কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করণীয় :
ব্যস্ত জীবনে সবকিছুর জন্য সময় থাকলেও খাওয়ার সময় থাকে না অনেকেরই। সকালে কিছু খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং অস্বাস্থ্যকর খেয়ে রাতে ফিরে আসেন। অনেক সময় বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খাওয়া হয়। এর ফলে শরীরে পুষ্টির পরিবর্তে দিন দিন মেদ জমতে থাকে। কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা হতে পারে।
সুস্থ থাকার জন্য প্রথম শর্ত হল শরীরে কোলেস্টেরল বাড়তে না দেওয়া। কোলেস্টেরল তিন প্রকার।
ভালো কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল। ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল শরীরকে অসুস্থ করার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। কোলেস্টেরল সরাসরি হার্টকে প্রভাবিত করে। হৃদপিন্ডের রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এ জন্য সুস্থ থাকতে এখনই কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করতে হবে।
গ্রিন টি:
গ্রিন টি এর উপকারিতা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী হল গ্রিন টি। এতে রয়েছে প্রচুর পলিফেনল। এটি শরীরের বিভিন্ন উপায়ে উপকার করে।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।
রসুন:
বাঙালি রান্নায় রসুনের বহুল ব্যবহার রয়েছে। রসুনে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ ছাড়াও আরও উপকারী অনেক উপাদান রয়েছে। এগুলোর মিশ্রণ শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। আপনি যদি প্রতিদিন অর্ধেক বা এক কোয়া রসুন খান তাহলে আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আমলকি:
আমলকি ভিটামিন সি, ফেনোলিক যৌগ, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। আমলকি প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত আমলকি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি আমলকি খেলে রোগ আপনার থেকে দূরে থাকবে।
ধনে:
ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনেবীজেরও জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে একাধিক ফলিক এসিড, ভিামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।
মেথি:
ধনের মতোই উপকারী মসলা হলো মেথি। মেথিবীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
এছাড়া শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শুধু রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় না, উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। দ্রুত হাঁটারও এমন সুবিধা রয়েছে। বেশি করে শাকসবজি ও ফল খেলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে। এর পাশাপাশি সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
গ্রীন টি, রসুন আমলকি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে আজকে এটা জানতে পারলাম। খুব ই সময়োপযোগী ও দরকারি একটি পোস্ট। আয়ায়া করি এর মাধ্যমে সবাই ব্যক্তিজীবনে উপকৃত হবে।
কোলেস্টরেল শুধু যে খাওয়ার জন্য বাড়ে এমনও না। বংশগত সহ অনেক কারনেই এর পারিমান বৃদ্ধি পেতে পারে। এর জন্য খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসক পরামর্শ নেয়াটা খুবই জরুরী।
এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে এত সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আজকে আপনি কোলেস্টেরল নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছে।। আমি কোলেস্টেরল সম্পর্কে তেমন অবগত ছিলাম না সেইসাথে কোলেস্টেরল কত প্রকার সেটাও জানা ছিল না।। আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম খুবই ভালো লাগলো জেনে।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত উপকারী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।কোলেস্টেরল একটি অভিশাপের নাম।বহু মারাত্মক রোগের কারন এটি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন কি কি খেলে এই
কোলেস্টেরল কমানো যায়। খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
কোলেস্টেরলের রোগী আমার ঘরে রয়েছে।এ খুব বাজে জিনিস।যাবতীয় খারাপ অসুখ এই কলেস্টেরল।নিজের আর নিজের পরিবারের খেয়াল করবেন। ভালো থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার বাসায় কাছে
এই রোগী। ধন্যবাদ আপনাকে।