প্রাণঘাতী রোগ ডেঙ্গু জ্বরের মোকাবিলা:
এখন প্রায় প্রতি বাড়িতে জ্বরের রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে কারও ভাইরাসজনিত জ্বর হয়েছে আবার কারো ডেঙ্গু পজিটিভ এসেছে। খুব দ্রুতই এ বছর ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। এ কারণে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ডেঙ্গু এডিস মশা দ্বারা সৃষ্ট একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এডিস মশা বনে-বাদাড়ে থাকে না। এই মশা আমাদের চারপাশেই থাকে এবং এরা রাতে কামড়ায় কম। এই মশার মধ্যে যেগুলো পায়ে দাগ কাটা সেগুলো অনেক লোককে কামড়াতে পারে ম্যালেরিয়ার মশার মতো একজনের রক্ত খায় না।
এ রোগের জ্বর হলো প্রধান উপসর্গ। এছাড়া ত্বকে র্যাশ , কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ ও হয়।এ রোগের উপসর্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:-
জ্বর: ডেঙ্গু জ্বর সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। রোগীর প্রথম দিন থেকেই প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে হয়।এরকম উচ্চ তাপমাত্রা ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এটা এমনও হতে পারে যে দুই দিন জ্বর আছে,তারপর দুই দিন স্বাভাবিক আাবার কাপুনি দিয়ে জ্বর আসল। ডেঙ্গু জ্বর ছয় দিনের বেশি স্থায়ী হয় না যদি না অন্য সংক্রমণ হয়।
ব্যথা: ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে বেশ ব্যথা হয় যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। অনেকের এত বেশি ব্যথা হয় যে তারা একে হাড় ভাঙলে যেমন ব্যথা হয় তার সাথে তুলনা করে। চোখের পিছনেও ব্যথা হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর হলে।
রক্তক্ষরণ : ত্বকে, মুখে, খাদ্যনালী কিংবা চোখে রক্তক্ষরণ হতে পারে এই জ্বরে আক্রান্ত হলে।তবে মেয়েদের বেশি সমস্যা হয় এই রোগে। ঋতুস্রাব একবার হয়ে গেলেও একই মাসে আবার হয়।
র্যাশ: ডেঙ্গুর জ্বর হলে শরীরে র্যাশ বের হতে পারে তবে এটা হয় জ্বরের ষষ্ঠ দিনে। তখন জ্বরের আধিক্য কমে আসে। এরকম দেখলে ধরে নিতে হবে ডেঙ্গু হয়েছে।তখনি নিকটস্থ হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তর করলে ভাল হবে।
অন্যান্য জ্বরের মতো জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দিতে হবে। প্যারাসিটামল প্রয়োগ করে জ্বর ১০০ এর নিচে রাখার চেষ্টা করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করা উচিত নয়। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে দিনে মিনিমাম তিন লিটার পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন দিতে হবে শরীরে। মোটকথা ডেঙ্গুর চিকিৎসায় প্যারাসিটামল এবং পানিই আসল ভরসা।
যেহেতু বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়ানক তাই আমাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।আমাদের বাড়ির আশেপাশে নিজেদেরই পরিস্কার রাখতে হবে।এখন বর্ষাকাল চলছে, রাস্তাঘাটে জল জমলে সেটা নিষ্কাসন করার ব্যবস্থা করতে হবে এছাড়া বাড়ির আঙিনায় অথবা ফুলের টবে পানি জমলে তা নিষ্কাসন করতে হবে।ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে শুতে হবে।আর এগুলোর পরেও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালে চলে যেতে হবে।আমাদের সচেতনতাই পারে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই।আমার পোস্টটি পড়ে কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন।
বর্তমানে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের কথা শুনলে অনেকটা আতঙ্ক হয়ে যায়।। আমার এক বড় ভাইয়ের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে সে এখন খুবই কষ্ট রয়েছে।।
আপনি ডেঙ্গু সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।। এখানে বেশ কিছু পয়েন্ট বলেছেন যেগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।।।
