ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের নিদর্শন

in Incredible India10 months ago (edited)
IMG20231108134820.jpg বাঁশের তৈরি নানা ধরনের জিনিস

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা।

সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন সেই প্রত্যাশায় আজ ও আমার লিখা শুরু করেছি। গ্রামীণ জীবনের সাথে কিছু ঐতিহ্যবাহী জিনিস পত্র রয়েছে যা এখনো
ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আমরা যারা শহরে থাকি। তাদের জীবন ধারা ও গ্রামীণ জীবন ধারার মধ্যে কিছু টা পার্থক্য রয়েছে।কৃস্টিকালচার ও ভিন্ন রকমের হয়।
তাদের সব কিছুতেই সরলতার ছোঁয়া বিরাজমান।

যে যার মতো করে উপার্জনের পথ বেছে নেয়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া কাজকর্ম গুলো কে ই
বেশি প্রাধান্য দেয়।

IMG20231108134841.jpg

তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য ঐ সব পেশা কে ই আঁকড়ে ধরে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তারা।যুগ যুগ ধরে ই তারা এই সব কাজের সাথে জড়িত আছেন। এমন অনেক ধরনের পেশা ই আছে যা গ্রামের সহজ-সরল মানুষ করে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।আজ এমনি একটি পেশা নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

IMG20231108134807.jpg দাদার সাথে বসে ব্যবসা শিখছে

কুটির শিল্পের সাথে জড়িত আছে, হাজারো মানুষ।
তারা তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে
সামগ্রী নিজ হাতে তৈরি করে। এবং এই সব পন্য সামগ্রী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।
আজ আমি আপনাদের একটি স্থানীয় বাজারে গিয়ে ছিলাম। কিছু কেনাকাটা করতে।

বাজারে প্রবেশ করতেই দেখতে পেলাম এই সব পন্য সামগ্রী গুলো। এগুলো বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের
পন্য সামগ্রী।যা স্থানীয় লোকজন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে থাকেন। শীতের আমেজ বিরাজ। শীতে নতুন ধান ঘরে আসবে।আর
এই ধান রোদে শুকানো কাজে এই বড় বড় ঢালাও ঝুরি ব্যবহার করা হয়।

IMG20231108134815.jpg

ঝুরি গুলো আর ও অনেক ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। শাক সবজি টাটকা রাখার জন্য শীতে ঘরের
চালে বা মাচায় রেখে দেওয়া হয় যাতে করে ঐ শাকসবজি গুলো কুয়াশা পড়ে টাটকা থাকে।
আর ঐ সব শাকসবজি শীতের মিষ্টি রোদে বসে
মা চাচিরা রান্নার জন্য কেটে প্রস্তূত করে নেয়।

আর এই শাক সবজি কাটার সময় মেতে ওঠে খোশ
গল্পে। তাদের চাওয়া পাওয়া হিসেব ভিন্ন রকমের।
অল্প তেই তারা তুস্ট। তাদের জীবনে এতো বেশি হাহাকার ও নেই। আমাদের মতো চাওয়া পাওয়া হিসেব কষতে কষতেই জীবন শেষ করে দেয় না তারা।

তাদের জীবনে রয়েছে অনেক ছন্দ।এই সব পন্য সামগ্রী বানানোর সময় তারা লোক সংগীত, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া গান ও আপন মনে
গাইতে থাকেন,আর তৈরি করে নানা ধরনের বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র। পুরুষ ও নারী উভয়েই এই সব পন্য সামগ্রী তৈরি করে থাকেন।

IMG20231108134829.jpg

এই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র গুলোর সাথে মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্য। তাই এই ঐতিহ্যবাহী পেশা গুলো কে লালন করতে হবে। তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের নিপূণতারছোঁয়ার সাধারণত জিনিস গুলো অসাধারণ হয়ে যায়। তাই তাদের কাছের স্বীকৃতি দিতে হবে। অবহেলার চোখে দেখলে
হবে না।

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে।আমরা খুব বেশি আরাম প্রিয় তো বটেই সৌখিন হয়ে গেছি।এই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র গুলো তেমন একটা ব্যবহার করতে চাইনা
তাই তারা এই সব পন্য সামগ্রী বানাতে দিন দিন অনিহা প্রকাশ করছেন।বেশি বেশি এই সব পন্য সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। এবং আমাদের ঐতিহ্য কে ধরে রাখতে হবে। এই সব পুরোনো পেশা গুলো কে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

আজ আর নয়। সবাই কে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মত এখানেই লিখার সমাপ্তি টানছি।

আমার ব্লগ টি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
Sort:  

দেশ উন্নতি হওয়ার কারণে এই গুলো সব সময় দেখা যায় না কিন্তু আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বাঁশের তৈরি কিছু জিনিস দেখতে পেলাম তাই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।

 10 months ago 

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য।হে ভাইয়াএটি একদমই ঠিক বলেছেন।দেশ উন্নতির ফলে জীবন যাপন উন্নত হয়েছে।সে টা সত্য কিন্তু ঐ পুরোনো জিনিসের প্রচলন ও রাখতে হবে। ভালো থাকবেন।

বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যবহার করা হয়। আমরাও আমাদের বাড়িতে বাঁশের তৈরি জিনিসগুলো ব্যবহার করে থাকি।
বাঁশ দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়, আমাদের গ্রাম্য ভাষায় বলে এগুলোর অনেক নাম রয়েছে।
আজকে আপনি পুরনো দিনের সেই ঐতিহ্যগুলো তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করেন তাদের ভালোভাবে দেখে উপলব্ধি করা দরকার। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা তো এগুলোর সাথে পরিচিত। সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 10 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
হে একদম ই ঠিক বলেছেন আপনি। গ্রামের লোকজন এখনো এই সব জিনিসপত্র ব্যবহার করে তবে, আগের চেয়ে একটু কম। ভালো থাকবেন সবসময়।

Loading...
 10 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আগের যুগের কিছু জিনিসপত্র দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।প্রযুক্তির উন্নয়নে এগুলোর বিকল্প কিছু তৈরি হচ্ছে এখন । দিন যতই এগোচ্ছে পুরাতন এই জিনিসগুলো বিলুপ্তি হচ্ছে।

 10 months ago 

খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য টি পড়ে। আসলেই ভাইয়া। আধুনিকতার ছোঁয়ায়, পুরোনো জিনিস এর কদর কমে যাচ্ছে দিন দিন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 months ago 

বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বর্তমান সময়ে প্রচলিত রয়েছে ৷ কারন এই গুলোর ব্যবহার বর্তমান রয়েছে ৷ বাজারে এই সব বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখা যায় ৷

ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷

 10 months ago 

হে ভাইয়া তবে আগের চেয়ে অনেক কম।এখন আমরা প্লাস্টিকের দিকে বেশি নজর দেই।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।

 10 months ago 

আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে অনেক পরিবার রয়েছে যাদের কর্মস্থান বাঁশের তৈরি খুব সুন্দর সুন্দর জিনিস বানিয়ে বিক্রি করে তা দিয়েই দৈনন্দিন জীবিকা উপার্জন করে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করছেন বাঁশের তৈরি প্রতিটা জিনিস।

 10 months ago 

তাই তাহলে তো ভালই হলো।আপনি এই ধরনের
জিনিস গুলো সাথে খুব ভাবে ই পরিচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 10 months ago 

Most welcome

 10 months ago 

ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58474.85
ETH 2500.10
USDT 1.00
SBD 2.39