Better Life with Steem|| The Diary Game||04 June 2024||
![]() |
---|
Hello friends |
---|
বন্ধুরা আবারো চলে আসছি আপনাদের মাঝে আমার গতদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কিছুদিন যাবৎ শারীরিক ও পারিবারিক ঝামেলার জন্য নিয়মিত পোস্ট করতে পারছি না। তাই ভাবলাম এখন যেহেতু একটু সময় হয়েছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমার গতদিবেন কার্যক্রমগুলো।
সকালের কার্যক্রম সমূহ |
---|
গতকাল ছিল বৃষ্টি ভেজা একটি দিন। যা আমার পছন্দের একটি দিন। অর্থাৎ বৃষ্টি ভেজা দিন আমার খুব ভালো লাগে, রিমঝিম শব্দে পরিবেশটাকে উপভোগ করা যায় মনের মত করে ,অনেকটা নিজের মতো করে । তবে মাত্রা অতিরিক্ত বৃষ্টি খুব একটা ভালো নয়, কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাপনে অনেকটা ব্যাঘাত ঘটে। তবে গতকালকের বৃষ্টিটি খুবই উপভোগ্য ছিল। রিম ঝিম রিম ঝিম বৃষ্টি প্রায় দিনের সিংহ জুড়েই ছিল, এতে করে তীব্র গরমটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আমার মনে হলো আল্লাহপাকের রহমত হিসেবে বৃস্টিটা এসেছে।
যাই হোক বন্ধুরা ,সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে কর্মস্থলে চলে গেলাম। আমার প্রতিষ্ঠানে এখন একসাথে পরীক্ষা এবং ক্লাস চলছে আমার গতকালকে ছিল পরীক্ষার ডিউটি তাই খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার খুব একটা তারা ছিল না। অনেকটা দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছি ।তাছাড়া শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না আজকাল, এই ভালো তো এই মন্দ এই নিয়ে চলছে কোন রকম। তাই সকালে যেহেতু স্কুল ছিল না তাই সাড়ে নটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছি। আজ সকালে নাস্তা এবং দুপুরের রান্না একসাথে শেষ করে ফেলেছি। কারন আমার আসতে আসতে প্রায় দেড়টা বেজে যাবে,তখন এসে রান্না করা সম্ভব না ।তাছাড়া সবাই একসাথে বাসায় ঢুকবো তখন, রান্না করে দুপুরের খাবার খাওয়া একেবারেই অসম্ভব । তাছাড়া তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ডিউটি করে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি । সেজন্য আমার পক্ষে দুপুরে রান্না করা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার, বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে। খানিকক্ষণ পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে যাই ,তাই একটু বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হয় আমাকে।
![]() |
---|
যইহোক বন্ধুরা পরীক্ষার হলে ডিউটি দেওয়ার সময় বৃষ্টির কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তুলে রেখেছিলাম। এবং সাথে পুরো হল খালি হয়ে গিয়েছে একটি মেয়ে বসেছিল ঘন্টার পূর্ব লগ্ন পর্যন্ত ,তাই ঐ একটি মেয়েকে দুজন টিচার গার্ড দিয়েছিলাম। বিষয়টি দেখে আমার কাছে একটু অবাক লাগলো , কিছু কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে সময় সম্পর্কে বেশ সচেতন তারা একটি মুহূর্ত অপচয় করতে চায় না, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করে। সত্যি বলতে আমার কাছে ভালই লেগেছিল বিষয়টি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
![]() |
---|
