Better life with steem|| The Diary Game || 30th December 2023, পারিবারিক পিকনিক:

in Incredible India2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা
IMG_20240101_233739_253.jpg

শুক্রবার রাতে আমাদের গ্রামে ধর্মীয় কীর্তন গান অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। আমার পুরো পরিবার তখন গ্রামের বাড়িতে।কাকা কাকীরা সহ কাজিনরা মিলে ভাবছি পিকনিক করব।তাই শনিবার পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নিলাম।পারিবারিক একটা ঝামেলার কারনে ওইদিন রাতে আী ঘুমানো হয় নাই।যখন ঘুমাতে গিয়েছিলাম তখন সকাল ৬:২০ বাজে।তবুও একটু ঘুমিয়ে নিলাম। সকাল ৮:৩০ এ ঘুম ভাঙে কাজিন অঙ্কিতার ডাক শুনে।ওকে নিচ থেকে আমাকে ডাকতে পাঠিয়েছে কারণ আমার বাজারে যাওয়ার কথা ছিল সকালেই।

IMG_20231230_120908.jpg

এরপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর বাজারের লিষ্টটা নিয়ে আরেকবার ক্রস চেক করে নিলাম।আমি আর পার্থ এদিন বাজারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম।আমরা সকাল ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হলাম ফকিরহাটের উদ্দেশ্য। ফকিরহাট পৌঁছে প্রথমেই আমাদের দোকানে চলে গেলাম ওখানকার জিনিসপত্র গুলো গুছিয়ে নিতে।আমাদের দোকান থেকে বের হতে প্রায় ১১:২৫ বেজে গেল।

IMG_20231230_185812.jpg

এরপর আমরা ২ জন চলে গেলাম সবজি বাজারে।সেখান থেকে পেয়াজ,রসুন,আদা,শশা, আলু সহ আরও কিছু সবজি কিনলাম।বাজারে গিয়ে তো মুর্ছা যাওয়ার উপক্রম হলো আলুর দাম শুনে।ভাবা যায় আলু ৭০ টাকা কেজি! এরপর আমাদের একটা যুদ্ধ শুরু হলো পুদিনা পাতা খোজার।বিরিয়ানির সাথে আমরা বোরহানিটাও বাড়িতে তৈরি করতে চায়।তবে দুর্ভাগ্য এটাই যে সমস্ত বাজার ঘেঁটে কোথাও পুদিনা পাতা পেলাম না।
এরপর চলে গেলাম মুরগীর দোকানে।মুরগী কিনলাম ১৫ কেজি ৩১০ টাকা করে।সেগুলো ড্রেসিং করিয়ে নিয়ে অন্যান্য বাজার সদাই করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যখন রওয়ানা করলাম তখন ১:৩০ বাজে।

IMG_20231230_185519.jpg

বাড়িতে পৌঁছে আমি দ্রুত স্নান করে নিলাম আর ছোট কাকিকে পাঠালাম মুরগী তৈরি করতে।এদিকে স্নান সেরে আমি আর আমার স্ত্রী দুজন মিলে পুনরায় প্লান করলাম কিভাবে কাজ শুরু করব।ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা প্রথমে সব মশলা থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুছিয়ে নিব।আমি আর আমার ওয়াইফ দুজন প্রথমে যেসব মসলা ব্লেন্ড করা লাগবে সেগুলে করে নিলাম।তারপর আমরা জীবনে প্রথম বারের মতো বোরহানি তৈরি করলাম।বিশ্বাস করুন বোরহানি টা খুবই ভাল লেগেছে।পুদিনা পাতা ছাড়াই এটা ভালো লেগেছে।

IMG_20240101_233756_790.jpg

এরপর আমরা চলে গেলাম রান্নার জায়গায়। আমরা ছামিয়ানা টাঙিয়ে টেবিল পেতে সব উপকরন নিয়ে রাখলাম তার উপর যাতে সব কিছু হাতের নাগালে থাকে।মেঝো কাকি সব কাজে সাহায্য করছিল।আর আমরা পরিমান পরিমাপ করে দিচ্ছিলাম, এবং বলে দিচ্ছিলাম কোনটার পর কোনটা যাবে।বিরিয়ানি রান্নার সময় সবাই এক জায়গা বসে গল্প হাসি ঠাট্টা করছিলাম।পাশে গান বাজাচ্ছিল আকাশ।বিরিয়ানি রান্নার শেষ প্রান্তে বাসা থেকে খবর এলে শ্বশুর মশাই খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এটা শুনে আমার ওয়াইফ একদম ভেঙে পড়ল।এদিকে পিকনিকের ও পন্ড হয়ে গেল।তবে ও ধৈর্য ধরে কেউকে বুঝতে না দিয়ে রান্নাটা কোনমতে শেষ করল।

received_275098245225674.jpeg

রান্না নামিয়ে ও উপরে নিজের রুমে চলে এল।এসেই কাদতে লাগল,সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছিলাম।এসব করতে করতে রাত ১১:৫০ বেজে গেল।ভেবেছিলাম আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু শ্বশুর মশাই ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।এক সময় মনে হলো এই রাতেই খুলনা চলে যায়।ওকে অনেক বললাম যেতে,কিন্তু সে বলল একটু দেখি।তাছাড়া মধ্য রাতে গ্রামে কোন যানবাহন নাই।সব মিলিয়ে ফোনেই থাকলাম অপর প্রান্তে।এসব করতে করতে রাত ৩:২০ বেজে গেল।শরীর একদমই ছেড়ে দিয়েছে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেই জানি না।

