আজ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি। আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে আমাদের ডিসপ্লে ও বিভিন্ন খেলারধূলার অনুশীলন হচ্ছিল। দীর্ঘ পথিক্ষার পর সেই মহেন্দ্রক্ষন।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রয়োজনীয় কিছু কাজ ছিল আমার তা ছেড়ে রেডি হয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ৭.৩০ মধ্যে মাঠে যেয়ে পৌঁছে গেলাম। যেহেতু আগের দিন ফ্যাক্টরির খেলা ছিল তাই মাঠ সজ্জিত অবস্থায়ই ছিল। তারপরও কিছু নতুন ভাবে সংযোজন করা হলো।মাঠ সজ্জার কাজ শেষ হওয়ার পর ,শুরু হয় প্রতিযোগিতার মূল কাজ। ৮ঃ০০ টা বাজতে না বাজতেই এমডি মহোদয় চলে আসে। ওনাকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত শেষে জাতীয় সংগীত শুরু হয়, জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর বেলুন উড়িয়ে, পায়রা উড়িয়ে ,খেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়।
যেহেতু স্কুল এন্ড কলেজ অনেক গুলি ইভেন্ট ছিল। তাই পুরো দিন ব্যাপী খেলা চলছিল। প্রথমে ছোট বাচ্চাদের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ছোট বাচ্চাদের খেলার মধ্যে ছিল চকলেট দৌঁড়, তিন পায়ে দৌঁড়। মোরগ লড়াই।
আরো ছিল রশি দৌঁড়। ভারসাম্য দৌঁড়। মহিলা অতিথিদের জন্য মিউজিক্যাল বল। ৫০ উর্ধ্ব পুরুষদের জন্য ৫০ মিটার দৌঁড়।
অর্ধেকের বেশি খেলা দুপুর 12 টার পরে শেষ হয়ে যায়। কারণ রোদের প্রকোপ একটু বেড়েছে। তাই সকাল সকালে খেলা শুরু করে দেয়। বারোটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বিরতি ছিল। বিরতির সময় আমরা সবাই বাসায় চলে যাই ।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে যোহরের নামাজ আদায় করে নেই। এবং দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। দুপুরের খাবারে খুব একটা ঝামেলা করিনি ,বিরিয়ানি ও সালাত দিয়ে দুপুরে খাওয়া সেড়ে ফেলি।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মাঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন এক কলিগ ফোন করে বলল, সবাই মিলে শাড়ি পরবে তাই আমি একটি শাড়ি পড়ে নিলাম। অনুষ্ঠান ছাড়া শাড়ি পড়া হয় না আসলে। সবাই যখন করবে তাহলে, ভালই লাগবে সে কথা চিন্তা করে একটি শাড়ি পড়ে ফেললাম। শাড়ীর সাথে একটু হালকা গহনা ও পড়ে নিলাম ।
তারপর বিকেল তিনটা থেকে পুনরায় খেলা শুরুহলো,
বাকি যে খেলা গুলো ছিল তা শেষ করে ফেলল এবং যেমন খুশি তেমন সাজ, একটি আকর্ষণীয় পর্ব ছিল। আসলে এই বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ হল এটি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এই অনুষ্ঠানে।
বিকেলবেলা আবার নাস্তা ব্যবস্থা ও ছিল। তাই সবাই মিলে নাস্তা খেয়ে নিলাম। সবশেষে পুরস্কার বিতরণী শুরু হলো। পুরস্কার বিতরণী শেষে যার যার মত করে বাসায় চলে আসলাম। আসলে অনেক সুন্দর একটা দিন কাটালাম এই দিনটি জন্য অনেকদিন যাবত অপেক্ষা করছিলাম।
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা হয়েছে, খেলাধুলার মাধ্যমে ছেলে মেয়েদের মেধার বিকাশ ঘটে তথা শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের প্রতিনিয়তই খেলাধুলা করা উচিত এবং ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা উচিত।
আজ আর নয়, আজ এখানে ই লেখার সমাপ্তি টানছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সে প্রত্যাশায় আমি বিদায় নিচ্ছি।
Congratulations!
Your post has been upvoted by @steemladies.
The community where the Steemian ladies can be free to express themselves, be creative, learn from each other, and give support to their fellow lady Steemians.
Manually curated by patjewell for Steem For Ladies
💕
Thank you so much for your love react.
💕
অসংখ্য ধন্যবাদ। এতো সুন্দর রিয়েক্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
💕
!invest_vote
আপনার লেখা আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি যে খেলাগুলির কথা লিখেছেন সেগুলি আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় স্কুলের প্রতিযোগিতায় অনেকবার খেলেছি।
আপনাকে শাড়ি পরে বেশ ভালই লাগছে। কোনো অকেশন ছাড়াও মাঝেমধ্যে শাড়ি পরবেন। আপনি এটা একদম সঠিক কথা বলেছেন যে খেলাধুলার মাধ্যমে ছেলে মেয়েদের শরীর-স্বাস্থ্য এবং মেধার বিকাশ ঘটে।
ক্রিয়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন। আসলেই প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই প্রথমত কোরআন তেলাওয়াত করা হয়ে থাকে। আপনাদের ওখানে দেখলাম বেশ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আনন্দ পাওয়ার জন্য আপনি আমি সবাই অপেক্ষা করি। আপনারা যেমন অপেক্ষা করেন এই প্রতিযোগিতার জন্য। আমরা অপেক্ষা করি দুই ঈদের জন্য। কেননা আমরা তো আর কোন চাকরি করি না, ধন্যবাদ।
প্রায় কম বেশী প্রতিটি স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা আয়োজন করা হয় ৷ যেখানে সবাই মিলে খেলায় অংশগ্রহণ করা হয় ৷ তা পাশাপাশি পুরষ্কার বিতরণ করা হয় ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
@udabeu denkt du hast ein Vote durch @investinthefutur verdient!
@udabeu thinks you have earned a vote of @investinthefutur !
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এইভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেখে আমারও সেই ছোটবেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেল। আমিও যখন ক্যান্টনমেন্টে পড়াশোনা করেছিলাম আমাদেরও প্রতিবছরে এরকম বার্ষিক প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এভাবে খেলাধুলা, প্যারেড, সম্মাননা প্রদান, অনেক কিছু সব মিলিয়ে সময় গুলো খুব সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।