ঈদের দিনের কিছু লোভনীয় খাবার
আবারো চলে আসছি আপনাদের মাঝে। বেশ কিছুদিন আপনাদেরকে পোস্ট উপহার দিতে পারিনি বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণেই। তবে ওই সব দিনগুলোতে আমি আমার পরিবার পরিজনদের সাথে কিভাবে কেটেছি এবং কি ধরনের খাবার খেয়েছি কোথায় গিয়েছে এগুলোই আমি আসলে সময় সুযোগ করে ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
সত্যি বলতে এই প্লাটফর্মের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রতিটি মুহূর্তেরই স্বাক্ষর রেখে দেওয়ার চেষ্টা করি,যাতে করে সাথে সাথে না পারলেও সময় সুযোগ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। কোরবানির ঈদে দেশে গিয়েছিলাম তা তো আগেই বলেছি। ঈদ প্রতিটি মানুষের জন্যই একটি উৎসব মুখর দিন। আট দশটি দিনের চেয়ে একটু আলাদা। তাই পোশাক এবং খাবারেও থাকে ভিন্নতা।
কুরবানীর ঈদে আমাদের ঈদের জামাত টা একটু সকাল সকালেই হয়ে যায়, কারণ হচ্ছে কোরবানি দেওয়ার একটা বিষয় থাকে। তাই ঈদের দিনে রান্নাবান্না টাও একটু সকালেই করতে হয়েছে ।আমার যায়েরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে নদী থেকে পানি নিয়ে আসে। আমার শ্বশুরবাড়িতে যাবতীয় রান্নার কাজ নদীর পানি দিয়েই হয়। মেঘনা নদীর কূল ঘেঁষে ই আমার শ্বশুর বাড়ির গ্রাম ।
ঈদের দিন যে সমস্ত খাবার রান্না করা হয়েছিল বা তৈরি করা হয়েছিল এর মধ্যে ছিল কেক, চটপটি ফুচকার বিভিন্ন ধরনের পিঠা পোলাও মাংস।
আর সেই ঐতিহ্যবাহী খাবার চালের রুটি আর গরুর মাংস তো ছিলই। তবে এই সব বেশিরভাগ রান্নাই আমাদের পরিবারের মেয়ে সদস্য গুলো করেছে ।বিশেষ করে যারা ঈদ করার জন্য দেশে গিয়েছে তারা সবাই মিলে একেক জন একেকটা খাবার তৈরি করেছে। যেমন আমার ছোট মেয়ে তৈরি করেছে কেক। বড় মেয়ে ফুচকা। আমার ভাসুরের মেয়ে চটপটি আর আমার যায়েরা তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের পিঠে।
আমার বড় বাসরের ছেলের বউ রান্না করে পোলাও মাংস। সব জায়েযা একসাথে মিলে বানিয়েছি চালের রুটি, সত্যি কথা বলতে কি বন্ধুরা সে এক মহা আনন্দ। বাসায় আসার পর থেকে আসলেই পরিবেশটা আমি খুব মিস করছি। আমি ঘরের কোণে বসে থাকতে অভ্যস্ত নই। একপ্রকারের দম বন্ধ হয়ে আসে আমার। দেশের বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমারই আগ্রহ বেশি থাকে সবসময়।
এখন প্রচন্ড গরম দেশে কিন্তু প্রচুর কারেন্ট যায় ।তারপরও সবার সাথে থাকার মধ্যে একটা আনন্দ রয়েছে, ভালোলাগা রয়েছে, ভালোবাসা তো রয়েছেই। তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তা না হলে এত কষ্ট করে যাওয়ার মানেই হয় না।
খাবারগুলো তৈরি করে সবাই যখন একসাথে বসে খেতে বসেছি ,তখন পরিবেশটা এত সুন্দর হয়েছিল যা আমার স্মৃতি মনি কোঠায় আজীবন গেঁথে থাকবে। প্রয়োজনের তাগিদে বাহিরে থাকলেও পরিবারের জন্য আলাদা একটা টান সবসময় কাজ করে। আর আমার মনে হয় যতদিন পৃথিবীতে থাকবো ততদিন ঝামেলা থাকবেই। এর মধ্যেই নিজেকে সময় দিতে হবে পরিবার-পরিজনদেরকে সময় দিতে হবে ।সময় সুযোগ মতো তাদের সাথে দেখা করতে হবে।
