Better life with steem|| The Diary Game || 30th April 2024.
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে তাকাতেই মনে হলো বেলা ১১ টা বেজে গেছে।আমিতো রীতিমতো ভয়ই পেয়ে গেলাম যে অফিস লেট হয়ে গেল।এরপর ঘড়ি দেখে মনটা শান্ত হলো।আসলে বর্তমানে সূর্যের প্রখরতা সকাল থেকেই প্রতীয়মান হচ্ছে। বুধবার ছুটি আছে তাই ভাবলাৃ ছাদের চারাগুলোতে জল দিয়ে যায়।গত ঈদের ছুটিতে গাছে জল না দেয়ার দরুন বেশিরভাগ গাছ মরে গেছে।তাই বেশি বেশি করে জল দিলাম গাছ গুলোতে।এটুকু সময় ছাদে থাকাতেই মাথার ঘাম পায়ে পড়ার মতো অবস্থা হলো।এরপর নিচে নেমে মায়ের সাথে দেখা করে এলাম।কিছু সময় পর স্নান করতে চলে গেলাম।স্নান শেষে বাইরে বের হওয়া মাত্রই পুনরায় ঘামতে শুরু করলাম।গ্রামের বাড়ি হলেও এত তাপমাত্রা মনে হয়ে ঢাকা শহরেও অনুভূত হচ্ছে না।
যাইহোক স্নান সেরে তাড়াতাড়ি নিচ তলায় নেমে এলাম।এরপর সকালের খাবার খেতে বসলাম।সকালের মেনুতে কাঠালের ইচোড় ছিল।এটা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার।খাওয়া শেষে রেডি হয়ে বাইক বের করে রওয়ানা হবো এমন সময় কলিগ ফোন করল।ওনার বাইকে সমস্যা হচ্ছে তাই আমাদের বাড়িতে রেখে আমার সঙ্গে অফিসে যাবে সে।ওনার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করার পর সে পৌছাল।দ্রুত বাইকটা বাড়ির ভিতর রেখে তাকে নিয়ে রওয়ানা হলাম।অফিসে পৌঁছে দেখি আজ গেট দিয়ে ঢুকা যাচ্ছে না।বুঝেই গেলাম দিনটা কেমন হতে চলেছে।
কাজের চাপে আজ লাঞ্চ করতে দেরি হয়েছে।লাঞ্চ শেষ করে পুনরায় কাজ করতে থাকলাম।অফিস থেকে বের হতে সন্ধ্যা ৬:৩০ বাজল।পুনরায় কলিগকে নিয়ে রওয়ানা হলাম। বাড়িতে পৌঁছে ওনার বাইকে ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।পথিমধ্যে বাইক থামিয়ে ওনার বাইকের সমস্যা উদঘাটন করে সেটা সমাধান করলাম।এরপর ফকিরহাট নেমে সামান্য হাটতেই ঘেমে স্নান করে উঠেছি এমন অবস্থা হলো।রূপসা ঘাটে পেরিয়ে সেখানকার বাজার থেকে কিছু বাজার করে নিলাম।এরপর পুনরায় বাসায় কাছের বাজারে ঘুরে এলাম।তুলনামূলকভাবে এই বাজারে সব সবজির দাম কম।
দাম কম মনে হওয়ায় একটা কাঁঠাল কিনে নিলাম ইচোড় রেধে খাওয়ার জন্য। বাসায় পৌঁছে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম। গরমে আজকাল ভয় পায় যে বাইরে থেকে এসে সরাসরি স্নানে গেলে নানা রকম দুর্ঘটনা ঘঠছে।স্নান সেরে আসলে ঠান্ডা তরমুজ কেটে দিল ওয়াইফ।এটা খেয়ে রীতিমতো প্রাণ ঠান্ডা হলো।এরপর কিছু সময় চুপচাপ বসে থাকলাম।কিছু সময় পর বাড়ি থেকে মা ফোন করলে তার সঙ্গে কিছু সময় কথা বললাম।
রাত ১১:৪৫ নাগাদ মনে হলো ডিনার টা সেরে ফেলি!!আসলে এতো বাজে ভাবে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে যে সময় মতো কিছুই করতে পারছি না।যেটুকু সময় পায় তা রাস্তা ঘাটে চলে যাচ্ছে।জানিনা এই সমস্যার সমাধান কবে হবে।তারপরও জীবন থেমে থাকার নয়,জীবন চলছেই, চলবে............।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
আপনার মতো মাঝে মাঝে আমারও হয়, সকাল হতেই এখন সূর্যের প্রখরতা খুব বেড়ে যাচ্ছে এজন্য সময় অনুমান করাটা মুশকিলের। কাঁঠালের ইচোড় আমার খুব প্রিয়। রূপসা ঘাটের বাজার থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলেন তবে দাম দম থাকার কারনে বাসার কাছের বাজার থেকেও টুকটাক কিছু কিনেছেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রদানের জন্য।