Better life with steem|| The Diary Game || 17th January 2024.
কিছু দিন যাবত শীত যেভাবে জেঁকে বসেছে তাতে মনে হচ্ছে সাইবেরিয়া আছি।শীতের প্রকোপে জীবন আসলেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে এটাও সত্যি যে এখনতো শীতকালই চলছে,কাজেই শীত পড়াটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। গতকাল অফিস শেষে খুলনার বাসায় গিয়েছিলাম। আজ আবার অফিসে আসতে হবে সেখান থেকে।তীব্র শীতে সবথেকে কঠিন কাজই হলো খুব সকালে বিছানা ছেড়ে আসা।আমাকে আজ ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে সকাল ০৭:১৫ তে।এরপর যত দ্রুত সম্ভব রেডি হয়ে বেরিয়ে আসতে হলো অফিসের উদ্দেশ্যে।
বাইরে বেরিয়ে দেখি কুয়াশায় আশেপাশে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখাচ্ছে। হালকা বাতাস বইছে, যেটা শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। হাটতে হাঁটতে মেইন রোডে এলাম।কয়েক মিনিট দাড়ানোর পর একটা অটো এল,সেটাতে করে রূপসা চলে এলাম।রূপসা ঘাটের দৃশ্য আজ দেখার মতো ছিল।প্রতিটা ট্রলারে লাইট জ্বলছে, ঘাটের দুইপাশেও পর্যাপ্ত লাইট জ্বালানো হয়েছে কারন একটাই, কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না,তাই ট্রলার গুলো যাতে নিরাপদে ঘাটে পৌঁছাতে পারে তার জন্য এসব লাইট জ্বালানো হয়েছে।
ঘাট পেরিয়ে যথারীতি বাস ধরলাম ফকিরহাটের।বাসে বসে বসে কিছু কাজ সারলাম এই প্লাটফর্মের।কিছু সময় যেতে না যেতেই দেখি গন্তব্যে পৌঁছে গেছি!বাস থেকে নেমে কলিগকে জানিয়ে দিলাম যে আমি পৌঁছে গেছি,আপনিও আসতে পারেন।আসলে এত সকালে এখান থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য বাইকের বিকল্প কিছু নাই।আর আমার বাইকটা বাড়িতে থাকে,যার ফলে আমাকে কারও না কারও সঙ্গে যেতে হয়।এরপর ওখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিলাম, এমন সময় দেখি একটা হনুমান আসছে।আমি সেটার কিছু ছবি তুলে নিলাম।ছবি তোলার সময় সেটা দৌড়ে কাছে চলে এলো।আমিতো রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম,ভাবলাম কামড়ে না দেয়।হনুমানটি কিছু সময় পাশে একরা ব্রিজের রেলিং এর উপর বসে ছিল।বেশ কিছু সময় সেটাকে দেখছিলাম আর রামায়ণের বিভিন্ন কথা মনে করছিলাম।
এসব ভাবতে ভাবতে কলিগ চলে আসলো। আমরা একসঙ্গে রওয়ানা হলাম।বাইক চলতেই এতটা শীতের অনুভূতি হতে লাগল যে মনে হচ্ছিল নেমে গিয়ে লেপের নিচে শুয়ে পড়ি।এভাবে কাঁপতে কাঁপতে অফিসে চলে এলাম।এরপর আর শীতের অনুভূতি হয় নাই কারন কাজ আর কাজ!! বিকালে কাজ শেষে একটু বের হলাম ঔষধ কিনতে। ঠান্ডাজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য এখন এন্টিবায়োটিক শুরু করতেই হবে।গতকাল ডাক্তারের সাথে কথা বলে ঔষধের নাম জেনে নিয়েছিলাম।
অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়িতে আসতে আসতে ৭:০০ টা বাজল।এরপর পার্থর সাথে কিছু সময় এটা ওটা নিয়ে আলোচনা করলাম।রাতে খেতে গেলাম, ৮:৩০ টার দিকে।কারন গ্রামে রাত ৮/৯ টা মানে অনেক রাত।সবাই অনেক ক্লান্ত থাকে,তাউ সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চায়।রাতের খাবার শেষ করে হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করলাম।এরপর নিজের রুম টাকে একটু গুছিয়ে নিলাম। অবশেষে ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
ভাই আপনি তো আমাদের কে অসাধারণ একটা সকালের কুয়াশা মাখানো দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দিলেন।আর আমি তো এই দৃশ্য দেখতেই পারি না সামনা সামনি কারণ আমি তো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই পারি না।আর আপনার তো উঠতেই হয় কাজের জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
শীতকাল মানেই শীতের প্রকোপ ঠান্ডা আর ঠান্ডার মধ্যে হাড় কাঁপানো একটা অবস্থা। আসলেই মাঝে মাঝে আবারো মনে হয় আমরা সাইবেরিয়াতে আছি। কিন্তু হয়তোবা সাইবেরিয়ার অবস্থা আরো বেশি খারাপ। ঠান্ডার মধ্যে আপনি নৌকায় করে আবার অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
আমার কাছে তো মনে হয় নৌকা যখন উঠেছেন। তখন আপনার অবস্থায় একেবারেই খারাপ হয়ে গেছে। এই শীতের মধ্যে হনুমান বের হয়ে এসেছে। আপনি তার ফটোগ্রাফি তুলে নিলেন। বাসায় এসে খাবার দাবার খেয়ে হ্যাং আউট এ জয়েন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে অফিসে যাওয়া খুব কষ্টের একটি বিষয় একাধিক তার মধ্য দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আর এরপরে কুয়াশায় ঘেরা।
অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়িতে আসতে আসতে আপনার ৭:০০ টা বেজে যাই। বেশ ভালো হবে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরছেন।