Better life with steem|| The Diary Game || 7th January 2024, বিরতিহীন কাজের ফুলস্টপ :
![]() |
---|
আজ ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা নিয়ে খুবই ব্যস্ত ছিলাম আমি।তাই কয়েকদিন ধরে খুব অনিয়মিত আছি এই প্লাটফর্মে।এবারই প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করব এটা ভেবে অনেক শিহরিত ছিলাম আবার একটু চাপেও ছিলাম পারব কিনা সঠিকভাবে সেটা ভেবে।গতকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।গতকালই অনেক কাজ করে রেখেছিলাম আমরা।যেহেতু এটা সংসদীয় নির্বাচন তাই সব ব্যাপারে একটু বেশি তোড়জোড় ছিল।
![]() |
---|
আমার দায়িত্ব পড়েছিল গ্রামের বাড়ির কাছেই। তাই রাতে কেন্দ্রে না থেকে বাড়িতে এসে ঘুমায়।সবাইকে বলে রাখি আমাকে যেন অবশ্যই ভোরে ডেকে দেয়।আমার ওয়াইফ ই আমাকে ফোন করে ডেকে তোলে ভোর ৫:০০ টায় তারপর আমি স্নান সেরে কোনো মতে নাকে মুখে ২ টা রুটি খেয়ে বেরিয়ে পড়ি।বাড়ি থেকে কেন্দ্রে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না, তবুও রিস্ক এড়াতে চলে যায় সেখানে।গিয়ে কিছুক্ষণ একাই বসে থাকি।একে একে সবাই ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিতে শুরু করল।সকাল ৮:০০ বাজলেই আমরা ভোট গ্রহণ শুরু করি।
![]() |
---|
খুব সুন্দর ভাবে সবাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে এই কেন্দ্রে।সব থেকে কষ্ট হয়েছে আমারই মনে হয়।আমার লিষ্টে অনেক ভোটার ছিল,তার উপর না খেয়ে আছি।সকালে ২ টা রুটি খেয়েছি সেটা ১০:০০ টার পর আর কোনো এনার্জি দিচ্ছিল না।ওখান থেকে যে খাবার সরবরাহ করেছে সেটা খেতে পারব না কারন আমার অশৌচ চলছে।আর আমি চাইনি সামান্য কিছু সময়ের জন্য এই অশৌচ পালন ভঙ্গ করতে।বাসা এবং বাড়িতে ২ জায়গায় এটা খুব গুরুত্ব সহকারে মেনে চলছে সবাই।তাই আমি খাবার টা খেলাম না।সব থেকে কষ্টের আরেকটা বিষয় হলো এখানে আশেপাশে কোনো খাবারের দোকানও নাই।
![]() |
---|
আমার খাবারের ব্যাপারে একটু খুঁতখুতে স্বভাব আছে।তাই সব ধরনের খাবার খেতেও পারছি না।এজ পর্যায়ে এতটা ক্ষুধা লাগল যে একজনকে বাইরে পাঠালাম খাবার কিনতে,পাউরুটি আর কলা।সব থেকে খারাপ লাগার বিষয় হলো সেখানে পাউরুটি ও নাই আর কলা তো অনেল দূরের কথা।যাকে পাঠিয়েছিলাম সে ২/৩ পিস কেক নিয়ে হাজির হয়েছে।কিন্তু কেক তো ডিম দিয়ে তৈরি তাই আর সেটা খেলাম না।এরপর খাবার বলতে কিছু বাদাম খেয়েছি।এভাবে পেটে ক্ষুধা নিয়ে কাজ সারতে লাগলাম।বিকাল ৪:০০ টা বাজলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।আমরা সবাই মিলে ভোট গননা করে রেজাল্টশিট তৈরি করলাম অতঃপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
![]() |
---|
বাড়ি আসার পর এতটাই ক্ষুধা লেগেছে যে সামনে যা পাব তাই খাব।এরপর মা খিচুড়ি এনে দিল,সেটা খেতে খেতে সবাইকে নিয়ে গল্প করছিলাম।খাওয়া শেষ হলে পার্থ কার্ড খেলার জন্য ডাকল।কার্ড খেলতে ভালোই লাগে তাই আর না করলাম না।এরপর খেলা শেষে খেতে গেলাম।রাতে আর তেমন কোনো খাবার খেলাম না।অল্প কিছু খেয়েই এই পোস্ট লিখতে বসেছি।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন কাজ এটা আমি আমার স্বামীকে একবার করতে দেখেছিলাম তাই বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম।তবুওতো আপনার বাসার কাছে ডিউটি পরেছিলো এটা একটা ভালো দিক ছিলো।
অশৌচ চলার কারনে খিদেয়ও কস্ট করেছেন।
তারপরও সবকিছু ভালোমতো হয়ে গেছে এটা একটা ভালো দিক।
এই দিনটার আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনি আমাদের কষ্ট সম্পর্কে অবহিত আছেন। সবাই ভাবে আমাদের কয়েক লাখ টাকা দিছে আর তার লোভে আমরা এই ডিউটি করতে গেছি!!