ডেঙ্গু জ্বর আসলেই আতঙ্কজনক।এটা নিয়ে উদ্বেগ হওয়াই উচিৎ। এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা কম না।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
অনেক মানুষই ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।। আমাদের সবার সতর্ক থাকতে হবে এবং আপনিও সতর্ক থাকবেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে, প্রার্থনা করবেন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য।
এখন জ্বর হলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ডেঙ্গুর মশা দিনের বেলায় কামরায়। যদি কেউ দিনে ঘুমায় অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে ঘুমাবেন। এই পোস্টে আর যা যা সতর্কতার কথা বলা হয়েছে এগুলো পালান করে চলবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যর জন্য।
ডেঙ্গু খুব ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আমাদের এখানে। একটু আগে খবর পেলাম আমার একজন আত্মীয়া আইসিইউ তে ভর্তি। ২ মাস আগে বিয়ে হয়েছে তার।এই জ্বর যাকে ভোগাবে সেই বুঝবে এর যন্ত্রণা।কাজেই এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টির আগেই আমাদের যার যার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
বর্তমান সময়ে যার কাছে কল করছি,, সে বলছে বাসার সবাই জ্বরে অসুস্থ। আসলে জ্বরের কারণে মানুষ এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে যে,, কিছুদিন আগে খবরের মধ্যে একটা খবর দেখলাম। যেখানে একটা পরিবারের দুইটা সন্তান তারা দুইজন ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে। আসলে ওই ফ্যামিলির অবস্থা কেমন আমি আপনি আমাদের জায়গা থেকে বুঝতে পারব না। কিন্তু তারা তাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানটাকে হারিয়ে ফেলেছে,, এই ডেঙ্গু জ্বরের কারণে।
আজকে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম,,কিভাবে ডেঙ্গু জ্বরের মোকাবেলা করতে হয়। আসলে এই বিষয়গুলো জানা খুব প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে এই জিনিসটা আমাদের অনেক সাহায্য করবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।আপনি যে বাচ্চা দুটির কথা বলেছেন সেটা আমিও জানি।খুবই হৃদয় বিদারক। বাচ্চা দুটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আগেও নাকি তাদের বাবা কে বলেছিল যে "চল গ্রামে চলে যায়,ঢাকায় অনেক মশা'।
যাইহোক আমাদের এখন অনেক সচেতন হতে হবে এই দুর্যোগ মোকাবিলায়।
বর্তমান ডেঙ্গু থেকে সবাই সাবধানে থাকবেন ৷ এটি একটি ভাইরাসজনিত মশা যার কামড়ে আপনার জ্বর চলে আসতে পারে সেই জ্বর খুব সহজে যেতে চায় না বরংচ শরীরের বারোটা বাজিয়ে চলে যাবে ৷ তাই আমাদের উচিত এই ডেঙ্গু মশা থেকে সবাই সাবধানে থাকা উচিত ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ডেঙ্গু রোগটা সারাদেশেই মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পরেছে।হসপিটালগুলোতেও ঠিকমতো বেড পাওয়া যাচ্ছে না এত প্রেশেন্ট এর জন্য। এত গুরুত্বপূর্ণএকটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যর জন্য। ডেঙ্গু রোগ নিয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।সাবধানে থাকবেন পরিবার নিয়ে।
ভাই ডেঙ্গু রোগ আমাদের দেশে এখন যে পরিমাণে ছড়াচ্ছে তা থেকে বেঁচে থাকা খুবই মুশকিল। আমাদের এখানে হাসপাতালে কোন জায়গা ফাঁকা হয় না এই ডেঙ্গু রোগীদের জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
ঢাকা শহরের হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীতে পূর্ণ।ওখানকার কতৃপক্ষ বাইরের রোগী ঢাকায় নিতে না করেছে। স্হানীয় উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। সাবধানে থাকবেন।সময়টাই খারাপ আমাদের।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সতর্ক করার জন্য। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।