Better life with steem|| The Diary Game || 14th July 2024
রবিবার সাপ্তাহিক শুরুর দিন হওয়ায় এদিন অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে।সকালে ঘুৃম থেকে উঠেই দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম।কাছে কলিগের জন্য কেনা কিছু পণ্য রয়েছে। সকাল ৭:৪০ নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম আমি।এত সকালে ঘুম ভেঙে প্রস্তুতি সেরে ৬০ কিমি পথ অতিক্রম করাটা একটা যুদ্ধ মনে হয় আমার কাছে। যাইহোক ফুলমার্কেটের সামনে দিয়ে সিএনজি করে রূপসা ঘাটে পৌছালাম এদিন।রূপসা ঘাটে নেমে দ্রুত ঘাট পার হলাম।কিন্তু নদীর মাঝপথে ট্রলার বন্ধ হয়ে গেল।কিছু সময় আমরা ভাসতে লাগলাম।পরে অন্য আরেকটা ট্রলার এসে আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে ঘাটে পৌঁছে দেয়।
ট্রলার থেকে নেমে বাস ধরার একটা তাড়া ছিল।স্ট্যান্ড থেকে সামান্য সামনে এগিয়ে গেলাম।সেখানে গিয়ে একটা বাসে উঠে পড়ি, বাসে বসে কিছু সময় ফোন ব্রাউজ করলাম।দেশের চলমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ।তাই বেশিরভাগ সময় নিউজ দেখেই দিন কাটছে।বাস ফকিরহাটের কাছাকাছি চলে আসলে কলিগকে জানালাম আমি পৌঁছে গেছি। কিন্তু সাথে থাকা জিনিসগুলোর জন্য আমাকে তার বাড়ির সামনে যেতে হলো আজ।এরপর আমরা রওয়ানা করলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
আমার গ্রামের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হয় অফিসে। বাড়িতে নেমে দুপুরের খাবার নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করলাম।যেহেতু আমার কলিগ আবারও এপথ দিয়েই ফিরবে তাই আমার বাইক নিলাম না।অফিসে আজ ভয়ানক কাজের চাপ। এরই ভিতর এক কাপ চায়ে চুমুক না দিলে দিনটা ভালোমতো শুরু হয়না! চা খেতে খেতে সারাদিনের কাজের ছক কষে নিলাম।এরপর সারদিন কিভাবে গেছে আমি নিজেও জানি না। এরই মধ্যে অফিসের পিসি গুলো প্রতিদিন একটা করে বিকল হয়ে পড়ছে।তখন কাজ করতে আরও নানা রকম সমস্যা হচ্ছে।
অফিসের কম্পিউটার নষ্ট হওয়ায় আমি যে কলিগের সাথে বাড়ি ফিরব বলে প্লান করে রেখেছিলাম তাকে আগেই বাগেরহাট পাঠিয়ে দেয়া হলো।তখন আমার তো মাথায় বাজ পড়ার দশা।কারণ এখান থেকে সন্ধ্যার পর কোনো দিকে যাওয়া অনেল কঠিন কাজ।কোথাও কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না।আর আজ বের হতে রাত ৮ টা বেজে গেল।মাথা গরম না করে অফিস থেকে বেরিয়ে অটো স্ট্যান্ডে চলে গেলাম।সেখান থেকে বলল তারা লোক পেলে অটো ছাড়বে।একমাত্র আমি ছাড়া কোন যাত্রী নাই সেখানে।
প্রায় ৪৫ মিনিট পর ২য় যাত্রী এলো।আমি অটোওয়ালাকে দ্বিগুণ ভাড়া অফার করলে সে অটো ছেড়ে দেয়।অটো থেকে যখন নামলাম তখন রাত ৯:২০ বাজে।এরপর আবার আরেক যুদ্ধ বাকি!এখান থেকে বাড়ি আরও ৩ কিমি।গ্রামের সরু রাস্তা,এখানে অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যার কিছু সময় পরই।এদিন ভাগ্য ভালো ছিল বলে একটা অটো পেয়ে গেলাম সাথে সাথে। বাড়িতে যখন নামলাম তখন প্রায় ১০ টা বাজে।ক্লান্তিতে আর কিছু ভালো লাগছে না। মাথা ব্যথা এতটাই প্রকট ধারণ করেছে যে পছন্দের সেমাই পিঠা আর মাংস খাওয়ার রুচিও নাই আজ।রাতের খাবার হিসেবে সেমাই পিঠা তৈরি করেছে আজ।ডিনার শেষ করেই ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস হওয়ার কারণে রবিবারে অফিসে যাওয়ার তাড়া থেকে বেশি এবং রবিবারে অফিসের কাজ একটু বেশি থাকে, গ্রাম অঞ্চলে সন্ধ্যার পর যানবাহন পাওয়া অনেক কষ্টকর এজন্য সন্ধ্যার পর চলাচল করা কষ্টকর হয়ে যায়, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম থেকে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
TEAM 6 : Congratulations!
This post has been curated using steemcurator08. We appreciate your efforts on making quality blogs and post relevant comments. Thank You! 😊
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
রবিবার সাপ্তাহিক কর্ম দিবসের প্রথম দিন হওয়াতে রবিবারে অফিসে কাজ একটু বেশি থাকে। কারণ রবিবার হচ্ছে সপ্তাহের শুরুর দিন। বিশেষ করে আমাদের এলাকায় এরকম কারন আমরা গ্রামের মানুষ তাই সন্ধার পরে যানবাহন নেই বললেই চলে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
অফিসে যাওয়া পথ অতিক্রম করাটা আপনার কাছে যুদ্ধ জয় করার মতো ব্যপার। আসলেই এতটা পথ অতিক্রম করে অফিডে যাওয়া আসা করাটা একটু কষ্টসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়ায়। তবে এতে কিছু করার নেই। অনেকেই চা বা কফই খাওয়ার মাধ্যমে নিজের দিনের কার্যক্রম শুরু করে। তবে আমি শেই দলে নই।