IMG_20240101_233705_672.jpg

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ
Device Name:One Plus
Camera:48 Megapixel
Shot by:saha10
location:Bangladesh🇧🇩
Sort:  
Loading...
 2 years ago 

বাহ দারুণ আয়োজন। এটা সত্যিই ভাব্বার বিষয় যে ভরা মরসুমে আলু ৭০/- কেজি। কোনদিকে যে যাচ্ছে বাজার দর!!

আপনার মাটির চুলা দেখে খুব লোভ হচ্ছে, কেননা এই চূলার পাশে শীতের সময় বসে থাকতে অনেক মজা লাগে। চারদিকে ঠান্ডা শুধু চূলার আগুনের তাপ এসে গায়ে লাগবে। পাশাপাশি এই চূলার রান্নাও কিন্তু খুব ই মজার হয়।

ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে

বাহ আপনার ইচ্ছার সাথে আমারও ইচ্ছার মিল রয়েছে।আমারও মাটির চুলার কাছে শীতের সময় বসে থাকতে ভাল লাগে।
ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির পাশে একলোকের মুড়ির চুলা ছিল।একসাথে চরাটা চুলা, ওখানে বসে থাকতাম আমরা।
আর বাজার দর নিয়ে আমাদের মতো সাধারণের কথা কেউ ভাববে না।
ভালো থাকুন।

 2 years ago 

একদম ই সত্য কথা বাজার দর নিয়ে এখন শুধু অভিযোগ হবে কিন্তু তা আম্লে নেয়ার লোক নেই। যানিনা ২০২৪ কি আছে??

 2 years ago 

প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই।
আজ পারিবারিক ভাবে পিকনিক করেছেন এবং খুব আনন্দ করেছেন, বাজারে গিয়েছেন, পিকনিকে বিরিয়ানি রান্নার জন্য সবকিছু রেডি এবং রান্না প্রায় শেষের দিকে।
এখন যেমন একটা ঘটনা ফেস করতে হবে এটার জন্য সত্যিই দুঃখজনক। তবুও ভালো লেগেছে আপনি আপনার ওয়াইফ কে সান্ত্বনা দিয়েছেন। যেহেতু আপনার শ্বশুর খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

ধন্যবাদ আপু আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। বিরিয়ানি বরাবরই আমার অনেক প্রিয়, আর সেটা যদি হয় পারিবারিক পিকনিকের আয়োজনের মাধ্যমে তাহলে এটার মজা আরও বেড়ে যায়।
তবে এত এত আয়োজন নিমিষেই শেষ হয়ে যায় দুঃসংবাদের মাধ্যমে।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

 2 years ago 

আগে যখন আমাদের গ্রামের বাড়িতে থাকতাম তখন মাঝে মাঝে মাঝেই রাস্তা দিয়ে কীর্তন করতে করতে মাধব মন্দিরে যেত।আর এর শব্দে ঘুম ভেঙে যেত।আজকে আপনার লেখা পড়তে গিয়ে মনে পরে গেল।
আপনি বাজার ঘেটেও পুদিনা পাতা পান নাই জেনে খারাপ লাগলো।একটা পুদিনা গাছ টবে বা জায়গা থাকলে সেখানে লাগিয়ে রাখলেই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজেই।
তারপরও বোরহানিটা খেতে ভালো হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।আসলে নিজেরা ঘরে কিছু বানালে আলাদা একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

পুদিনা পাতা যে এরকম প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে হঠাৎ করে বুঝতে পারিনাই।আর আমার নিজের বাসায় এসব গাছ আছে,কিন্তু গ্রামের বাড়িতে নাই।কারন বাড়িতে থাকা হয়না যায় ফলে গাছ রোপন করলে জল না দেয়ার কারনে কিছুদিন পর মারা যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার দিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। আসলে পিকনিকের আয়োজন করলে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। কেননা বাজার করা নিয়ে অনেক ঝামেলা। যাইহোক বাসায় এসেও রান্নার কাজে আপনারা হাত লাগিয়েছেন। শেষে যা দেখলাম সেটা দেখে তো আমি পুরাই অবাক, মাটির চুলায় বিরিয়ানি খাওয়ার মজাটাই তো অন্যরকম। সবাই বেশ মজা করেই খাচ্ছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পরিবারের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 111131.03
ETH 4293.75
SBD 0.84