সরিষা শাকের পুষ্টিকথা:
Source:Mobile Camera
গবেষকরা বলছেন, সরিষার শাকে পালং শাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সরিষা শাক। আপনি এই সবজিটি ভাজি, পাকোড়া বা সালাদে মিশিয়ে নিতে পারেন অনন্য পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ শাক। সরিষার শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ থাকে।
চলুন জেনে নিয় সরিষা শাক খাওয়ার নানা উপকারিতা সম্পর্কে।
Source:Mobile Camera
ক্যালোরি কম হলেও, সরিষার শাকে ফাইবার এবং অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং কে-এর একটি চমৎকার উৎস হলো এই শাক। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত সরিষা শাক খান।শীতকালের পর এ শাক আর পাওয়া যাবে না।
সরিষার শাক দীর্ঘমেয়াদী যেসব রোগ রয়েছে তার ঝুঁকি কমায়। এটি শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ। এই উদ্ভিজ্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি বার্ধক্য, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার আচরণ থেকে আমাদের দেহে জমা হওয়া ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট স্ট্রেস এবং ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। সরিষার শাকে গ্লুকোসিনোলেট নামক পুষ্টি উপাদান থাকে , যার কারনে এ শাক খেতে কিছুটা তেতো লাগে। তবে গ্লুকোসিনোলেটস ক্যান্সার কোষের সাথে লড়াই করতে পারে এবং শরীরে টিউমার গঠন প্রতিরোধ করতে পারে।
সরিষার শাক হল ভিটামিন কে-এর অন্যতম উৎস। এই ভিটামিন হাড় এবং হার্টের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। মাত্র এক কাপ সরিষার শাক প্রতিদিনের ভিটামিন সি চাহিদার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি পূরণ করতে পারে। এই ভিটামিন একটি শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেমের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও, সরিষার শাকে উপস্থিত ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। দেহের দূষিত পদার্থ দ্রুত বের করে দিতে সাহায্য করে সরিষা শাক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।যা এই সরিষা শাকে আপনি পেয়ে যাবেন।যার ফলে এসব রোগ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন।সরিষার শাকের ভিটামিন কে সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে এর অভাব হাড়ের খনিজ অস্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যায় এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।তাই এসব ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচতে সরিষা শাকের ভূমিকা অপরিসীম।
দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে সরিষার শাকে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আবার লুটেইন মস্তিষ্কের টিস্যুও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।মোটকথা সরিষা শাকে থাকা পটাশিয়াম, আয়রন,ফসফরাস এবং কপার আমাদের রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
কাজেই আমাদের সুস্বাস্থ্যে সরিষা শাকের ভূমিকা অপরিসীম। তাই রোজকার খাদ্যতালিকায় এই সরিষা শাক রাখার চেষ্টা করা উচিৎ আমাদের।তবেই ভালো থাকব আমরা।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
হলুদ ফুলের সাথে কচি কচি সবুজ সরিষা শাক খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। কিন্তু সরিষা শাকের যে এত উপকারিতা এটা এত বিশদভাবে জানা ছিল না। সরিষা শাক একটি সিজনাল শাক। এটি সারা বছরে শুধু শীতের সময় পাওয়া যায়। আপনি যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ জানালেন তাতে তো আমাদের পুরো শীতকালে উচিত নিয়মিত খাওয়া। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব সরিষা শাক খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে। কারণ এত পুষ্টি মিস করা যায় না ।সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
আমার নানা বাড়ি আগে প্রচুর পরিমাণে সরিষা শাক লাগানো হতো কিন্তু আমি এই বার নানা বাড়ি গিয়ে কোন ও জায়গায় এটা দেখতে পেলাম না।আর এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক টা খারাপ লাগলো।আমি আপনার পোস্টটি পড়ে সরিষা শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরে এটা খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো।আমি এটা এই বার একবার হলেও খাওয়ার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
সরিষা শাকের বিভিন্ন পুষ্টিগুন আমাদের মাঝে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। শীতকালীন এই সরিষা শাক স্বাদের কারণে আমার প্রচন্ড পছন্দের। আমি বাসায় থাকলে বেশিরভাগ সময়ই ভাতের সাথে সরিষা শাক খাই।
আপনি সরিষা শাকের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন ৷ আসলে শীতকালে এই সরিষা শাকের কচি পাতা গুলো খেতে ভারি মজা ও সুস্বাদু লাগে ৷ প্রায় কম বেশী সবার বাড়িতেই খাওয়ার জন্য এই সরিষা শাক রোপন করে থাকে ৷ তাছাড়াও এই সরিষা শাকে অনেক পুষ্টিগুন ক্ষমতা রয়েছে ৷ যেগুলো আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
@saha10
দাদা, এটাতে স্বাস্থ্য বিষয়ক বেশ কিছু তথ্য আছে যেটার সাথে ZeroGPT এর সাদৃশ্য রয়েছে।
এরকম লেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখা সর্বোত্তম।
https://www.zerogpt.com/
অনুগ্রহ পূর্বক, আপনার লেখার ইংরেজি অনুবাদ করে চেক করবেন।
CC. @crismenia,
Kindly decrease your quality marks. And mention in your comment.
প্রিয় ভাই সরিষা শাক সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আজ আমাদের মাঝে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই তথ্যগুলো নিশ্চই আমাদের অনেক কাজে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও সরিষা শাক খেতে বেশ পছন্দ করি। সরিষা শাক দিয়ে অনেক রকমের আইটেম রান্না করা যায়।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর তথ্যবহুল একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
সারা বছরের তুলনায় বর্তমান সময়ে সরিষার দেখা সবচাইতে বেশি মিলে।। আর আজকে আপনি এর বেশ কিছু গুনাগুন গুলো বলেছেন তার মধ্যে বলেছেন এই সরিষার মধ্যে পালং ও কমলার চাইতে ভিটামিন সি বেশি রয়েছে সেটা আমার কাছে একদমই অজানা ছিল।। আর সরিষার শাক ভিটামিন কে এর অন্যতম সেই সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট করার জন্য।।
সরিষা ক্ষেতের হলুদ ফুল গুলো দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায়। আপনি অনেক উপকারী একটি পোস্ট করেছেন এই সরিষা শাক দামে কম কিন্তু পুষ্টি গুনে ভরপুর। ধন্যবাদ একটি উপকারী পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে সরিষা চাষ করা হয় না। তাই খুব কাছ থেকে সরিষা গাছ দেখতে পাই না। কিন্তু আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আজকে আপনি আমাদের সাথে সরিষার শাক খাওয়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আসলে আমরা যদি আমাদের উপজেলার মধ্যে যাই তাহলে এই শাক দেখতে পায় বাজারের মধ্যে।
মাঝে মাঝেই আমি যদি দেখতে পাই তাহলে কিনে নিয়ে আসি। কিন্তু এই শাক এর মধ্যে এত পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটা আমার জানা ছিল না। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে এই শাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।