পরিশ্রমের ফসল
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ,যে যেখানে আছেন ভালো আছেন সুস্থ ,আছেন সেই প্রত্যাশাই করি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার সাহেবের পরিশ্রমের ফসল বা কৃতিত্ব যেভাবেই দেখি তাই নিয়ে দূ একটি কথা ।
গতকাল ছিলেন জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আমার সাহেব বরাবরের ন্যায় এবারও বিএনসিসির শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে।
এটি অনেক দায়িত্ব সম্পূর্ণ একটি কাজ ,সারা বছরের কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিষয়ে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়।। অন্যান্য পুরস্কারের চেয়ে এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী একটি পুরস্কার। শিক্ষক হিসেবে অনেক বড় একটি পাওয়া আমি মনে করি। তাছাড়া বিএনসিসি দায়িত্বটি একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব। সারা বছর প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করার পর যখন স্বীকৃতি পাওয়া যায় তখন সে পরিশ্রম আর গায়ে লাগেনা।
কর্মের মর্যাদা পাওয়া গেলে সেই কাজ করতে মনও ভালো লাগে ,আর পরিশ্রম করতেও গায়ে লাগেনা। তবে আমার সাহেব এই কাজটা খুব মন থেকেই করেন। যদিও সে ইংরেজির শিক্ষক । তার পাশাপাশি এই দায়িত্বটি পালন করে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই একটু পরিশ্রম বেশি করতে হয় একসাথে দুইটি দায়িত্ব পালন করতে গেলে প্রয়োজনে সময়ের বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। আর যেহেতু এটা আর মি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন, তাই নির্দিষ্ট নিয়ম নীতির মধ্যেই চলতে হয়।
সারা বছরের পরিশ্রমের ফল যখন আজ হাতে পেলেন সে নিশ্চয়ই অত্যন্ত আনন্দিত ছিল। আমি আমার পূর্বের পোস্টেই উল্লেখ করেছিলাম যে ,ওর শরীর স্বাস্থ্য মোটেও ভালো নয়, জ্বরে আক্রান্ত। আজ সে এই অসুস্থ শরীর নিয়েই উপজেলায় গিয়েছিলেন পুরস্কারটি আনার জন্য। তার কাছে ওই পুরস্কারের মূল্য অনেক।
আমি তাই মনের মনি কোথায় ধরে রাখার জন্য ক্যামেরা বন্দি করে রাখলাম এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম বিষয়টি। সৎ পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। শ্রেষ্ঠতন্ত্র অর্জন করা তো সহজ বিষয় নয় এটি অর্জন করতে হলে অনেক কাঠ কয়লা পূড়তে হয়।
তবে বরাবরের মতো এবার ও যখন এই পুরস্কারটি পেল আমারও খুব ভালো লাগলো। অনেকের শ্রেষ্ঠত অর্জন করতে চায়,আর এর জন্য পরিশ্রমও করেন সবাই ।মহান রাব্বুল আলামিনের সহায়তায় সে এবারও তার উপহার সে পেয়েছেন তার পরিশ্রমে মর্যাদা দিয়েছেন। তাই কর্তৃপক্ষ কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শূধু শিক্ষকই নয় ,বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়ায় এই পুরস্কার দিয়েছেন উপজেলা কর্তৃপক্ষ ।তাই আমি উপজেলা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ ।কাজের মর্যাদা দিলে কাজের প্রতি সম্মান দিলে, কাজ করার গতি নিঃসন্দেহে বেড়ে যায়।
পরিশ্রম যখন সফলতার মুখ দেখে তখন পরিশ্রম আর পরিশ্রম মনে হয় না।কস্ট ভুলে গিয়ে সফলতা টুকুকেইআঁকড়ে ধরে রাখে। এটাই মানুষের সহজ প্রবৃত্তি। বন্ধুরা আমার এই আনন্দের মুহূর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ,এই আনন্দের সাক্ষী আপনাদের করে রাখার জন্য ।সবাই ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
প্রথমে আপনার সাহেবকে অভিনন্দন জানাই, তিনি বিএনসিসির শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার লাভ করেছেন, এই পুরস্কার অবশ্যই গর্বের বিষয়, অবশ্যই কেউ পরিশ্রম করলে সেটার ফল সে পাবেই, আপনার সুন্দর পোস্ট থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কোথায় আছে পরিশ্রমের ফল সব সময় ভালো হয় ঠিক এরকমটাই আমাদের ভাইয়া পেয়েছে।। একটা জিনিস অর্জন করার পেছনে অনেক পরিশ্রম থাকে আর সেই পরিশ্রমের হলেই শেষেই তা অর্জন করে থাকে।। খুবই ভালো লাগলো জেনে আপনার সাহেব শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।।