Better life with steem|| The Diary Game || 17 November , বৃষ্টিস্নাত দিনে একদিনের রাঁধুনির ভূমিকায় :

in Incredible India11 months ago
হ্যালো বন্ধুরা
IMG_20231117_184331.jpg

সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ।গতকাল অফিসে ভয়ানক চাপ ছিল। বৃহস্পতিবার আসলে বরাবরই আনন্দ হয়,তবে এই বৃহস্পতিবারেই সবথেকে দেরি হয় অফিস থেকে লিভ নিতে।তারউপর শুরু হয়েছে ছুটির দিনেও অফিসিয়াল কাজে অফিস যাওয়া।কিছু করার নাই আসলে,জীবন মানেই মানিয়ে নেওয়া।

সকালটা যথারীতি শুরু হয়েছে আলসেমির মধ্যে দিয়ে। সারা সপ্তাহের কাজের ক্লান্তি একদিনের বিশ্রামে দূর করার বৃথা চেষ্টা করা হয় এদিন।তবে এত কাজ জমে যায় আমার এই ছুটির দিনকে আর ছুটির দিন মনে হয় না। এদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা গুলোতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। এই শীত শীত আমেজের ভিতর আবার বৃষ্টি কিছুটা অস্বস্তি জোগাচ্ছে। কয়েকদিন আগের বাইক দুর্ঘটনায় পায়ে বেশ আঘাত লেগেছে। এর ভিতর দিয়ে অফিস যখন করা লাগছে, সেখানে এই অজুহাতে বাজারে না গেলে চলবে কেমন করে! রাত থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির ভিতরও সকালেবাইতিপাড়া বাজারে বাজার করতে যাওয়া দিয়েই শুরু হয়েছে। সকালে ফ্রেশ হয়েই বাজারের ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে ছাতা মাথায় বাজারে চলে যায়।

IMG_20231117_151719.jpg

সেখানে অন্যান্য দিনের মতো বাজারে ভিড় ছিল না, বিক্রেতাদের সংখ্যাও কম ছিল। অল্প কিছু তরিতরকারি কিনে বাসায় ফিরে আসি।বাসায় পৌঁছে সকালের খাবার খাওয়ার জন্য তাড়া দেয়।কাজেই ক্ষুধা না থাকলেও খাবার সেরেই বসি।ডাইনিং এ সবার কাছে জানতে চাওয়া হয় দুপুরে কে কি খেতে চায়।শুক্রবারে বাসায় সবাই থাকে বিধায় খাবারে কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা হয় এদিন।

বাইরের এই বৃষ্টিমুখর পরিবেশে আমরা খাবারে ভিন্নতা আনতে বিভিন্ন ভর্তা আর ভাজি করার প্রয়াস করি। আমাদের খাবারের মেনু সেট করা হয় এমনভাবে যে, দুপুরে সাদা ভাতের সঙ্গে বিভিন্নরকম ভর্তা আর ভাজি, সন্ধ্যার দিকে চটপটি আর ফুসকা,আর রাতে ভেজ খিচুড়ি। যেই ভাবা সেই কাজ, আমি সব তরিতরকারি কেটে দেয়ার ভূমিকা নিই।

IMG_20231117_150141.jpg

দুপুরের সব ভর্তা মাখানোর দায়িত্ব পড়ে আমার উপর।আমি আবার দায়িত্বে অটুট সৈনিক!! ভর্তা মাখানোর কাজ সম্পন্ন হলে আমরা সবাই একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করি।রোজকার মাছ- মাংসের বাইরেও যে ভালো খাবার আছে সেটা খাওয়া শেষে বুঝতে পারলাম।এরকম ভেজা আবহাওয়ায় খাবার গুলোতে এনেছিল ব্যতিক্রম স্বাদ।দুপুরের খাবার শেষে কিছু সময়ে রেস্ট নিয়ে নিলাম।পরবর্তী মেনু চটপটি আর ফুচকার বাবুর্চি নাকি আমি!

