Better life with steem|| The Diary Game || 13th July 2024.
আজকের সকালটা ছুটির দিন হিসেবে আলসেমি ভঙ্গিতে কাটার কথা ছিল।কিন্তু সারাদিন পর আজ আরও বেশি কাজ ছিল মনে হলো।আজ আমার সহধর্মিণীর একটা পরীক্ষা ছিল।বাসায় গেষ্ট রয়েছে,স্বভাবতই একটু ব্যস্ত সবাইকেই থাকতে হচ্ছে।আমাকে দুজন ক্যান্ডিডেটকে পরীক্ষা হলে পৌঁছে দিতে হবে।সকাল সকাল ঘুম ভাঙার কারনে মাথা ব্যাথা হচ্ছিল। ৮:১০ নাগাদ আমরা বেরিয়ে পড়লাম। ফুল মার্কেটের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় তাজা ফুলের সৌরভে মনটা ভরে গেল। যাইহোক প্রথমে চলে যায় রূপসা,সেখানে প্রথম ক্যান্ডিডেটকে পৌঁছে দিয়ে আমার ওয়াইফকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।এখন আমার গন্তব্য সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়, যেটা তার নিজের স্কুল।এখানে পৌঁছে দেয়ার প্রয়োজন ছিল না,কারণ জীবনের একটা বড় সময় এখানেই কেটেছে ওর।
যাইহোক তাকে কেন্দ্রে দিয়ে আমি বাসার পথে রওয়ানা দিলাম।হঠাৎ মনে পড়ল আমাকে কিছু সবজি নেয়ার কথা বলে দিয়েছিল।বাইতিপাড়া বাজারে গিয়ে তো মাথা মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।একমাত্র পটল বাদে সব সবজির দামই ১০০ পার করে ফেলেছে। বর্তমানে আমার মতো সাধারণের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে দাড়িয়েছে। অল্প কিছু সবজি নিয়ে বাসায় ফিরলাম।ওদের পরীক্ষা শেষ হবে ১২ টায়।তাই পুনরায় ১১ টায় আবার বেরিয়ে পড়লাম।কলেজিয়েট স্কুলের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে রইলাম। প্রথম ক্যান্ডিডেট আসলে ওকে নিয়ে আমার ওয়াইফের কেন্দ্রে যায়।সেখান থেকে ওদের নিয়ে বাসায় ফিরতে প্রায় ১ টা বেজে গেল।
বাসায় এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।বাইরে এত রোদের প্রখরতা যে সহ্য করা যায় না।এরপর কিছু একটা খেতে মন চাইছে। বাসায় আনারস ছিল,সেটা কাটলাম।আমিসহ সবাই ঠান্ডা/ কাশিতে আক্রান্ত এখন।তাই ভাবলাম আনারস বেশ কাজ দিবে এই সময়ে।আনারস কাটাও একটা বড় ঝামেলা।যাইহোক আনারস পর্ব শেষ করার পর বাসায় গেষ্ট এলো।তারপর তাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম সবাই।নতুন আত্মীয় বাসায় এসেছে তাই তাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে বেরিয়ে পড়লাম। বাসায় এসে পুনরায় তাদের সাথে কিছু সময় কথা বলে আমি একটু ঘুমিয়ে নিলাম।
সন্ধ্যার কিছু আগে আমি আর আমার সহধর্মিণী বের হলাম বাইরে।আমার কলিগের কিছু কেনাকাটা ছিল।সেগুলো করতে গিয়েছিলাম মূলত।বাসার নিচে নেমে অপেক্ষা করছিলাম আর ছোট বাচ্চাদের ফুটবল খেলা দেখছিলাম। এরপর আমরা সাউথ সেন্ট্রাল রোডে চলে গেলাম।সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিলাম। এই রোডে গেলে আমরা রোড সাইডের একটা খাবার প্রায়শই কিনে থাকি।সেগুলো কিনে বাসায় এলাম।
পুনরায় কিছু সময় পর বাজারে গেলাম সবজির বাজার করতে। সেখান থেকে বাজার করে বাসায় ফিরলাম রাত ৯:৩০ টায়।এরপর আসলে আর কিছুই ভালো লাগার কথা না।ক্লান্ত শরীর নিয়ে আর ভাল লাগছিল না তাই স্নান সেরে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।এরপর রাতের খাবার খেলাম ১১ টার পর।যেহেতু পরের দিন অফিস আছে তাই পরের দিনের আশায় ঘুমাতে চলে গেলাম।এভাবেই কেটে গেল আমার কাঙ্ক্ষিত ছুটির দিন!
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
অনেকদিন পর আবারো আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন দেখে ভালো লাগছে।। ভাবির পরীক্ষা ছিল তাই বাইরে গিয়েছিলাম আবার বাসায় আসার পথে বেশ বাজারে করেছে বিকালেও বাইরে বের হয়েছে সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছেন।।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার স্ত্রী সহ আরো একজন ক্যান্ডিডেটকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন সবজি কেনার জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছেন বর্তমানে বাজার খারাপ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায়।প্রতিটা জিনিসের এত দাম যে কোন কিছুই ছোঁয়া যায় না বললেই চলে।
বাসায় এসে আনারস কাটেন। আনারস কাটার মত ঝামেলার মনে হয় না।
রাতে আবার বাজারে যান। সাধারণ অফিসগামী একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ফুটে উঠেছে আপনার এই লেখার মাধ্যমে।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে সারাদিন কি আপনি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটিয়েছেন। আপনার পোস্টে ফুলগুলি খুব সুন্দর লাগছে ।আসলে ফুল দেখলে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়।
আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ছুটির দিনে আমরা অবসর সময় কাটানোর চেষ্টা করি, কিন্তু অনেক সময় আমরা বিভিন্ন কারণে ব্যস্ত সময় পার করি, বিশেষ করে যখন আমাদের বাড়িতে মেহমান আসে তখন আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।