লুঙ্গি - বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গী :
লুঙ্গি বাংলার মানুষের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এটি খুব আরামদায়ক পোশাক। বাংলাদেশে বসবাসকারী এমন একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে হয় যিনি কখনো লুঙ্গি পরেননি।বিভিন্ন ধরনের লুঙ্গির মধ্যে এক বা দুই রঙের চেক লুঙ্গি বেশি জনপ্রিয়। চেক লুঙ্গি সাধারণত বয়স্ক লোকেরা পছন্দ করে। চেক লুঙ্গি ছাড়াও ডিজাইন করা লুঙ্গি পাওয়া যায়। নকশা করা লুঙ্গি তরুণরা বেশি পরিধান করে। লুঙ্গির সাথে স্কার্টের বেশ মিল পাওয়া যায়। লুঙ্গি শুধু পুরুষরাই নয়, উপজাতিদের মধ্যে মহিলারাও পরেন। লুঙ্গি পরে কাজ করা বেশ সহজ কারণ তা ইচ্ছামত গুটিয়ে নেয়া যায়। এখনও গ্রামাঞ্চলে অনেকেই লুঙ্গি পরে বিয়েসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যান।
শরীরের নিচের অংশে প্রধানত লুঙ্গি পরিধান করা হয়। এটি ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। লুঙ্গির উৎপত্তি দক্ষিণ ভারতে হয়েছে বলে মনে করা হয়।এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা যায়, এর জন্মস্থান দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু। দক্ষিণ ভারতীয় সংস্কৃতিতে লুঙ্গি এখনও একটি বড় জায়গা দখল করে আছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে সাউথ ইন্ডিয়ায় বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে।তাছাড়া সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি আমাদের অনেকেরই প্রিয়।সেখানে সরেজমিনে যা দেখেছি তাতে মনে হয় সেখানকার ঐতিহ্য এই লুঙ্গি। বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে এখনও লুঙ্গি সদৃশ পোশাক পরা হয়।তবে সেটা সাদা রংয়ের।এখন এই লুঙ্গি আমাদের উপমহাদেশের অনেক অঞ্চলে ব্যবহার হয়।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে লুঙ্গি খুবই জনপ্রিয়। ভারতের কেরালায় নারী-পুরুষ উভয়েই লুঙ্গি পরেন। এখানে লুঙ্গিকে কিছুটা দরিদ্রদের পোশাক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার তামিলনাড়ুতে শুধু পুরুষরা লুঙ্গি পরেন।মিয়ানমারে লুঙ্গিকে 'লোঙ্গাই' বলা হয়। এটি মিয়ানমারের জাতীয় পোশাক। পুরুষরা বাড়িতে সহ বাড়ির বাইরে সর্বত্র এটি পড়ে। মহিলাদের লুঙ্গি এখানে 'তামাইন' নামে পরিচিত।
ইয়েমেনে সব পুরুষেরাই স্বাচ্ছন্দ্যে লুঙ্গি সদৃশ পোশাক পরিধান করে। আবার সোমালিয়ায় অফিসিয়াল সময় ব্যতীত বাকি সময় তারা লুঙ্গি পরিধান করে থাকে।তারা লুঙ্গির সাথে একধরনের বেল্ট ও ব্যবহার করে।শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী দেশ জাপানেও লুঙ্গি বেশ জনপ্রিয়।আমরা বই পুস্তকের বাইরে বিভিন্ন মুভিতে জাপানিজদের এসব লুঙ্গি পরতে দেখি। ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়ার পুরুষেরা লুঙ্গি পরে থাকে।এসব লুঙ্গি ক্ষেত্রবিশেষে কিছুটা ভিন্ন রকম হয়।আমরা বাংলাদেশিরা লুঙ্গির সাথে বেল্ট ব্যবহার করি না আবার সোমালিয়া, ইন্দোনেশিয়ার লোকজন লুঙ্গির সাথে বেল্ট ব্যবহার করে থাকে।
আমি নিজেও লুঙ্গি পরি।একসময় ভাবতাম লুঙ্গির মতো একটা পোশাক পরে কেমন করে চলাচল করে সবাই।বাড়িতে ছোটবেলা থেকে বাড়ির সমস্ত পুরুষ লোকদের লুঙ্গি পরতে দেখেছি।
লুঙ্গি বাঙালির শুধু পোশাক নয়, এটি একটি আবেগের নাম। লুঙ্গি বাংলাদেশের কোটি কোটি পুরুষের আস্থার নাম, এটাকে অশ্লীল বলার প্রশ্নই আসে না!
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
আমার কাছে তো মনে হয় বাঙালি জাতির সবচাইতে প্রিয় পোশাকের মধ্যে একটা হচ্ছে লুঙ্গি। কেননা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ লুঙ্গি পড়ে যতটা আনন্দ পায় এবং যতটা আরাম বোধ করে। অন্য কোন পোশাকের মধ্যে ততটা আরাম পায় না।
আজকে আপনি আমাদের সাথে বাঙ্গালী জাতির আরাম প্রিয় পোশাক লুঙ্গি সম্পর্কে, অনেক কিছুই আলোচনা করেছেন। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি মোটেও অবগত ছিলাম না। ধন্যবাদ আপনাকে অজানা তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাঙালি মানেই লুঙ্গির সাথে সখ্যতা থাকবেই। সেটা যে দেশেই হোক না কেন তারা লুঙ্গি ই পরিধান করবে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার মতো আমিও লুঙ্গি - নিয়ে এক টা পোস্ট শেয়ার করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
বাঙালির জীবন তো এই লুঙ্গিতেই সহজ হয়েছে!!
আমাদের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর, কৃষি কাজ করে জীবন যাপন করে।কাজেই এসব কাজ আর যাই হোক কোর্ট, প্যান্ট, টাই পরে করা যায় না।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
লুংগি সম্পর্কে অনেক অজানা নতুন তথ্য জানিয়ে দিলেন আজকের পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ, সামনে আরো এমন পোস্ট দেখার অপেক্ষায়
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমরা বাঙালি লুঙ্গি ছাড়া আমাদের চলে না। লুঙ্গি বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গী এই কথাটা একদম সঠিক বলেছেন। লুঙ্গি অনেক আরামদায়ক পোশাক। এটা পড়তে অনেক মজা লাগে।
আপনি লুঙ্গি সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার আপনার। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
কিন্তু দেখেন যেটা ছাড়া আমাদের চলেই না সেটা পরতে আমরা অনেক সময় ইতস্তত বোধ করি।আশা করি আমরা আমাদের এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখব।ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের রিপ্লে দেওয়ার জন্য।