Better life with steem|| The Diary Game || 25th December 2023.
কেমন আছেন সবাই, আশা করি ভালো আছেন।আজ আমি আমার গত পরশু দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছি।কারন নিজের বেডরুম টাকে একটু গোছানোর প্রয়োজন ছিল।মঙ্গলবার শীতলা মায়ের পূজা।এ পূজায় আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে।অধিকাংশ বললাম কেন? এদিন পূজাতে যারা গ্রামের বাইরে থাকে তাদের প্রায় সবাই বাড়িতে চলে আসে।এদিন গ্রামে মানুষের মিলন মেলা হয়।
যাইহোক সকাল ৬:০২ তে ঘুৃম থেকে ওঠা মোটেই সহজ কাজ ছিল না।প্রথমে ওয়াশরুম টা পরিস্কার করলাম।এটা করতে করতেই প্রায় ৭:৪৫ বেজে গেল।তখন আর রুম পরিস্কার করার সময় ছিল না।কারন সকাল ৯:০০ টা থেকে আমার একটা ট্রেনিং রয়েছে।ওয়াশরুম পরিস্কার করার পর স্নান না করে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়।তাই এত সকালে তীব্র ঠান্ডায় বরফের মতো ঠান্ডা জলে স্নান করে নিলাম।স্নান সেরে বেরিয়ে দেখি সকাল ৮:১০ বাজে।খুব দ্রুত রেডি হয়ে নিচে চলে যায় একবারেই। কোনোমতে নাকে মুখে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেরিয়ে পড়ি ট্রেনিং এর উদ্দেশ্যে।
বাইরে বেরিয়ে দেখি ঠান্ডার তীব্রতা আরও বেশি,সেই সাথে হেলমেটের ভিতর দিয়ে ১০ হাত সামনে কি আছে সেটাও দেখা যাচ্ছে না।কি আর করা হেলমেটের ঢাকনা তুলে আস্তে আস্তে এগিয়ে চললাম।মুখে এত বাতাস লাগছিল যে মনে হচ্ছিল কেউ বরফ ছুড়ছে।বার বার চশমাতে হাত দিয়ে কুয়াশার জল সরিয়ে নিচ্ছিলাম। এরপর সেখানে পৌঁছে ফোন করলাম আমার কলিগকে।এই ট্রেনিং এ আমার দুজন কলিগ ও রয়েছে।
সেখানে একজন কলিগকে পেয়ে গেলাম।সেও আমাকে ফোন দিচ্ছিল।এরপর আমাদের লেডি কলিগও আসল।আমরা তিনজন কাছাকাছি বসলাম।কিছুক্ষন পর ট্রেইনার এলো রুমে।বিরক্তিকর ট্রেনিং এ দুচোখে রাজ্যের ঘুম নেমে আসতে চাইছে।ট্রেনিং হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৫টা পর্যন্ত কিন্তু ট্রেইনার বলল সে একটানা সেশন নিয়ে দুপুরেই আমাদের শেষ করে ছেড়ে দিবে।ভাল লাগল তার কথা শুনে। এরপর সময় যেন আর যেতে চাইছে না।এত ঘুম পাচ্ছিল যে দুইবার বাইরে বের হয়ে এলাম।এরপর স্যার আমাদের ২:১০ এ ছেড়ে দিল।
ওখান থেকে বেরিয়ে আমি স্বপ্ন শোরুমে গেলাম কিছু মশলা কিনতে।যেহেতু বাড়িতে সবাই আসছে,এদিকে শীতকালও,তাই আমরা একটা পিকনিক করব তারই টুকিটাকি বাজার সেরে রাখলাম।এরপর সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।বাড়িতে এসেই মাকে বললাম খাবার দিতে।ক্ষুধায় পেট চো চো করছে।খেয়েই নিজের রুম পরিস্কার করতে নেমে পড়লাম।রুম ভালমতো পরিস্কার করে স্নান সেরে নিলাম আবার।এরপর কিছু সময় প্লাটফর্মে কাজ করলাম।এই সপ্তাহে ফাইনাল চলছে টুর্নামেন্টের কিন্তু আমি একদমই সময় দিতে পারছি না।
কিছু সময় কাজ করে একটু ঘুমিয়ে গেলাম।এদিকে আমার ওয়াইফের ও আজ বাড়ি আসার কথা।ওকে আনতে আমার কাজিন গিয়েছে। ওরা আসতে আসতে রাত ৯ টা বেজে গেল।গতকাল আবার হ্যাংআউট ছিল আমাদের।জয়েন করার কিছু সময় পরই নিচে পার্থর চিতকার শুনে নামলাম।এরপর আর আমার হ্যাংআউটে অংশ নেয়া হলো না!! এরপর সবাই মিলে কিছুক্ষণ হই হুল্লোড় করলো।রাতে খাবার খেয়ে আমি আবার কিছু সময় কাজ করলাম।রাত যখন ২ টা বাজে তখন ঘুমাতে গেলাম।পরদিন আবার অফিস আছে!!
