Better life with steem|| The Dairy Game || 07,August, বর্ষণমুখর সারাদিন ও তার মাঝে কাজের ব্যস্ততার কথা:
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি ভাল আছেন ও সুন্দর সময় পার করেছেন। আমি আজ আমার সারাদিন কিভাবে কাটালাম তা শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
রাত থেকেই বৃষ্টি নেমেছে।অনবরত বর্ষার শব্দে ঘুমটা বেশ মজার হবে চিন্তা করে ঘুমাতে গেলাম।আজ আমার শিব ঠাকুরের পূজা দেয়ার ছিল।গত পরশু সুব্রত মামার সাথে দেখা হলে জীবন নিয়ে তার উপলব্ধি ও করনীয় শেয়ার করেন।আমিও সেটা মনে মনে গেথে নিলাম।আর ঈশ্বরের প্রতি নিজেকে সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।সেই হেতু আমি আজ পূজা দিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
অনেক সকাল থাকতেই কাকি ফোন দিয়ে বলল ওঠ,সব রেডি।ঘুম ঘুম ঘোরের মধ্যেই বললাম ঠিক আছে। পাঁচ মিনিট পর দেখি মা রুমের বাইরে ডাকাডাকি করছে।আলসেমিকে বিদায় বলে তখনই উঠে স্নান সেরে নিলাম।ঠাকুর ঘরে গিয়ে দেখি সব আয়োজন প্রায় শেষ।মা বলল ধূতি টা পরে নিতে,পারিনা আমি ধূতি পরতে,তারপরও কোনো রকম পরে নিলাম।
![]() |
---|
নানা নিয়ম বিধান মেনে পূজা সারলাম। বাড়িতে থাকলে এত সকালে কখনো ওঠা হয় না।আজ উঠে খারাপ লাগছে না।সকালের বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধতা আসলেই মোহনিয়।পূজা শেষে দেখি আমার ১০৫ বছর বয়সী ঠাকুরদা বসে আছে বাড়ির বাইরের সিঁড়িতে।বৃষ্টি পড়ছে বিধায় আজ আর বাইরে গিয়ে বসতে পারছে না (সে সব সময় বাড়ির উঠানে বসতে কমফোর্টেবল)।
![]() |
---|
আমার ঠাকুমা,যাকে আমরা দিদি বলে ডাকি,সেও বাইরে বসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এনারা এই বয়সেও কিভাবে পারে সত্যিই আমার বোধগম্য না।যত বাধা দেওয়াই হোক তারা কাজ করবেই।তাদের সাথে কিছুক্ষন কথা বললাম।এরপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮:৩৪ বাজে,অফিস যেতে হবে।তারপর তড়িঘড়ি করে খাবার খেতে গেলাম।শিব ঠাকুরের পূজা হেতু আমার আজ নিরামিষ খাবার খেতে হবে,যদিও এই খাবার নিয়ে কোনো অভিযোগ নাই,বরং ভালোই লাগে।তারপর রেডি হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই রওয়ানা হলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
![]() |
---|
রাস্তাঘাট ভেজা থাকায় ধীরে ধীরে বাইক রাইড করলাম।একটু অসতর্কতা বিপদের কারণ হতে পারে।অফিসে গিয়ে রেইনকোট খুলে দেখি সামনের সাইডটা বেশ ভিজে গেছে। কি আর করব তখন,ওভাবেই শুরু করলাম আজকের কাজ।
![]() |
---|
![]() |
---|
মাসের প্রথম দিকে যাবতীয় বেতন ভাতা ঢুকে যায়, আর এ মাসে সব ধরনের বেতন ভাতা একটু আগেভাগে ঢুকে যাওয়ায় শাখায় এত লোক যা আমি বোঝাতে পারলাম না। এর ভিতর একজন ছুটিতে কারন তার বাচ্চা অসুস্হ।মাসের প্রথম দিকটায় আমরা পারতপক্ষে ছুটি কাটায় না,কিন্তু কারো জরুরি কিছু হলে কি আর করার।
![]() |
---|
বেলা যতই বাড়ছে ততই ভিড় বাড়ছে।বেলা ২ টার পর একটু ভিড় কমলে দুপুরের খাবার টা খেয়ে নিই। এরপর আবার কাজ করতে থাকি। সন্ধ্যা ৬:২০ এ ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হই বৃষ্টির মধ্যেই।
আমার পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
This post has been upvoted through Steemcurator09.
Team Newcomer- Curation Guidelines For August 2023
Curated by - @goodybest
Make sure you power up to join club5050 immediately your first reward pays out.
Thank you for supporting me.Your support definitely force me to write new content and share with this platform.
Again thanks.....
ভাই বৃষ্টির দিনে ঘুমটা ভালো হয়, কিন্তু বাহিরে কোথাও বের হওয়া যায় না, তাই অনেক খারাপ লাগে বাসায় অনেকক্ষণ বসে থাকতে। আপনাদের ব্যাংকে কাজটাই এরকম হয়, সব সময় ভিড় থাকি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সাকিব আমার পোস্টে এমন যৌক্তিক কমেন্ট করার জন্য। আসলে সব সময় তো বাহিরে থাকেনই,বৃষ্টির সুবাদে না হয় আপনার মূল্যবান সময় আপনার পরিবার পেল!!
জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন একটু অসাবধানতায় অনেক বড় একটি বিপদ হতে পারে যেটি আপনার জীবনকে সম্পূর্ণ রূপে বদল করে দিতে পারে।
আপনার দিনটা শুরু করেছেন আপনার ঈশ্বরের নামে এবং দিনটা শেষ করলেন পরে উপকারের কাজ!
ব্যাংকের কাজটাও কিন্তু একটা সমাজসেবার কাজের মধ্যে পড়ে কারন আপনি মানুষকে নিষ্ঠা ভাবে তার টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করাটাও একটি পূর্ণের কাজ যে কাজটি আপনাকে প্রতিনিয়তই করতে হয়।
আপনার সারাদিনটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।