আজ সন্ধ্যার নাস্তায় ছিল পছন্দের একটি খাবার
![]() |
---|
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি সন্ধ্যার নাস্তায় আমার পছন্দের একটি খাবার কি ছিল, তাই নিয়ে কিছু কথা। যত কিছুই করি পরিবারের কথা ভেবেই চলতে হয় আমাদের এবং কখন কি করব ওভাবে মাইন্ড সেট করে রাখি আমরা। স্বাভাবিকভাবেই সন্ধ্যার নাস্তায় কি খাব তাই নিয়ে ভাবতেছিলাম বিকেল থেকেই ।তাছাড়া সাহেব মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য বের হয়ে গিয়েছেন বলে যাননি নাস্তা পাঠাবে কিনা, তাই অনেকটাই অনিশ্চিত।
![]() |
---|
এদিকে ছেলের ২৩ তারিখ থেকে প্রি টেস্ট পরীক্ষা মেয়ের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা ।সন্ধ্যার পর নাস্তা খাওয়ার পরেই সাধারণত তারা পড়তে বসে। তাই ভাবলাম ফ্রিজে যেহেতু ফ্রোজেন কাবাব রয়েছে সেগুলোকে ডিম দিয়ে যদি ভেজে দেই,তাইলে তারা খেয়ে ফেলতে পারবে।আর আমার বাসায় কাবাবটা সবাই কম বেশি পছন্দ করে। আমি নিজেও কাবাব খুব পছন্দ করি ।বিয়ে বাড়িতে গেলে প্রথমে আমি যেটি খায় সেটি হচ্ছে কাবাব।
![]() |
---|
কাবাব গুলো যেহেতু ডিপে রাখা তাই মাগরিবের নামাজের আগে বের করে রেখেছিলাম।তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে দুটি ডিম ফেটে ডিমের মধ্যে কিছু চটপটির মসলা দিয়ে ফ্রোজেন কাবাবগুলো একে একে বেছে নিলাম ।যেহেতু ফ্রোজেন করা ছিল তাই একসাথে তিন চারটা করে ভেঁজে নিতে পারছি। কোন সমস্যা হয়নি তাছাড়া ডীপে রাখার কারণে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম ছিল ।ফ্রোজেন কাবাবগুলো যখন ভাজি তখন ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে নিশ্চিন্তে ভেজে নেওয়া যায়।
![]() |
---|
![]() |
---|
বন্ধুরা প্রতিদিন একই ধরনের নাস্তা ভালো লাগে না, মাঝে মাঝে একটু ব্যতিক্রম কিছু হলে ভালো লাগে। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ ফ্রিজ পরিষ্কার করার একটা পরিকল্পনা রয়েছে মাথায়।সেজন্য ফ্রোজেন করা জিনিসগুলো আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলছি। কোরবানির ঈদের আগে দুটো ফ্রিজ ই পরিষ্কার করে ফেলব। যদিও আমরা ঈদ কোথায় করবো তা নিয়ে এখনো সন্দিহান। সাহেবের ডিসিশন ই চূড়ান্ত ডিসিশন।
এদিকে পরশুদিন অর্থাৎ মে মাসের ২০ তারিখ আমার বড় মেয়ের এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেন আমার মনের আশা পূর্ণ করেন এবং আমার মেয়ের পরিশ্রম সার্থক করেন। কিছুক্ষণ আগে সে আমাকে ফোন দিয়েছিল কথার ধরন দেখে বুঝলাম সে অনেকটাই চিন্তিত। তাই মাগরিবের নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাইলাম। আল্লাহ যেন আমার মেয়ের পরীক্ষা সহজ করে দেন।
প্রতিটা বাবা মা ই ছেলেমেয়ের সাফল্যের অনেক বেশি আনন্দিত হয়। আমিও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য চাই আমার ছেলেমেয়ে গুলো যেন মানুষের মত মানুষ হয়। তারা যেন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে ।যে কোন বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে পারে ।
সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেও মনে মনে খুব চিন্তিত কিন্তু ওকে বুঝতে দিচ্ছি না। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছি এবং বিভিন্ন ধরনের আমল করছি আল্লাহ যাতে আমলের বিনিময়ে সবকিছু সহজ করে দেন। আর এর জন্যই কোন নাস্তা বানাতে ও খুব একটা ইচ্ছে করছিল না আমার ।তাই ফ্রিজ থেকে বের করে কাবাব দিয়েই সন্ধ্যার নাস্তা টা সেরে ফেললাম।
বন্ধুরা আপনারা সময় সুযোগ পেলে, যখন ঘরে যে কোন ধরনের মাংস থাকে তা দিয়ে এরকম কাবাব বানিয়ে ফ্রিজে ফ্রোজেন করে রেখে দিতে পারেন এবং প্রয়োজন হলে নিজেরা বা অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহার করতে পারেন । এমনকি আমার মত প্রয়োজনে নাস্তা হিসেবে ও ব্যবহার করতে পারেন