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
পুরো দিনলিপি পড়ে বুঝলাম আপনি অনেক কম ঘুমিয়েছেন। এত কম ঘুমালে আপনার শরীর খারাপ হতে পারে। আপনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন অতঃপর প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সেরে বরফ শীতল পানি দিয়ে গোসল করে নিলেন। সত্যিই আপনার সাহসের তারিফ করতে হয়। অতঃপর আপনি দিনের বেশি অংশ ট্রেনিং এর কাজে ব্যয় করলেন। বাড়ি ফিরে এলেন। এদিকে আপনার স্ত্রীর ও আজ বাড়িতে আসার
কথা। কিন্তু তাকে আনতে যেতে আপনি পারলেন না। এদিকে হ্যাংআউটে আনন্দ উৎসব করবেন ভেবেছিলেন তাও করতে পারলেন না। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত একটি দিন আপনি পার করলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলেই কম ঘুমানো হয়ে যাচ্ছে কয়েকদিন।আমারও ভয় লাগে এত কম৷ ঘুমানোর ফলে কোনো বিপদে না পড়ি
তবে একসাথে সব ধরনের কাজ পড়ে যাওয়ায় এই ব্যস্ততা।
আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় মন্তব্য পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর একটি অতিবাহিত করেছেন।আপনি গতকাল বিরক্তিকর এক ট্রেনিংয়ে গিয়েছিলেন সেখানে আপনারা ৩ জন ছিলেন।আর একদম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলেন বলে ঘুম ছিল চোখে অনেক। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সঠিক বলেছেন ভাই, ট্রেনিং যদি মজার না হয় তাহলে যা হয় আরকি।আমার ভিষন ঘুম পাচ্ছিল ওখানে বসে।তাও অভিনয় করে যাচ্ছিলাম যাতে হাসির পাত্র না হতে হয়।
সকাল সকাল ইদানীং ঘুম থেকে ওঠা হচ্ছে। তার কারণ এই টুর্নামেন্ট।
সকালে কিছু কমেন্ট করে না এগিয়ে নিলে আমি অনেক পিছনে পড়ে যায়।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
অভিনয় করে হলেও হাসির পাত্র হওয়া থেকে বাঁচলেন সেটাই খুশির সংবাদ। আর শুনে অনেক ভালো লাগলো যে টুর্নামেন্টের জন্য আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠেন এবং কিছু কমেন্ট করেন। আপনার কষ্টের ফল ভালো কিছুই হবে আশা করি।
আপনি তো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ইয়া বড় কাজ করেলেন ঠিকই বলেছেন এত সকালে ওঠা মোটেও সহজ কাজ না। ওয়াশরুম পরিষ্কার করলেন তারপর স্নান করে দুমুঠো খাবার খেয়ে ট্রেনিংয়ে গেলেন ট্রেনিং নয় তবু উপস্থিত থাকতে হবে । এটো কুয়াশা দুরের মানুষ ধরে মানুষ কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তারপর দুইটা বাজে ট্রেনিং শেষ হয় বাজারে গেলেন কিছু মসলা কেনার জন্য পিকনিক করবেন তার জন্য। তারপর বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করলেন এবং নিজের রুমে চলে গেলেন।
২৫ তারিখের দিনটা আপনার অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটেছে আপনার পোস্টে ফলে যা বুঝতে পারলাম। থ্যাংক ইউ ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি যত্নসহকারে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনি সঠিক বলেছেন আমি ২৫ তারিখ খুব ব্যস্ত সময় পার করেছি।
আমার কাছে এমনটা মনে হয়েছে যে,কোনো একটা শিডিউল মিস করলে পরের কাজ টা সময়ের ভিতর করা কঠিন হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
অফিসের এই ট্রেনিংগুলো বেশীরভাগ সময় বড্ড বিরক্তিকর হয়। তাও ভালো যে আপনার দুজন কলিগকে সাথে পেয়েছেন না হলে আরও বেশি বিরক্তিকর লাগতো। ট্রেনার মানুষটাকে ভালো বলতে হবে, একটানা ফ্যাশন নিয়ে দুপুর দুটো দশের মধ্যে ছেড়ে দিলেন। বাড়ির সকল আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ভালো করে পিকনিক করুন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এটা আপনি যথার্থই বলেছেন। এসব ট্রেনিং খুব একঘেয়ে লাগে।একা একা থাকলে আরও বেশি বিরক্ত হতাম।দুজন কলিগকে পেয়ে একটু মানসিক শান্তি পেয়েছিলাম।