তারপর স্কুল থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছি কারণ খুব খিদা লেগেছিল ।সাধারণত আমি এই কাজটা করি না, জোহরের নামাজটা আদায় করে তারপর দুপুরে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি ।কিন্তু আজ একটু ব্যতিক্রম হয়েছে কারণ প্রচন্ড খিদে লেগেছিল। অবশ্য স্কুলে এক কাপ চা ও বিস্কিট খেয়েছিলাম টিফিন হিসেবে। তারপর ও কেন যেন পচন্ড খিদে লেগেছিল হঠাৎ করে তাই দুপুরের খাবার খেয়ে জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
দুপুরের কার্যক্রম সমূহ |
---|
দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ডাইনিং গুছিয়ে একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর অনেকগুলো কাপড় ছিল সেলাই করার জন্য বেশ কিছুদিন যাবতই করবো করবো বলে ভাবছি ,কিন্ত আর কোন ভাবেই করা হচ্ছে না। তাই আজ আর অলসতা না করে মেশিনটা বের করে কয়েকটি ব্যবহারের কাপড় সেলাই করে নিলাম।
![]() |
---|
তারপর আছরের সময় হয়ে গেল তাই আসরের নামাজ আদায় করে রুমগুলো গুছিয়ে ফেললাম। এরই মধ্যে বড় মেয়ে বাসায় চলে আসলো ।তাই ওকে আবার ওভেনে খাবার গরম করে দিলাম। কারণ আমি ভেবেছিলাম ও আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাবে তাই খাবারগুলো ফ্রিজে ঢুকিয়ে ফেলেছি। সেজন্য খানিকটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে তাই আবার ওভেনে গরম করে ডাইনিং এ দিলাম ।
সন্ধ্যা ও রাতের কার্যক্রম সমূহ |
---|
সন্ধ্যার পর সাহেব বাজার নিয়ে আসলো সাথে নাস্তাও ছিল তবে আজকের নাস্তাটি খুব বেশি ভারী ছিল না। ব্রেড, কলা ও কেক সাথে লিচু ছিল।
![]() |
---|
আমি মনে হয় আমার পূর্বের কোন এক পোস্টে শেয়ার করেছিলাম যতদিন বাজারে লিচু থাকবে আমার বাসায় লিচু আনার চেষ্টা করে ।কারণ লিচুটা আমাদের বাসার সবাই খুব পছন্দ করে খায় ।আর এই লিচু খুব অল্প সময়ের জন্য বাজারে থাকে। তাই যত দিন বাজারে লিচু পাওয়া যায়, ততদিনই বাসায় লিচু আনার চেষ্টা করে বাচ্চাদের জন্য।
সবাই মিলে নাস্তা করে রাতের রান্না করার জন্য কিচেনে চলে গেলাম ।রান্না শেষ করে ডাইনিংয়ে খাবার দিয়ে দিলাম। তারপর ভাবলাম যে একটি পুডিং বানাবো কিন্তু শরীরের সায় দিচ্ছে না তাই আর বানালাম না।
এভাবেই চলে গেল আমার একটি দিন ।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ,আমি ও আপনাদের জন্য দোয়া করি ।সবাই যেখানে যেখানে আছেন ভালো থাকবেন, মঙ্গলে থাকবেন ,সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
কাল আমাদের এখানেও সন্ধ্যার পর থেকে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দিনের বেলা আবার প্রচন্ড রোদ উঠেছে আজকে।
পরীক্ষার হলে ডিউটি দেওয়ার সময় সুন্দর বৃষ্টিস্নাত মুহুর্তগুলো ধারণ করে রেখেছেন। এই মেয়েটির মতন আমিও একদম শেষ পর্যন্ত লেখার চেষ্টা করতাম।
লিচু আমারও প্রিয় একটি ফল। কিন্তু এর সিজন খুব কম সময় থাকে বলে মন খারাপ লাগে।
যাই হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
বৃষ্টি আমারও অনেক পছন্দের কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি অনেক সময় বিরক্তিকর এর কারণ হয়ে যায়। আমাদের এখানে প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হয় কিন্তু যদি যেদিন রাতে বৃষ্টি হয় ঘুমটা অনেক সুন্দর হয়। এবং যখন প্রতিদিন বিকালে বৃষ্টি হয় তখন অনেক খারাপ লাগে কারণ কাজ করে এসে রান্না করতে হবে তার উপরে নিজে গোসল করে ফ্রেশ হতে হবে যেগুলো করতে গিয়ে অনেকটা ঝামেলার মধ্যেও যেতে হয়।
বাংলাদেশে কয়দিন ধরে শুনছি অনেক রোদের তাপমাত্রা অনেক বেশি গরমের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বৃষ্টি হয়েছে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে ভালো লাগলো কিছুটা ঠান্ডা হাওয়া উপভোগ করেছেন আশা করি।
