Better life with steem|| The Diary Game || 20th January 2024.
ইদানীং ছুটির দিন গুলোতে আরও ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।চাকরি,পরিবার পরিজন এসব নিয়ে নিজেকে সময় দেয়ার সময় টুকু পাচ্ছি না।যাইহোক শনিবারের সকাল টা একদমই অন্যরকম কাটলো,অন্যান্য শনিবারগুলোতে সকালে কোন না কোন কাজ থাকে তবে এই শনিবার একদম ঘুমিয়ে কেটেছে। এদিন সকালে খাবার আর খাওয়া হয়নি।বেলা ১২ টার দিকে খাবার খেলাম।অশৌচ থাকায় নিরামিষ খাবার খেতে হচ্ছে বেশ কিছু দিন।তাই বাইরে কিংবা বাসায় আলাদা কোন খাবার খাওয়ারও উপায় নাই।
তখন হঠাৎ মনে হলো নিজেরা বাসায় নিরামিষ সিংগাড়া তৈরি করে খাব।ভাবতে দেরি আছে কিন্তু কাজ শুরু করতে দেরি নাই। নিজেই আলু আর ফুলকপি কেটে নিলাম।সেগুলো ধুয়ে রান্না করতে চলে গেলাম নিজেই যদিও আমার ওয়াইফ সাহায্য করছিল মাঝে মাঝে। ওর পরীক্ষা থাকায় আর কাজে ডাকিনি।
সিংগাড়ার পুর তৈরি করে এটার সঙ্গে সস খাওয়ার কথা মনে হলো।তেতুল দিয়ে টক মিষ্টি চাটনি তৈরি করে নিলাম।এসব করতে করতে প্রায় ৪:০০ টা বেজে গেল।চুলার উপর তেল দিয়ে কয়েকটা সিংগাড়া ভাজি করছি এমন সময় গ্যাস ফুরিয়ে গেল।
কিছু সিংগাড়া প্রায় ভাজি করা হয়ে গিয়েছিল তাই সেগুলো খেয়ে নিলাম।এদিকে সন্ধ্যার আগে আগে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল।সেইমতো বেরিয়ে গেলাম ৬:০০ টার দিকে।আমি আী আমার দুই বন্ধু মিলে প্রথমে নিরালা মোড়ে গেলাম।সেখানে আমাদেরই কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা অরগানিক পন্যের দোকান খুলেছে।ওর প্রতিষ্ঠানে আমাদের কলেজ লাইফের সব বন্ধুকে ডেকেছিল পিঠা খেতে!পিঠা খাওয়ার দাওয়াত থাকলেও ওর উদ্দেশ্য ছিল নতুন দোকানকে বন্ধু মহলে তুলা ধরা।তাছাড়া এরকম ভাবে সব বন্ধু এক জায়গা একত্রিত হওয়া অনেকটা অসম্ভব।তবে আশ্চর্যজনকভাবে অনেক বন্ধু বান্ধব সেখানে আসে।
আমাদের কলেজে একটা পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।আমাদের এই মিলনমেলায় সেসব নিয়ে কিছুক্ষণ কথা হলো।এদিকে আমার আবার অনেক কাজ পড়ে আছে।তাই সেখান থেকে ৮:২০ এ বেরিয়ে গেলাম।সাথে আমার বন্ধু আবতহী ছিল আমার সাথে।ওর একটা রাইস কুকার কেনার ছিল।আমরা আগেও একদিন ওর রাইস কুকার কেনার ব্যাপারে বেশ কিছু সময় ব্যয় করেছিলাম।তাই আজ আর সময় নষ্ট হয়নি।রাইস কুকার কেনার পর আমার কাজের জন্য দুজন গেলাম হকার্স মার্কেটে।সেখান থেকে আমার কলিগের কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো সারলাম আগে।তারপর বাসার কিছু জিনিস কিনে বাসায় এলাম।
বাসায় এসে আবারও সেই সিংগাড়া বানাতে বসতে হবে।তবে এসব করার আগে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।খাওয়া দাওয়া সেরে বসলাম বাকি কাজ করতে।এসব করতে করতে প্রায় ১২:৪০ বেজে গেল।এগুলো সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রেখে দিলাম।পরের দিন আবার অফিস।খুব কষ্ট লাগছে এটা ভেবে যে সকাল বেলা এই শীতের ভিতর রওয়ানা করতে হবে। কিন্তু কি আর করা,সব মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
বন্ধু মহল তো যখন স্কুল জীবনে থাকে তখনই ভালো থাকে। সবাই একসাথে প্রতিদিন একসাথে হওয়া খেলাধুলা করা। বড় হওয়ার পর বিয়ে করার পর চাকরি-বাকরি নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই থাকতে হয়। তাই আর বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো সম্ভব হয় না। আজকে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে সময় কাটিয়েছেন। বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
আপনাকে অবশ্যই অনুরোধ করবো।🙏 আপনার পোস্ট লেখার পর ভালোভাবে পোস্ট কয়েকবার পড়ে দেখবেন। কেননা আপনার পোস্টে বানান ভুল আছে। অনুগ্রহপূর্বক পরবর্তীতে বিষয়টা লক্ষ্য রাখবেন, ধন্যবাদ।
সিংড়া খেতে মনে চাইছে তাই নিজেরাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সিংড়া তৈরি করছেন। সিঙ্গার তৈরি করা যা তাই বিষয় নয় তবে দেখে তো মনে হচ্ছে আপনারা এর আগেও তৈরি করছেন খুব সুন্দর হয়েছে সিংড়াগুলো।
ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কিছু শেয়ার করার জন্য।
ছুটির দিনে মন ভরে ঘুমিয়েছেন। সকাল ১২ টায় উঠেছেন আর খাবার খেয়েছেন।। আর নিজেই সিঙ্গারা বানিয়েছেন দেখে ভালই লাগছে।। আবার বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ডা করেছেন সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।।
অনেক ব্যস্ততার মাঝে দিন কাটাচ্চেন যেটা বুঝতে পারলাম ৷ তবে সিংগারা গুলো দেখে আমার জিভে জল আসার মত কারন সিংগারা আমার ও অনেক পছন্দের ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
সিংগাড়া গুলো অসাধারণ হয়েছিল। দাওয়াত থাকল ভাই সিংগাড়া খাওয়ার।