আমার পোষ্ট পড়ে তাতে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছে। আসলে ট্রেনিং করতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় যেটা আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম। এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা তারপর বাইক নিয়ে সোজা ট্রেনিং করতে যাওয়া অনেক বেশি সমস্যার ব্যাপার। আর শীতের সময় বাইক চালানো অনেক রিস্ক। কেননা কুয়াশার কারণে সামনে কিছুই দেখা যায় না তার ওপর প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা। আপনি হ্যাংআউটে জয়েন করেছেন, কিন্তু কিছু একটা সমস্যা হওয়ার কারণে আপনি বের হয়ে গেছেন। আমি ঠিক জানিনা আপনার সমস্যাটা কি। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনি সমস্যাটা থেকে বের হয়ে আসুন।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলে শীতকালটা আমার খারাপ লাগে না।শুধুমাত্র স্নানের সময় একটু বিরক্ত লাগে।আর এরকম খুব সকালে কোনো কাজ থাকলেও বিরক্ত লাগে।
ট্রেনিংটা আসলে যুগোপযোগী করা উচিৎ। আমার মনে হয় প্রাকটিক্যালি দেখালে এসব ট্রেনিং করাতে ২০ মিনিটই যথেষ্ট।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
এই কথা ঠিক বলেছেন শীতের সকালে বাইক চালালে মনে হয় যেন মুখে আর হাতে কেউ বরফ ছুড়ে মারে। তারউপর এত সকালে বাতরুম পরিষ্কার করে গোসলও করেছেন ঠান্ডা তো আপনাকে চেপে ধরেছে। যাই হোক আজ সারাদিন অনেক ধকল গেছে আপনার উপর দিয়ে সংসারীক কাজের সাথে অফিসের কাজও সামলিয়েছেন আসলে ট্রেনিং অনেক সময় বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু সস্তির ব্যাপার ছিল পাঁচটার ট্রেনিং দুইটায় শেষ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় দিনের মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি যত্নসহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আসলেই যেকোন ট্রেনিং ই বিরক্তিকর লাগে যদি সেটার উপর আগ্রহ না থাকে।
বাড়ির কাজ নিজের টা তো করতেই হয়। তাই কাল বিলম্ব দেরি না করে শুরু করেছিলাম।
ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুম ক্লিন করে বরফ ঠান্ডা পানিতে গোছল করেছেন। কুয়াশার ছবি দেখেই ঠান্ডার পরিমান অনুভব করছি।
আপনার মতো আমারও ইচ্ছে ছিলো হ্যাংআউটের দিন মজা করার কিন্তু একদম লাস্ট টাইমে ঢুকেছিলাম বাইরে থাকার কারনে। যার কারনে অনেক কিছুই মিস করে গেছি
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর একটি দিন আমাদের মাঝে অতিবাহিত করলেন। যেহেতু আপনাদের পূজার একটি দিন তাই সকলেই উপস্থিত থাকার চেষ্টা করে এই দিনেদ্রুত অল্প কিছু ভাত খেয়ে ট্রেনিংয়ে আসলেন। আমার নিজের ও বিরক্ত লাগে একঘেয়েমি লাগে। ট্রেনিং এর কথা শুনতে নিজের কাছে বিরক্ত লাগে খুব। ২৫ তারিখের দিনটা আপনার অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটেছে আপনার পোস্টে পড়ে যা বুঝতে পারলাম। থ্যাংক ইউ ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আপনার পোস্টটি পরে বুঝতে পারলাম আপনি খুব ব্যস্ত মা একটি দিন পার করেছেন,
তাছাড়া খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার কারণে চোখে ঘুম ছিল এবং সারাদিনই আপনাকে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে থাকতে হয়েছে।
সারাদিন কাজ শেষে ট্রেনিং শেষ করে রাতে আবার হ্যাংআউটে চোখ দিয়েছেন এটাই অনেক বোঝার বিষয় আপনি কাজের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অফিসে কাজের চাপে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছিলাম।তার উপর বন্ধের দিন ট্রেনিং করার মতো মন মানসিকতা ছিল না।তাই বেশ বিরক্ত ছিলাম।তাও যদি সকালে না হয়ে অন্য সময় হতো সেটাও মানতে পারতাম।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।