বৃষ্টি আমারও খুব ভালো লাগে তবে একটানা অনেক সময় হলে খুব বিরক্ত লাগে। আর তাছাড়া বৃষ্টি হলে গ্রামের রাস্তাঘাট সব কাদা হয়ে যায় যেটা আরও বেশি বিরক্তিকর। সারাদিন কত ব্যস্ত সময়ই না পার করেন। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
হ্যা অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না, সেটা রোদ হোক বা বৃষ্টি। বৃষ্টি হলে অবশ্য গাছপালা ও সর্বোপরি প্রকৃতি সতেজতা লাভ করে, তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলেও অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার মতো আমিও একটুও গান জানি না।ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
বৃষ্টি ভেজা দিন সকলেরই কমবেশি পছন্দ। কিন্তু হ্যাঁ আপনি একটা কথা বলেছেন অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। কারণ প্রয়োজনের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়ে গেলে মানুষের জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটে।
পরীক্ষার হলে ডিউটি থাকার কারণে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছেন। পরে তাড়াতাড়ি রান্নাবান্না সেরে স্কুলে গিয়েছেন।
এমনি ক্লাস নেয়ার থেকে, পরীক্ষার হলে দাঁড়িয়ে ডিউটি করা আসলেই অনেক কষ্টকর।
অনেকদিন থেকে কাপড় সেলাই করবেন কিন্তু অলসতার কারণে সেলাই করা হয় না। আপনি যেমন সেলাই করতে অলসতা করেন। ঠিক আমিও কাপড় আয়রন করতে অলসতা করি।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
প্রতিটি সালাত ওয়াক্তের সাথেই আদায় করেছেনবিষয়টি জেনে ভালো লাগলো।আর আপনি আজকে অত্যন্ত খিদা লাগার কারনে আগে খাওয়া করে তারপর যোহরের নামাজ আদায় করেন।আপনার বাসায় সাবই লিচু পছন্দ করে।লিচু আমারো অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল।আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সুন্দর দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যাইহোক আপনার পারিবারিক সমস্যার কারণে, আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে আপনার লেখা শেয়ার করতে পারছেন না। কিন্তু আজকে যখন সময় পেলেন তখন আপনার লেখা নিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলেন। আসলে মানুষের চেষ্টা সবচাইতে বড় জিনিস। আমাদের জীবনের সময়ের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, আমাদেরকে চেষ্টা করে যাওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে একটা সময় হলেও আমরা জীবনে সফলতা অবশ্যই অর্জন করতে পারব।
যে কোন জিনিসের প্রতি আমরা যখন অলসতা শুরু করি। তখন সেই জিনিসটা আমাদের কাছ থেকে একটু একটু করে দূরত্ব বজায় রাখে। দিনশেষে দেখা যায় আমরা সেই জিনিসটাকে ভুলে যাই অথবা সেই জিনিসটা নষ্ট হয়ে যায়। তবে আপনার বাসার সবাই লিচু পছন্দ করে জানতে পেরে ভালো লাগলো। লিচু আমার বড় ছেলে অনেক পছন্দ করে তবে আমি খুব কম। অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বিশ্বাস রাখুন একমাত্র সৃষ্টিকর্তার উপর, তিনি যখন যে পরিস্থিতিতে আমাদেরকে রাখে না কেন? অবশ্যই তার শুকরিয়া আদায় করা উচিত! আমরা চাইলেই কিন্তু ভালো থাকতে পারবো না! যদি উনি না চায়। তাই মনে মনে বিশ্বাস এবং আস্থা একজনের উপর রাখাটাই উত্তম। তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য সুখের দিন সামনে রেখে দিয়েছে।