত আমরা কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি ।যেমন আজকে আমি ও একটি অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি যা সম্পর্কে আমার কোন পূর্ব জ্ঞান ছিল না।
পরিশেষে ,মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ওমনি আমাদেরকে রহমতের চাঁদরে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন সেই জন্য। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার বার্গার আর পিঠে দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে, আমরা তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি বিকেলের নাস্তা করে থাকি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে, হ্যাংআউটে আসলেই অনেক আনন্দ হয়, অনেক মজা হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মেয়ে বাসায় আসবে জন্য সকালে চা নাস্তা খেয়ে রান্না শুরু করে দেন আর প্রতিটি ছেলে মেয়েরই পছন্দের খাবার থাকে।। আর এগুলো তার -মা তৈরি করার চেষ্টা করে।। তেমনি আপনি আপনার সন্তানের সব রকম পছন্দের খাবার তৈরি করেছেন।।
অনেক দিন পরে মেয়ে হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরলে পরিবারে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে বাচ্চারা বাসায় না থাকলে কেমন জানি একটা শুন্যতা অনুভব হয়।
মেয়ের জন্য আজকে আপনি বার্গার বানিয়েছিলেন বিকেলের নাস্তায়। সাথে ছিল মেয়ের বান্ধবীর মায়ের হাতে বানানো সমুছা।
রাতে আবার হ্যাং আউট এ যোগ দিয়েছিলেন। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরেন।
সারাদিন বেশ সুন্দর কেটেছে আপনার আমি বার্গার খেতে বেশ পছন্দ করি। তবে আপনার মত আমার বার্গারের দোটা এত বেশি সুন্দর হয় না।
কেমন যেন চুপ সে যায়, তবে জেনে উপকৃত হলাম এটাকে রেখে দিলে আরো বেশি ফুলে যায়, সন্ধ্যার নাস্তা বেশ জমজমাট ছিল এর পরে রাত ছিলো আমাদের কমিউনিটির হ্যাংআউট।ধন্যবাদ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।