চাঁদ রাতের আনন্দ
ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক।
ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশি। আর এই খুশির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত। ঈদের পূর্ব রাত বরাবরই খুব আনন্দের হয়। এটি হোক ঈদুল আযহা বা ইদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছি আমাদের কর্মস্থলেই অর্থাৎ আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এ। তাই ঈদুল আযহা উদযাপনের জন্য দেশে চলে গিয়েছিলাম। এর কারণ হচ্ছে বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলো আপনজনদের সাথে কাটাতেই বেশি ভালো লাগে।
যেহেতু সপরিবারে গিয়েছিলাম দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করার জন্য তাই ছেলেমেয়েরা ঈদের পূর্বের দিন রাতে বেশ কিছু আতশবাজি কিনে নিয়েছিল সবাই মিলে আনন্দ করবে বলে। আর সেই আনন্দে আমিও সামিল হয়েছিলাম। আমি পূর্বেই বলেছি আমরা যৌথ ফ্যামিলিতে থাকি। তাই যেকোনো ছোটখাটো আনন্দই এক বিশাল আকার ধারণ করে।
ছোট বড় সবাই মিলে আনন্দে মেতে উঠেছি। তাছাড়া আমার কাছে এই ধরনের আতশবাজি ছোটবেলা থেকেই খুব ভালো লাগে। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়িতে অনেক মেহমান এসেছে তাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরাও অংশগ্রহণ করেছিল এই আতশবাজিতে। আমার ছেলে মেয়েরাও আনন্দে সামিল হয় ।ওদের দেখে আমি নিজেও আর নিজেকে ঘরের ভিতরে আবদ্ধ রাখতে পারিনি চলে গিয়েছিলাম আনন্দে সামিল হতে।
আর আমাদের আনন্দের স্বাক্ষর রেখে দিয়েছি বেশ কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। তাই এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ঈদের সাথে বিশেষ কিছু মুহূর্ত জড়িত থাকে এর মধ্যে একটি হচ্ছে হাতে মেহেদি পরা এবং বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি জ্বালিয়ে ঈদকে স্বাগত জানানো। বিভিন্ন ধরনের তারাপাতি কিনে এনেছিল তারা আর এক একটার পর এক একটা ধারাবাহিকভাবে জ্বালাচ্ছিল আর সবাই হয়ে উৎসবে মেতে উঠেছিল ক্ষণিকের জন্য ,হারিয়ে গিয়েছিলাম নতুন এক ভুবনে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোকেরই ভিন্ন কিছু বিশেষ উৎসব থাকে আমরা যারা মুসলিম ধর্মা অবলম্বী তাদের জন্য দুটো ঈদ অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ এবং আনন্দঘন মুহূর্ত। এই দুটো দিনের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে থাকি কখন আসবে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। দূর দূরান্ত থেকে সবাই ছুটে যায় আপনজনদের কাছে ,আপন নীড়ে ঈদ উদযাপন করার জন্য।
আর এই কুরবানীর ঈদের মূল আকর্ষণ যদিও কুরবানীর পশু তার সাথে হাতে মেহেদি পরা আতশবাজি এগুলো ও জড়িয়ে থাকে। নতুন কাপড় চোপড় খুব একটা যদিও এই ঈদে কেনা হয় না। মূলত কুরবানীর পশুই এই ঈদে বিশেষ করে কেনা হয়ে থাকে। এর সাথে মেহেদী ও বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি ছোট বাচ্চারা কিনে আনন্দ উদযাপনের জন্য। আনন্দের মাত্রাকে দ্বিগুণ মাত্রায় রূপান্তরিত করার জন্য।
সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি জ্বালিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছিলাম। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এই আনন্দঘন মুহূর্তটি শেয়ার করি। যাতে করে আপনাদের অতীত স্মৃতি ও মনে পড়ে বা কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো ও আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন বা করার সুযোগ পাবেন।
বিশেষ দিনগুলো সাধারণত আমরা বিশেষভাবে কাটাতেই চেষ্টা করি যার যার সাধ্যমত। আমি মনে করি বিশ্বের সমস্ত মুসলিম উম্মার জন্যই এটি একটি মহিমান্বিত দিন এবং আনন্দঘন একটি দিন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করেছি এবং সপরিবারে কর্মস্থলে ফিরে এসেছি।
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
চাঁদ রাত আমাদের সবার জন্য খুবই মূল্যবান। আর এই রাত আমরা খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন করে থাকি। বিশেষ করে গ্রামে যারা থাকে তারা তো অন্যরকম ভাবে এই রাত উদযাপন করে থাকে। আপনারা যেহেতু সহ পরিবারে ঈদ করার জন্য গ্রামের এসেছেন। তাই সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন।
কোরবানির ঈদের অন্যতম উৎসব হচ্ছে পশু। আর এই পশুর সাথে আমরা অনেকেই অনেকভাবে আচরণ করে থাকি। কিন্তু সকালবেলা তাদেরকে জবাই করে দেয়া হয়। তাদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে। ভাবতেই অবাক লাগে যে পশু রাত্রি বেলা দাঁড়িয়ে ছিল। সকালবেলা তাকে জবাই করে আবার রান্না করে খাওয়া শুরু করি। আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পাওয়া একটা নেয়ামত এছাড়া আর কিছুই না। ধন্যবাদ চাঁদ রাত সম্পর্কে আপনার অনুভূতি আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
চাঁদ রাতের আনন্দের কথা বলে কি আর বোঝানো যায়। যার কাছে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয়েছে তা হয়তো আমরা সবাই জানি এবং আপনি যে কতটা পরিমাণে আনন্দ করেছেন সেটা আপনি পোস্ট করে বুঝা যায়। আপনার তো অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চাঁদ রাত বা ঈদের আগের দিনের অনুভূতি ঈদের দিনের অনুভূতির চেয়েও অনেক বেশি হয়ে থাকে।আমার কাছে এমন মনে হয় তবে জানিনা সবার ক্ষেত্রে এমন অনুভূতি হয় কিনা।ঈদ আসলে সবার মন চায় আপনজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। তেমনটা থেকে আপনিও ভিন্ন নন।ঈদের আনন্দের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে আতশবাজি আর মেহেদী। যাই হোক খুব সুন্দর একটা দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
ঈদ হল আপনাদের বড় উৎসব। ঈদ মানে তো খুশি হবেই। যেকোনো উৎসবে আপনজনের সাথে সময় কাটানো সত্যি খুব আনন্দের মুহূর্ত তবে আমিও শুনেছি ঈদের আগের দিন নাকি চাঁদ রাত হয়। সেদিন সকলে হাতে মেহেন্দি করে। তবে আপনাদের মত আমিও বাজি ফাটাতে খুব ভালোবাসি। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামের চাঁদ রাত আসলেই খুব আনন্দের হয়ে থাকে। আর সেটা যদি হয় যৌথ পরিবারের তাহলে তো আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। এমনি এক পরিবারে আমি অনেকবার চাঁদ রাত পালন করেছ। মেহিদি পড়া ,রাত জেগে গল্প করা ,আতশবাজি পুরানো সবকিছুই মনে পরে যাচ্ছিলো আপনার লেখা পড়তে গিয়ে। কিন্তু সেগুলি এখন শুধুই স্মৃতি।
ঢাকায় তো চাঁদ রাতই নাকি অন্যকোনো সাধারণ রাত সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। শুধু রাস্তায় বের হল দেখা যায় সব ফাঁকা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।