Better life with steem|| The Diary Game || 16th July 2024.
![]() |
---|
কয়েকদিনের অসুস্থতা এখনও ঠিক হলো না।ভেবেছিলাম একটা ভাল ঘুৃম সব ঠিক করে দিবে।কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠেও শারিরীক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।ঘুম থেকে উঠে নিচতলায় মার সাথে কথা বলে এলাম।ইদানীং মা বাড়িতে একা ঘুমাতে দিতে চায় না।আমার মামাতো ভাইয়ের ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে হয়তো এসব নিয়ে বেশি চিন্তা করে ফেলছে মা,তারই প্রতিফলন আমাকে একা থাকতে না দেয়া।যাইহোক মার সাথে কথা বলে ছাদে চলে গেলাম।ছাদে গিয়ে ক্যাপসিকাম গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখি গাছে বেশ ফুল এসেছে।মনটা ভালো হয়ে গেল এটা দেখে।মাত্র ২ মাস আগেও ছাদে অনেক গাছ ছিল।কিন্তু এবছর অনাবৃষ্টির কারণে সব গাছ মরে গেল।
![]() |
---|
ছাদ থেকে নেমে একটু সময় নিয়ে স্নান সেরে নিলাম।এরপর দ্রুত সকালের খাবার শেষ করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। তবে মাথা ব্যথাজনিত কারণে আজ বেশ খারাপ লাগছিল।রাস্তায় আজ ২ বার বাইক থামাতেই হলো।কারণ কেন যেন মনে হচ্ছিল এখনি না থামলে আমি এটা কন্ট্রোল করতে পারব না।এরপর অফিসে পৌঁছে কিছু সময় চুপচাপ একাকি দূরে গিয়ে বসে রইলাম। তারপর দৈনন্দিন কাজ শুরু হলো।আজ নিজের স্বাভাবিক স্পিডে কাজ করছিলাম না।নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে খুব সময় নিয়ে কাজ শেষ করছিলাম যাতে মানসিক চাপ টা না এসে পড়ে।
১ টা বাজলে দুপুরের খাবার খেতে চলে যায়।আজ খাবারের মেনুতে নিরামিষ খাবার ছিল।মাঝে মাঝে নিরামিষ খাবার খেতে মন্দ লাগে না। দুপুরের শেষ করে পুনরায় নিজের টেবিলের কাজ সারতে লাগলাম।এদিকে আজ আবার প্রিন্টার নষ্ট হলো।সব মিলিয়ে গত কয়েকদিন সব ডিভাইস নষ্ট হচ্ছে একের পর এক। আজ প্লান ছিল কাজ আগেভাগে সেরে বেরিয়ে পড়ব।আজ অনেকদিন পর মধ্য সপ্তাহে খুলনা যাব।তাই বিকাল ৫:৩০ টা নাগাদ কাজ শেষ করে বের হলাম।বাড়িতে পৌঁছে বাইকটা বাড়িতে রেখে বাকি পথ অটো করে ফকিরহাট যাব।তাই ব্যাগ নিয়ে বের হবো এমন সময় ছাদ থেকে কাজিন অঙ্কিতার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
![]() |
---|
অঙ্কিতার বয়স ৪ বছর মনে হয়, তাই ভাবলাম ছাদে সে কি করছে।গিয়ে দেখি ওর বয়সী আরেকটা মেয়ে কে নিয়ে সেখানে খেলা করছে।ছাদে রেলিং আছে তা সত্ত্বেও নিরাপদ অনুভব করলাম না।তাই ওদের সাথে আমিও ২/৪ মিনিট সময় কাটিয়ে নিচে ডেকে নিয়ে এলাম। এরপর আমি খুলনার উদ্দেশ্য অটোতে উঠে বসলাম।সাধারণত ফকিরহাট থেকে রূপসা ঘাট আমি অটো করে যাওয়া আসা করি কিন্তু আজ অসুস্থতার কারণে ভাবলাৃ বাসে যাব।
বাইপাস স্ট্যান্ড থেকে রূপসার বাসে উঠে বসলাম।বাসের ভিতর খুব ঘুম পাচ্ছিল। আমি বাস ট্রেনে ঘুমানো অপছন্দ করি।এদিকে ঘুম নিয়ন্ত্রণও করতে পারছি না।কোনমতে রূপসা ঘাট নেমে তড়িঘড়ি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।বাসায় আসার আগে টুকটাক সবজি কেনার প্রয়োজন ছিল।কিন্তু সবজি বাজারে গিয়ে আর সবজি কেনার আগ্রহ থাকল না।এরপর বাসায় এসে স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া সেরে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
স্ট্রোক জিনিসটা বর্তমানে সত্যিই খুব চিন্তার বিষয় হয়ে গিয়েছে। সুস্থ সবল মানুষও হঠাৎ করেই স্ট্রোক নামের ব্যধির কারনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর তাছাড়া মায়েরা অনেক বেশি চিন্তা করে থাকে এজন্য আপনাকে একা থাকতে দিচ্ছে না।
বর্তমানে অনেক মানুষ স্ট্রোক করছে, আপনার মামাতো ভাই ব্রেন স্টোক করেছে এটা দেখে খুব খারাপ লাগলো আপনিও কিছুটা অসুস্থ শরীরে প্রতি যত্ন নিবেন, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রাতের বেলায় একা একা না ঘুমানোই ভালো। বেশিরভাগ মানুষের সব রকম অসুস্থতা রাতের বেলাতেই বেশি হয়। যত দিন যাচ্ছে মানুষের ব্রেইন স্ট্রোক এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই স্ট্রোক গুলো বেশিরভাগ ভোরবেলার দিকে বেশি হয়। আর মায়েরা তো চিন্তা করবেই। ভালো থাকুন ।সুস্থ থাকুন।