Better life with steem|| The Diary Game ||15th April 2024.

in Incredible India6 months ago
হ্যালো বন্ধুরা
IMG_20240415_190429.jpg

নিজের কর্মক্ষেত্র থেকে বেশ কিছুদিন দূরে থাকা হলো ঈদের ছুটির কল্যাণে। ছুটিটা মোটেই ভাল কাটেনি।নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারনে নিজেকে সময় দিতে পারিনি এক মিনিট ও।আজ ছুটির পর প্রথম অফিস।কাল থেকেই খারাপ লাগছিল যে আর একটা দিন পেলে ভালোই হতো।যাইহোক গতকাল রাতে গরমের তীব্রতার কারণে ভালো ঘুমাতে পারিনি।এদিকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে এই চিন্তায় ভোর থেকে আর ঘুমাতে পারিনি।সকল প্রকার আলসেমি ভেঙে স্নান সেরে নিলাম।এরপর এত দূরের পথ কিভাবে যাব তার ব্যাবস্থা করতে কলিগকে ফোন করলাম।

IMG_20240415_080155.jpg

বরাবরের মতোই সকালে অটো করে রূপসা ঘাট পৌছালাম। সেখানে আজ থেকে আবার মানুষের ভিড়ে জমজমাট অবস্থা। দুপাশের কর্মজীবী মানুষের চলাচলের রাস্তা এই ঘাটই।ঘাট পেরিয়ে দেখি আগের বাস টা ছেড়ে চলে গিয়েছে। তাই অন্য রুটের একটা বাসে করে কাটাখালি এলাম।এরই মধ্যে কলিগের ফোন পেলাম যে ৯ টার দিকে তার সাথে যেতে হবে।তাই কাটাখালি নেমে পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।ফকিরহাট নেমে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর কলিগ এলো।তারপর তার সাথে রওয়ানা হলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।

IMG_20240415_081030.jpg

আজ ঈদের পর দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রথম অফিস হওয়ায় ভেবেছিলাম অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে।কিন্তু সেরকম কোন কাজের চাপ আজ ছিল না।কলিগদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম আর বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে লাঞ্চের সম হয়ে গেল।এরপর বাকি কাজ শেষ করে স্হানীয় বাজারে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে।সেখান থেকে এসে পুনরায় কলিগের সাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।

IMG_20240415_100046.jpg

বাড়িতে এসে প্রথমেই চলে গেলাম ছাদে।সেখানে থাকা গাছগুলোর পরিচর্যা করা হয় না বেশ কদিন হলো।আমার ঠাকুমাকে বলেছিলাম গাছ গুলোতে জল দিতে।তাই গাছগুলো এখনো জীবিত আছে,না হলে এই উত্তপ্ত রোদে সব শুকিয়ে যেত।গাছের জল দেয়া শেষ করে কিছু সময় শারীরিক চর্চা করে নিলাম।তারপর ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।কিছুসময় পর মা ডাকতে এলো।নিচে গিয়ে ছোট বোনদের সাথে কিছু সময় গল্প করলাম।ওরা এ কদিন আমার বাসায় ছিল, সেসব নিয়েই খুনসুটি করে কাটল বেশ কিছু সময়।

IMG_20240415_210020.jpg

এরই মধ্যে পরিবারের সবথেকে কনিষ্ঠ সদস্যা আমার কাজিন অঙ্কিতা এলো।এসেই বলে তার জন্য কি এনেছি। ভাগ্যিস গতকাল জাতিসংঘ পার্কের মেলার পাশ দিয়ে আসছিলাম আর সেখান থেকে কিছু মাটির তৈরি খেলনা কিনেছিলাম। তা না হলে এখনি ও কান্না আরম্ভ করে দিত।যাইহোক খেলনা গুলো হাতে দিতেই সে খুশিতে আটখানা। বাচ্চাদের এই গুনটা আমার বেশ ভালো লাগে। এদের মন পাওয়া বেশ সহজ ব্যাপার।

IMG_20240415_215022.jpg

এরপর রাতের খাবার খাওয়ার পালা।রাতের খাবার খেতে খেতে আইপিএল এর আজকের ম্যাচ দেখছিলাম।তারপর খাওয়া শেষে নিজের রুমে চলে গেলাম।হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেলে শুরু হলো কষ্টের পুনরাবৃত্তি। কি আর করা ছাদে গিয়ে কিছু সময় পায়চারি করতে করতে দেখলাম বিদ্যুৎ চলে এসেছে।তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম পরের দিনের আশায়।

তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ
Device Name:One Plus
Camera:48 Megapixel
Shot by:saha10
location:Bangladesh🇧🇩
Sort:  
Loading...
 6 months ago 

ঈদের ছুটি কাটানোর পর আবারও নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন। ঠিক আপনার মত আমারও সেম অবস্থা হয়েছিল। ছুটির মাঝে আপনি নিজেকে একটু সময় দিতে পারেননি ব্যস্ততার কারণে।

সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68547.43
ETH 2527.38
USDT 1.00
SBD 2.53