Better life with steem|| The Diary Game || 17th March 2024.
গতকাল ছিল জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস।দেশের সমস্ত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এদিন বন্ধ ছিল।শনিবার দিনটি আমার খুব খারাপ কেটেছিল।সারাটা দিন আমি অসুস্থ। পেটের পীড়ায় পুরো অস্থির হয়ে পড়েছিলাম।আগের দিনের খাওয়া রোড সাইড ফুড ই এর অন্যতম কারণ হতে পারে।এসব কারণে আমি বাইরের খাবার খায় না।যাইহোক এখন আমি ভালো আছি।অসুস্থ থাকার কারনে ঐদিনের কাজকর্ম গুলো করতে পারিনি।তাই রাজ্যের কাজের আাপ পড়ে যায় রবিবার।
রবিবার ঘুম থেকে উঠে চলে যায় বাইতিপাড়া বাজারে।সেখান থেকে অল্প কিছু সবজি কেনার ইচ্ছা ছিল।রমজান মাস উপলক্ষে বাজারে আগুন লাগা দাম সব পণ্যে। আগে যে পাকা কলা ৩৫/৪০ টাকা ডজন কিনেছি সেটা গতকাল ৭২/৮৪ টাকা ফিক্সড! মেজাজ খারাপ করে চলে গেলাম না কিনে।বাজারের ভিতর থেকে কিছু সবজি কিনে ফিরে এলাম বাসায়।বাসায় আসার পর ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেলাম।আগের দিন পেটের সমস্যা হওয়ায় খাবারে ছিল বিশেষ সতর্কতা।সকালের খাবার খেয়ে আমাদের আবার বাজারে যেতে হবে।
মাছ মাংসের বাজার করার জন্য প্রথমে চলে যায় বড় বাজার।সেখানে গিয়ে দেখি তেমন কোনো মাছের সমাহার নাই।যা কিছু আছে তা আমার মতো গরীবের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।এতদূর হেটে এসে মাছ কিনতে না পারার কারনে বেশ মেজাজ খারাপ হলো।তবে ওখানে মাছের মাথা কিনতে পাওয়া যায়।ইন্ডিয়ান স্ট্যাইলে এখানে কাটা মাছের মাথা বিক্রয় হয়।এটা আমার বেশ ভালো লাগে।ইন্ডিয়াতে এটা সব জায়গায় চালু থাকলেও আমাদের দেশে এখনো চালু হয়নি।তবে এটা চালু হলে অনেক গরীব মানুষও মাঝে মাঝে পছন্দ মতো মাছ মাংস কিনে খেতে পারতো।
যাইহোক ওখান থেকে কিছু কাটা মাথা কিনে চলে গেলা মিস্ত্রিপাড়া বাজারে।এখানে বাজারটা বেশ বড় আর অনেক অপশন ও আছে।আমরা বেশ কিছু সময় বাজার ঘুরে দেখলাম।তারপর পছন্দ মতো কিছু মাছ আর মাংস কিনে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।বাসায় পৌঁছে দেখি ১২টা বেজে গেছে।মাছ মাংস বরাবরই বাইরে থেকে কাটিয়ে আনা হয়।কিন্তু এদিন মাছ কাটাতে পুনরায় আরেক বাজারে যেতে ইচ্ছা করেনি।তাই ভাবলাম নিজেরা চেষ্টা করে দেখি।
বাসায় এসে আকাশ মাছ কাটতে শুরু করল।মুরগী কাটা শেষ হলেই বাধে বিপত্তি। বাসায় মাছ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল না।এদিকে আমাদের ১.৫ কেজি কৈ মাছ ও কাটতে হবে! মাছ কাটতে গিয়ে দেখি আকাশের অবস্হা নাজেহাল।তাই বাধ্য হয়ে আমিও ওর সাথে যোগ দিলাম।ভিষণ যুদ্ধ করে মাছ কাটতে কাটতে বেলা ৩:৩০ টা বাজিয়ে দিলাম।এরই মধ্যে বাড়ি থেকে কাজিন পার্থ ফোন দিল যে সে বাসায় আসছে।দুপুরে কোনো খাবার রান্না হয়নি তখনো। পার্থ বাসায় এলে ওকে হালকা খাবার দেয়া হলো।এরই মধ্যে আমি আর পার্থ বাজারে গেলাম ওর রুমের ফ্যান কিনতে।ফ্যান কিনে বাসায় এসে দেখি রান্না শেষ।
সবাই একসাথে খেলাম,তখন ৫টা বাজে!পার্থ খেয়ে বাসায় চলে গেল।এরপর আমরা আবার বের হলাম বাজারে।টুকিটাকি কেনাকাটা শেষে বাসায় যখন ফিরলাম তখন রাত ১০ টা বাজে! এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
রাস্তার পাশের তেল যুক্ত খাবার খেলে আমারও পেটের সমস্যা হয় এজন্য এগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি কিন্তু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাজে মাঝে না খেলে উপায় থাকে না। আজ বাজারে গিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনীয় বাজার করেছিলেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।।
ভাই রমজান মাসে সব তরি তরকারি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এত দাম হবে তা কখনো কেউ কল্পনা করতে পারে নি। যাইহোক তাই অল্প অল্প করে জিনিস ক্রয় করাই উত্তম বলে আমি মনে করি। আপনার পেটের পিড়া এখন অনেকখানি ভালো হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার আগামী দিনের পথচলা শুভ হোক। ভালো থাকবেন।
আপনার মনে হয় ভেজাল কোন খাবার খাওয়ার কোন মেয়ে হয়েছে। নিয়মিত ওষুধ খাবেন। আপনাকে না সব যেগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে একেবারেই টাটকা। রমজান মাসের দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি দেখে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। কোন কিছুই যেন হাতের নাগালে নেই। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবে।
বাহিরের খাবার অস্বাস্থ্যকর। হঠাৎ করে যে কেউ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হতে পারে। আপনিও নিশ্চয়ই এমন সমস্যায় পড়েছেন। রমজানের কারণে সত্যিই বাজারের অবস্থা খুব খারাপ।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এতো বেড়ে গেছে যে জীবন যাপন করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। রমজানের আগের দাম আর এখনকার দামে আকাশ পাতাল তফাৎ। যাইহোক তবুও খেতে তো হবে। জীবন কাটিয়ে যেতে হবে। তবে মাছ কাটতে গিয়ে বেশ ভুগেছেন বলে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কর্মব্যস্ত দিন পার করেছেন।