Better life with steem|| The Diary Game || 17th July 2024.
আজ সরকারি ছুটি ছিল। তাই সকালে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠলাম।বাসায় গেষ্ট থাকায় একটু বাজার করার প্রয়োজন ছিল আজ।বাইতিপাড়া বাজারে চলে গেলাম, সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরলাম।সকালে বেশ কয়েকটা হাছিঁ হয়ে খুব খারাপ লাগছিল।তাই মশলা জাতীয় গরম জল খেয়ে নিলাম। এটা করোনাকালীন সময়ে খুব চলেছে মানুষের ঘরে ঘরে।যাইহোক আজ অন্যান্য দিনের মতো সকালে ভাত দিয়ে শুরু হয়নি।আজ ভিন্ন রকম কিছু মেনু থাকছে সকালের খাবারে।
সকাল ৯:৩০ নাগাদ আমাকে খেতে ডাকল,কিন্তু তখন আমি দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একটু নিউজ দেখছিলাম। তাই আমার খাবারটা সেখানে পৌঁছে দিলে সেটা খেতে খেতে ভাবতে লাগলাম স্বাধীন দেশের কি অবস্থা হয়েছে।কোটা সংস্কার এর দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ মাঠে নেমেছে। তাদের উপর অত্যাচার, নিপীড়ন কোন ভাবেই কাম্য নয়।যাইহোক এসব নিউজ দেখতে দেখতে বেশ সময় পার হয়ে গেল।
অনেক দিন হলো আমরা বাসায় ফালুদা খাব বলে ভাবছি কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি।আজ ভাবলাম সেটা তৈরি করব।আমি দুপুরেই কিছু জেলো তৈরি করে রাখলাম।হালকা ফুড কালার দিয়ে তিন প্রকার জেলো তৈরি করলাম।জেলো জিনিসটা আমার কাছে মোটেই স্বাস্থ্যকর লাগে না।তবুও অন্যদের জন্য এটা দিতে হয়,আমি এটা একদমই খায় না! এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ভিষণ ঘুম পাচ্ছিল তাই দেরি না করে ঘুমিয়ে নিলাম।সন্ধ্যা হয়ে এলে আমার ঘুম ভাঙল।ওয়াইফ এসে বলল বাজারে যেতে হবে।কিছু সময় পর ও কে নিয়ে বড় বাজার গেলাম।
বড় বাজারে গেলে আমার সব সময় বিরক্ত লাগে,বিশেষ করে সাথে কোন মেয়ে মানুষ গেলে।কারণ এই এলাকায় ঠেলা গাড়ি,রিকশা,ভ্যান ইত্যাদি চলাচল করে খুব বাজে ভাবে।কখন গায়ের উপর তুলে দেয় তার ঠিক থাকে না।তাই সাথে মেয়ে মানুষ থাকলে চিন্তা হয়।যাইহোক বড় বাজারে আজ শুধু চাল কেনার কাজ ছিল।আমি আগে কখনো চাল কিনি নাই।এটাই প্রথম জীবনে!তাই ওয়াইফ এক্সপার্ট হিসেবে আমার সাথে এসেছে। যাইহোক চাল কিনে বাসায় আসতে রাত ৮ টা বেজে গেল।
বাসায় ফিরে ফালুদা তৈরির কাজে লেগে গেলাম।আজ ফালুদায় মাত্র ২ প্রকার ফল দিয়েছি।ফালুদা খেতে খেতে সবাই একটা পারিবারিক আড্ডা দিয়ে ফেললাম।খাবার শেষ করতেই একটা বন্ধু ফোন করল।ও বেশ কয়েকদিন বলছিল দেখা করবে,ওর ফোন পেয়ে পুনরায় বেরিয়ে নিরালা আবাসিক এ চলে গেলাম।ওখানে আমার আরও একজন বন্ধু ছিল।এরা সবাই আমার খুব কাছের বন্ধু আবার কলিগও বটে।আমরা কিছু সময় রাস্তায় দাড়িয়ে আড্ডা দিলাম।তারপর মিঠাই তে গিয়ে বসলাম।সেখানে বসে একটা অ্যাপেল জুস কিনে খেতে খেতে আড্ডা দিলাম।আগে এদের সাথেই সারাদিন কাটত।কিন্তু এখন মাসে একবারও দেখা হয়না।
এরপর বাসায় ফিরতে রাত ১০:২০ বেজে গেল।দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে বাসা থেকে বার বার ফোন আসছিল যেন দ্রুত ফিরে যায়।বাসায় ফিরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম পরের দিনের আশায়।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ছুটির দিনে সকলেরই একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে। আপনি ও দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছেন ।ছুটির দিনে অনেক কাজ থাকে। আপনিও বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাকাটা করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।
আপনি যে পোস্ট শেয়ার করেছেন এটি অত্যন্ত সুন্দর পোস্ট। তবে আপনাকে সারা দিনের কাজকর্ম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশ্বাস করে আপনি যে খাবারগুলো তৈরি করেছেন সেই খাবারগুলো অসাধারণ ছিল।আজ ছুটির দিনে আমরা সবাই বাজারে যায় এবং বিভিন্ন প্রকারের খাবার ক্রয় করি। এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামীতে আমাদের মাঝে আরো সুন্দর পোস্ট করবেন।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কারনে আজ দেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। খবর দেখে দেশের অবস্থা জানার চেষ্টা আমরা সকলেই করি। হ্যা, ভাই বড় বাজারের ঠেলা গাড়িগুলো খুব ভয়ংকর ভাবে চলাচল করে দেখলেই ভয় লাগে। আমিও কিন্তু খুলনাবাসি।