বাস্তবে এর থেকে কঠিন কাজ খুব কমই আছে।সব কিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটাই দিনশেষে প্রাপ্তি।
ভালো থাকবেন।
নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা খুব একটি কষ্টের কাজ। তার ভিতর আবার পেটে ক্ষুধা নিয়ে সারাদিন পার করে দিলেন। একজনকে পাউরুটি এবং কলা আনতে দিলেন সে পাউরুটি কলা না পেয়ে কেক আনলো কারণ আপনি কেক খেলেম তারপর কয়টি বাদাম খেয়ে দিনটা পার করলেন। নির্বাচনে কাজ সম্পন্ন করার পর বাড়িতে গিয়ে খিচুড়ি রান্না খেলেন তারপর সবার সাথে গল্প করলেন ।
নির্বাচনের ৭ তারিখের দিনটা আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ ।
৭ তারিখ আনার কাছে সব সময়ই স্পেশাল, কারনটা নাই বা বললাম।তবে এই ৭ তারিখ ও আমার কাছে অনেক স্পেশাল হয়ে থাকবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সাথে জানুয়ারি বাংলাদেশের সব জায়গাতেই নির্বাচন চলছিলো,,
আর নির্বাচনে ডিউটিতে আপনাকে অনেক ব্যস্ত রাখতে হয়েছিলো,
তার উপরে আবার সারাদিন তেমন কোন খাবারও খেতে পারেননি, কেক এবং বাদাম দিয়ে দিনটা পার করেছেন। তবে বাসায় ফিরে খিচুড়ি খেয়েছেন। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। দিনটি আমার জন্য একদিকে চ্যালেঞ্জিং ছিল আবার অন্যদিকে উপভোগ্যও ছিল।তবে খাওয়ার কষ্ট আমাকে শেষ বিকালে অনেক দুর্বল করে তুলেছিল।
সব মিলিয়ে ভাল অভিজ্ঞতা হলো।ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
জাতীয় ভোট পরিচালনার মত মহা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন এর জন্যে অবশ্যই আপনি বাহবার দাবীদার। তবে সব দল অংশ নিলে আরো ভালো হতো। ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে মন্তব্য প্রদান করার জন্য। আসলেই এই নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভালো থাকবেন।
নির্বাচনের কাজ নিয়ে যারা থাকে তারা অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কাটিয়ে দিয়েছেন। আসলে যেখানে নির্বাচন হয়। সেখানে অনেক কিছুর অভাব হয়। যেমন আপনি পাউরুটি কলার জন্য পাঠিয়েছেন। সেখানে পাউরুটি কলা পাওয়া গেল না।
বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ করা শেষ হলে বাসায় চলে আসেন। আপনার বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে বিভিন্ন রকম খাবার আপনি গ্রহণ করতে পারেন না। তাই আপনি বাসায় এসে মায়ের হাতে তৈরি করা খিচুড়ি খেয়ে নিজের পেট ঠান্ডা করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রদানের জন্য। আসলেই এত ব্যস্ত থাকতে হয় এ কাজে না গেলে বুঝতে পারতাম না।আর এরকম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ঘাড়ে থাকলে সব সময় চিন্তা করতে হয় যে এটা সঠিকভাবে শেষ করতে পারব কিনা।
খুবই সেনসিটিভ বিষয় বলে কথা।
ভালো থাকুন।
ভোট গ্রহণ সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ। তার ওপর অশৌচের দরুন আপনি অনেকক্ষণ না খেয়ে ছিলেন আর কাছাকাছি কোন দোকানও ছিল না। যাও বা কেক আনা হল সেটাতেও ডিম দেওয়া আছে বলে আপনি খেলেন না। আমাদের এখানে যেমন নিরামিষ কেক প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার ভোটকেন্দ্র এমন এক জায়গায় পড়েছিল যেখানে এসব পাওয়া কল্পনার অতীত বলে আমার মনে হয়।
আমাদের দেশে নিরামিষ কেক কোথাও পাওয়া যায়না। আর আমার ভোটকেন্দ্রের এলাকায় পাউরুটি কলা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।আপনি সঠিক বলেছেন, এই ২০২৪ এ এসে এমন জায়গা পাওয়া সত্যিই অভাবনীয়।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন । নির্বাচনে ডিউটি একটি কঠিন কাজ। তবে আগের দিনে এই দায়িত্ব পরলে অনেক চিন্তা করতে হতো। তখন নির্বাচন কেন্দ্রে অনেক ঝামেলা হত। আপনি সরকারি কাজে অংশ গ্রহণ করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ এধরনের কাজের কষ্ট বোঝার জন্য। আসলে আমিও এটা না করার আগে জানতাম না যে এটা কতটা কঠিন।এটা একটা মানসিক চাপও বটে।যে করে সেই বুঝবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটিতে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।