এই ছিল আমার আজকের সন্ধ্যার নাস্তার মজাদার খাবারটি আর সাথে গরম গরম এক কাপ চা।
![]() |
---|
যা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। বন্ধুরা আজ আর লিখছি না, আজ এখানেই লেখার সমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।
প্রতিটি মা-বাবারা নিজের সন্তানের জন্য সব সময় দোয়া করে। প্রতিটি মা বাবাই চায় নিজের সন্তানরা মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক।
আপনি অনেক আগে থেকেই অনিশ্চিত ছিলেন যে সন্ধ্যায় কি নাস্তা বানাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাবাব বানানোর চিন্তা করেছেন। সত্যিই আপনার কাবাবের ছবি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় নতুন নতুন ধরনের নাস্তা বানানোটা আমার কাছে একটা ঝামেলার কাজ লাগে। যদিও কিছু করার নাই, বাচ্চাদের জন্য করতেই হয়। আমি অবশ্য মাঝে মাঝে বাইরে থেকে নাও কাজ চালিয়ে দেই।
আমি নিজেও ফ্রোজেন কাবার করে রাখি অনেক সময়ই। ঠিকই বলেছেন কাবাব বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলে মেহমান আসলেও বাসায় ঝটপট বের করে দেওয়া যায়।
ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা থাকলে আসলে বাবা-মায়ের টেনশন তাদের থেকেও বেশি হয়ে থাকে। মেয়ে ভালোই করবে ইনশাআল্লাহ। আমিও দোয়া করি ওর জন্য।
ভালো থাকবেন আপনিও সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
প্রতিটি মানুষেরই পছন্দের খাবার রয়েছে বর্তমান সময়ে আপনার ছেলে মেয়েদের সামনে পরীক্ষা থাকায় একটু তাড়াতাড়ি পড়তে বসতে হয় তাই তাদের জন্য বিকালে নাস্তা হিসেবে কাবাব বানিয়েছে আর সকলেই এটি খেতে পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো।।
আসলে দৈনন্দিন কাজ করার মাঝে আমাদের অনেক কারণেই মন-মানসিকতা ভালো থাকে না তারপরও বাধ্য হয়ে আমাদের অনেক কিছু করতে হয়।।
আর বাসায় এরকম সবকিছু থাকলে খুব সহজেই নাস্তা তৈরি করা যায়।। আর হ্যাঁ কিছু খেয়ে পড়তে বসলে পড়া একটু মনোযোগী বেশি দেওয়া যায় কিন্তু একদম পেট ভরে খেলে ঘুমটা তাড়াতাড়ি চলে আসে।।
সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের চিন্তা হবে এটা খুব স্বাভাবিক কথা। মা-বাবা সাহস না জোগালে সন্তানরা কিছুই করতে পারেনা। আপনার কাবাব গুলো দেখতে বেশ ভালোই হয়েছে ।নিশ্চয়ই খেতে ভালোই হবে। আবার বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলে ভালোই হয় যখন তখন কোন মানুষ বাড়িতে আসবে গরম করে তাকে দেওয়া যায়। কাবাব আমারও একটি পছন্দের খাবার। আপনার পোস্টটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
আপনার কাবাব দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করব। আসলে কাবাব পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়। আপনার মেয়ের জন্য দোয়া করি সে যেন এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে। আমাদের দেশের একজন ডাক্তার হয়ে দেশের অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারে। ধন্যবাদ কাবাব তৈরি করার মুহূর্তটা আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অবশ্যই দোয়া করি ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহ তাআলা হয়তো বা আপনার জন্য অনেক ভালো কিছু রেখেছেন। যেটা আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না। আমরা একটা পরিবার বলা যায়, আর এই পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা, আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়।আসলে আমি কাবাব তৈরি করে তাজা তাজা খাবার চেষ্টা করি। এতে করে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে আপনি যেভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। অবশ্যই আমি ওইভাবে রাখার চেষ্টা করব। এবং পরবর্তীতে তৈরি করে খেয়ে দেখব, দেখি কেমন লাগে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।