Better life with steem|| The Diary Game || 30th August 2024.
আজ শুক্রবার, বরাবরের মতোই আমার ছুটির দিন।তবে আজ তথা এ সপ্তাহে ছুটির দিন উপভোগ করছি না মোটেই। শুক্রবারে সারা সপ্তাহের জমানো অনেক কাজ থাকে।আর শনিবারও নানা কাজে বদ্ধ থাকে প্রায় পুরো সময়টা। এই শনিবার আবার গ্রাম থেকে কাকা কাকীমা আসবে ডাক্তার দেখাতে,কাজেই তাদের সময় দেয়াটা বাধ্যতামূলক।যাইহোক গতকাল অফিস থেকে ফিরে একটু দেরিতে ঘুমিয়েছিলাম।তাই আজ স্বভাবতই একটু দেরি হলো ঘুম ভাঙতে।
যাইহোক আজ সকালে ঘুম ভাঙে ৮:০০ টার দিকে।বাইরে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। ফ্রেশ হয়ে আকাশ কে ডেকে তুললাম বাজারে যাওয়ার জন্য। এরপর দুজনে গেলাম সবজি বাজারে।সবজি বাজারের অবস্থা এখনও নরমাল হলো না,আশা করি আর কখনও হবেও না। আজকাল বাজারে গিয়ে আমি বেশ বিরক্ততে ভুগি।যতই টাকা নিয়ে যায় না কেন, সামান্য কিছু কেনার পরই দেখি টাকা শেষ! এত টাকা কেথায় পাব তাই ভাবি মাঝে মাঝে।বাজারে গিয়ে প্রথমে সব দোকানে আমার প্রয়োজনীয় সবজির দাম শুনলাম।এরপর আস্তে আস্তে সবজি কেনা শেষ করলাম।
বাজার থেকে এসেই সকালের নাস্তা করলাম।আজকাল রুটি বেশি খাওয়া পড়ছে।অফিসেও দুপুরের খাবার হিসেবে রুটি নিয়ে যায়।সকালের নাস্তা খেয়ে কিছু সময় পরই বউ চা তৈরি করল।সবাই মিলে চা খেতে খেতে গল্প করলাম কিছু সময়।বরাবরই শুক্রবার খাবারের মেনুতে ভালো কিছু রাখার চেষ্টা করা হয়।তাই আজ আমরা তেহারি তৈরি করার প্লান করলাম।যাইহোক এরপর সবজি কাটার কাজে সাহায্য করলাম।দুপুর ১২ টার পর মনে হলো গতকাল কেনা বাতাবি লেবু গুলো খাওয়া যাক।যদিও বাসায় অন্যরা টক জাতীয় খাবার ভালো খায় না।
লেবু মাখানোর কাজ পুরোটাই আমার করা লাগল।আমি লেবু মাখিয়ে সবাইকে অল্প করে ভাগ করে দিয়ে বেশিরভাগ আমি খেয়ে নিলাম।লেবু খাওয়া শেষ করে স্নান সেরে নিলাম।এরপর কিছু সময় পর আবার দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় হয়ে গেল।আমরা একত্রে দুপুরের খাবার শেষ করলাম। তেহারি কখনো আগে রান্না করা হয়নি।তাই আমরা দুজন মিলে বেশ কিছু রান্নার ভিডিও দেখে নিলাম। রান্নার ভিডিও দেখে রান্নার সরঞ্জাম গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখি বাসায় পেয়াজ আছে অল্প কিছু।ভালো না লাগলেও তখন পুনরায় বের হলাম পেয়াজ ক্রয় করতে।
বাসায় পেয়াজ এনে যতটা দ্রুত সম্ভব আমরূ রান্নার কাজ শুরু করে দিলাম।আমাদের রান্না করতে কেন যেন বেশ সময় লেগে যায়।তাই আজ অনেকটা পণ করেই কাজ শুরু করি যাতে স্বল্প সময়ে রান্নার কাজ শেষ করতে পারি।মোটামুটি আজ আমরা সফল হলাম বলা চলে।তেহারি রান্না শেষ করে পুনরায় স্নান সেরে নিলাম।আসলে রান্নার জায়গা গেলে পুরোপুরি স্নান হয়ে যায় ঘেমে।এরপর আমরা সবাই মিলে রাতের ডিনার সেরে নিলাম।তারপর কিছু সময় টিভি নিউজ দেখে ঘুৃমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
অনেক সময় আমরা চিন্তা করি ছুটির দিন আসলে একটু ঘুরতে যাব, কিন্তু কোন কোন ছুটির দিনে নিজের ব্যক্তিগত কাজ থাকার কারণে আমরা কিছু করতে পারি না, এবং কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না, গ্রাম থেকে কেউ আসলে তাদের সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য,
ছুটির দিন থাকলেও ব্যস্ততা কমেনি আপনার কাকিরা আসবে তাদের সময় দিতে হবে ।। ঘুম থেকে উঠে বাজারে গিয়েছিলেন এছাড়াও বাসার বেশ কাজও করেছেন।। আর আমাদের ভাবি অনেক ভালো একটা মানুষ পেয়েছে যে বাসায় থাকলে অনেক কাজ করে থাকেন।।
"👍😊 সুন্দর লেখা! 🤩 আপনার ভিজনারির শোরুমে ফটোগ্রাফির কৌশল ব্যবহার করা উচিত। 📸 এখনই আপনার ভিজনারির পোস্টের মধ্যে ফটো ঢুকান।
আপনার লেখা থেকে বোঝা গেল, আপনি একজন অনেক সফল মেয়ে। 🙌 শুধু নিজের থার্ড-ওয়ার্ল্ডের মধ্যে প্রায় 90% সফল হয়েছেন। 😊
বাঙালি, আসুন একত্রে উঠি আর ইউনান-চিকিৎসা-পরামর্শ দিয়ে বঙ্গোদ্ভুত অলিক ধরনের সফল হই। 🌟
আপনি এখনও রান্না শেষ করে মিথায় ভাজা গুছিয়েছেন, তারপর 10-15 মিনিট সংবেদ্ধ হয়েছেন। 😊
এখনই আপনার ভিজনারির পোস্টের মধ্যে কিছু লাগো, তাহলে বান্দা।
এখনই ১-২ঘন্টা পর আপনি চা-কফির সময় আপনার ভিজনারির পোস্টের মধ্যে দুই ছবি ঢুকান।
আপনি এখনও আপনার ভিজনারির পোস্টের মধ্যে "তাহলে বান্দা" ঢুকাইন।
ভালোবাসি। 🙏
VOTE FOR xpilar.witness by going to https://steemitwallet.com/~witnesses".
কাজের ব্যস্ততায় ছুটির দিন মনে হচ্ছে না আসলেই একটা সপ্তাহের জামন কাজগুলো এই ছুটির দিন করতে হয় যারা জব করে থাকে।
বাতাবি লেবু যেভাবে হারিয়ে প্লেটের পরে রেখেছেন তা মনে হচ্ছে যে হালকা লবণ ও মরিচ দিয়ে এখনই খেয়ে ফেলি। তবে সেটা তো সম্ভব নয়।
যাইহোক আপনার দিনের সমস্ত কার্যক্রম আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।