IMG_20231117_173435.jpg

চটপটি আর ফুচকা তৈরি করতে যা যা লাগে প্রথমে সেগুলো একত্র করলাম।তারপর সেগুলে বানালাম।এসব করতে করতে আনুমানিক ৬:৩৭, বেজে গেছিল। এরপর আমার স্ত্রীকে বলি সবাইকে খাবার সার্ভ করতে।চটপটি বাটিতে সাজিয়ে ও সবাইকে দেয়। চটপটিটা খুবই টেষ্টি ছিল। চটপটি খাওয়ার পর পেটটা ভরে গেছিল।কিছু সময় পর আবার শুরু হলো খাবার মিশন।এবার ফুচকার পালা, ফুচকা ভেঙে ভেঙে তার ভিতর পুর আমি ভরে দিই।সবাই যার যার মতো পেয়াজ,ধনিয়াপাতা, টক দিয়ে খেতে থাকে।আমি আর এটা তেমন খেতে পারিনি কারণ আমার পেট ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে!

IMG_20231118_092407_853.jpg

ফুচকা পর্ব শেষ করে রাতের খিচুড়ি রাধার পালা।এবারও নাকি আমাকে করতে হবে।কি আর করা,সবার ইচ্ছা পূরন করতে সবজি কেটে খিচুড়ি রান্না করলাম।ক্লান্ত লাগছিল খুব।খিচুড়িটা শেষ করে বেগুন ভাজি করলাম।সবই ধরতে গেলে বিনা সাহায্যে।এটা শেষ করতে করতে টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন করলাম। টিউটোরিয়াল ক্লাস শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিলাম। শনিবার আবারও যেতে হবে অফিসে!!

এই ছিল আমার দিনলিপি। আমার দিনলিপিটি কেমন লাগল আপনাদের জানাতে ভুলবেন না।

ধন্যবাদ
Device Name:One Plus
Camera:48 Megapixel
Shot by:saha10
location:Bangladesh🇧🇩
Sort:  
 11 months ago 

ছুটির দিনে বৃষ্টি মানেই খাওয়ার উৎসব ঘরে ঘরে। আসলে ভর্তা ভাজি হলে মাছ মাংস পেছনে পরে যায়। আর বিকেলে ফুসকা চটপটি হলেতো আর কিছুই লাগে না।এর মাঝে আবার রাতে খিচুড়ি। তারমানে সারাদিন খাওয়ার ওপর দিয়েই চলছেন। ভালো লাগলো এধরনের খাবারের উৎসবের বর্ননা পড়তে পড়তে এর ছবিগুলো দেখতে।
দূর্ঘটনায় পায়ে ব্যাথা পেয়েছেন শুনে খারাপ লাগলো।প্রার্থনা করি দ্রুত সেরে উঠুন। আর ভবিষ্যতে আরো সাবধানতা অবলম্বন করবেন এধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। গতাকল আসলেই খাওয়া দাওয়া নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি এবং এটাও বুঝেছি পরিবারের মহিলা সদস্যদের একেকটা খাবার তৈরি করতে কতটা শ্রম দিতে হয়।

Loading...
 10 months ago 

আপনার রান্নাগুলো অসাধারণ লাগছে দেখতে,খুব সুন্দর ভাবে রান্না প্রেজেন্ট করেছেন,ভালো ছবি ধারন করেছেন

দিনটা তো ভালোই পিকনিক করার মতো কাটিয়েছেন। আর আপনি তো একজন পাক্কা রাঁধুনি হয়ে উঠেছেন। যদিও আপনার অপর অনেকটা চাপ গেছে সেদিন।

দিনটা আসলেই পিকনিক এর মত গেছে আমার।রাধুনি হিসেবে ইদানীং ভালোই করছি!!
আগে কখনও রান্না করিনি।তবে এখন সময় পেলেই ইউটিউব দেখে চেষ্টা করি।খারাপ লাগে না।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 10 months ago 

কর্ম জীবন মানেই মানিয়ে নেওয়া।। কখনো ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনো অফিসের নিয়ম মেনে। কাজ যে করে যেতেই হবে।।

ছুটির দিন মানুষ আরো বেশি ব্যস্ত থাকে বাসায় কারণ ৭ দিনে যত কাজ থাকে না কেন ছুটির দিনেই সে গুলো করতে হয়।।

আজকের দিন বেশ কিছু না রান্না করেছেন খিচুড়ি থেকে শুরু করে ফুচকা পর্যন্ত বানিয়েছেন।। আর কিভাবে তৈরি করেছেন সেগুলো বলেছেন।।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটি দিনের কার্যকলাপ এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনি আজকে আমাদের সাথে আপনার কাটানো দিনের সকল কার্যক্রম গুলো শেয়ার করেছেন এবং আনন্দ ময় মূহুর্ত গুলো ভাগ করে নিয়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সাকিব ভাই,আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনিও ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60216.66
ETH 2326.87
USDT 1.00
SBD 2.48