ভ্রাতৃদ্বিতীয়া-ভাই বোনের মেলবন্ধন :
ভাইফোঁটা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি উৎসব। এই উৎসবকে বলা হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব। ভাই বোনের সম্পর্ক পৃথিবীর মধুরতম সম্পর্কগুলোর একটি। শৈশবের মারামারি, ঝগড়া ও খুনসুটি চিরকাল মনে পড়ে। বড় হওয়ার পরও ভাই-বোনের সম্পর্কে একটুও ঘাটতি তৈরি হয় না। ভাইফোঁটা উৎসব শুধু বাঙালিরাই পালন করে না, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও এই উৎসব বিভিন্ন নামে পালিত হয়।
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে কালি পূজার দুই দিন পরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পজ্ঞিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লাপক্ষের ১ম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই অনুষ্ঠান পালন করে।
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে কালী পূজার দুই দিন পর ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পন্জিকা অনুসারে, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিন পালিত হয়।
ভাইফোঁটা ঘরোয়া উৎসব। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ছড়া পাঠ করে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে। ভাইয়েরা তাদের বোনকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ সময় শঙ্খ বা উলু বাজানো হয়। ভাইয়েরা তাদের বোনকে তাদের পছন্দের উপহার দেয়। এদিন ভাই-বোনদের পছন্দের সব খাবার প্রস্তুত করা হয়। ভাই-বোনেরা একত্রে মিলে এই উৎসব পালন করে।
এই উৎসবের অপর নাম জমদ্বিতীয়া। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ধর্ম এবং মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার বাড়িতে নিমমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় তিথিতে, যমুনা শুভ ক্ষনে তার কপালে তিলক লাগিয়ে তার ভাই যমকে ফোঁটা দিয়ে দেন। তাকে যতটা সম্ভব খাওয়ান। তার বোনের রান্নার দক্ষতা এবং আতিথেয়তায় আনন্দিত হয়ে যম তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন যে এই শুভ দিনে যারা তার বোনের হাত থেকে ফোঁটা নিবে তারা নরকের যাত্রা থেকে মুক্ত হবে।
ভাইফোঁটার এবারের আয়োজন আমার বাসায় ও করা হয়।সেখানে আমার স্ত্রী নিজের ভাইকে ফোঁটা দিবে।আবার আমার গ্রামের বাড়িতেও আয়োজন করা হয়।আমার নিজের আপন বোন না থাকলেও কাকাতো বোন রয়েছে।তাদের থেকে ফোঁটা নিব।
ভাইফোঁটা যেহেতু দ্বিতীয়া লাগলে শুরু হয়।তাই রাতেই এই আয়োজন টা করতে হয় কারণ পরের দিন ভোর বেলায় পার্থর ঢাকায় চলে যেতে হবে। আমি সারাদিন অফিস করে বাসায় পৌঁছে যায়।আমি পৌঁছালে অনুষ্ঠানের শুরু করা হয়। প্রথমে আকাশ আর পার্থ ফোঁটা নিয়ে নেয়। তারপর আমাকে দিয়ে দেয় আমার এক আত্মীয়া।
পরদিন খুব সকালে আমি গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।এদিন আমার অফিসও ছিল। তাই আগে থেকে ভাইফোঁটার সব আয়োজন প্রস্তুত ছিল।আমার কাকাতো বোনেরা একে একে আমাকে ফোঁটা দিয়ে দিল।।
"ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা
জমের দুয়ারে পড়ল কাটা
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা
যমুনার হাতে ফোঁটা পেয়ে যম হলো অমর
আমার হাতে ফোঁটা পেয়ে আমার ভাই হোক অমর"
ভাই- বোনের সম্পর্ক সবথেকে নিখাদ সম্পর্ক গুলোর একটি।ভালো থাকুক পৃথিবীর সব ভাই বোনেরা।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
ভাই বোনের এমন বন্ধন অটুট থাকুক সারাজীবন। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের এই অনুষ্ঠান দেখে আসছি সেই স্কুল হোস্টেল থেকে। আমরা এটা ভালো উপভোগ করতাম।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।।
এবারে আমি ভাই ফোটা দিতে পারলাম না বোনের বিয়ে হয়ে গেছে দুই বছর হয়ে গেলো তারপরও বিয়ের পর একবার দিতে পেরেছিল ৷ কিন্তু এই বছরে আসতে পারে নি নিজের সংসার রয়েছে অনেক ব্যস্ত হয়ে পরেছে ৷ আসলেই ভাই ফোটা ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য করা হয়ে থাকে ৷ পৃথিবীর সকল ভাই বোনের ভালোবাসা সারাজীবন অটল থাকুক এই কামনাই করি ভগবানের কাছে ৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
এটা জেনে খারাপ লাগল যে আপনি এবার ভাই ফোঁটা নিতে পারেননি। আশা করি পরের বছর থেকে আর মিস হবে না।আর ভাই ফোঁটা ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃড় করে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইফোঁটা সম্পর্কে জানা ছিলো তবে যমদ্বিতীয়া সম্পর্কে কোন ধারণাই ছিল না। আপনার লেখা পড়ে এসম্পর্কে জানতে পারলাম। ভাই ফোটার এই জিনিসটা খুব ভালো লাগে আমার যে এর মাধ্যমে ভাই বোনের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়।
ভাই ফোটা কিভাবে পালন করলেন এবিষয়টা আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি ধৈর্যসহকারে পড় এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাই বোনের সম্পর্ক সারা জীবনের এরকম অটুট থাকুক সেই প্রার্থনাই করছি ভালো লাগছে আর হ্যাঁ আপনার উপস্থাপনাটা কিন্তুু বেশ চমৎকার ছিল