এতে করে আগামী প্রজন্মের মধ্যে দূরত্ব কম হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে। তার জন্য আমাদের বাবা মা দের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা উচিত। ছেলে মেয়েদেরকে সময় দেওয়া এবং বিভিন্ন উৎসবে পরিবার-পরিজনদের সাথে সময় কাটানো ব্যবস্থা আমাদেরই করতে হবে ,তথা করে নিতে হবে।
বন্ধুরা আমি আমার মত করে ঈদের দিনের খাবার মেন্যু আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম ।আশা রাখি আপনাদের ভালো লাগবে আপনারাও আপনাদের ঈদের মেন্যু আমাদের সাথে শেয়ার করবেন তাতে করে একে অপরের সম্পর্কে জানতে পারবো। এই প্ল্যাটফর্মের সকল সদস্য মিলে আমরা একটি পরিবার ।তাই আমরা সবাই সবার সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে দীর্ঘদিন পাশে থাকতে চাই।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
ঈদ আপনাদের কাছে অনেক ঐতিহাসিক তাই এদিন পরিবারের সকলে মিলে অনেক মজার মজার খাবার খেয়ে থাকেন। আপনিও অনেক মজাদার খাবার বানিয়েছেন। আপনার বানানো কেক দেখে লোভ লাগছে কারন আমি ব্যক্তিগতভাবে কেক অনেক ভালোবাসি। আর তার পাশাপাশি ফুসকা ও চটপটিও বানিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঈদের দিনে আপনি যে সকল লোভনীয় খাবার গুলো তৈরি করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল এবং আপনি যে ছবিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো অনেক ভালো ছিল, আসলে ঈদের সময় বিভিন্ন লোকের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লবণীয় খাবার তৈরি করা হয় এবং আপনি যে খাবারগুলো তৈরি করেছেন দেখলেই খেতে মন চায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঈদ হলো আপনাদের কাছে সবথেকে বড় উৎসব। আপনার মত আমিও এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হওয়ার পর সব ছবি রেখে দেয়ার চেষ্টা করি। যাতে সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারি। ঈদের দিন আপনি অনেক ভালো ভালো সুস্বাদু খাবার বাড়িতে তৈরি করেছেন। আসলে উৎসবের দিনে ভালো ভালো খাবার খেতে সবার খুব ভালো লাগে। এই সুন্দর মুহূর্ত পোস্টে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দেশের বাড়িতে ঈদ আসলে অন্য রকমের হয়ে থাকে। আগে আমার শশুর বাড়িতেও সবাই যেত ঈদ করার জন্য। কিন্তু শাশুড়ি মারা যাওয়ার এখন আর কেউ যায় না ঐভাবে। গেলেও সকালে গেলে বিকেলেই চলে আসে।
সবাই নারায়নগঞ্জ আর ঢাকাতেই থাকে। বাবার বাড়িরও একই অবস্থা।
আমি খুব মিস করি সেই পুরোনো দিন গুলি। আপনাদের ঈদ উদযাপন খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ম্যাম সুস্বাদু সব খাবারের মধ্যেই বোধয় ঈদ আনন্দ নিহিত। আমাদের দেশের প্রতিটি বাড়িতেই ঈদের দিন অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না হয়। সবাই মিলে বেশ মজা করেই খাবারগুলো খেয়ে থাকে। আমাদের এদিকে সেমাই ও মাংস পোলাও এর প্রচলন সবথেকে বেশি। তবে আপনাদের এলাকার আয়োজনের কথা শুনেও অনেক ভালো লাগলো। সবাই একেক ধরনের আইটেম তৈরি করেছেন। সব মিলিয়ে ঈদের দিন বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলেন।
ঈদ আমাদের প্রতিটি মানুষকে আনন্দিত করে। সকল ভেদাভেদ ভুলে ঈদের দিন আমরা সকলে একত্রে ঈদগাহে মিলিত হই। ঈশ প্রতিটি দিন যদি এমন মিলনমেলা হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। ভালো থাকবেন ম্যাম। শুভকামনা রইলো।