১৫ ই আগষ্ট ও জাতীয় শোক দিবস/15th August and National Day of Mourning:
কেমন আছেন আপনারা? সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমিও ভালোই আছি।আজ আমার আলোচনার বিষয় হলো আজকের দিনটি,অর্থাৎ ১৫ ই আগষ্ট।আজকের দিনটির তাৎপর্য বুঝতে গেলে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে সেই ৪৮ বছর আগে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বর্বরোচিত অধ্যায়ে।এদিন সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু, তিনি বাংলার মানুষের প্রিয় নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু তার মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে তার বক্তব্যের অর্থ তুলে ধরতে সক্ষম হয়ে বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বরের প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি নিপীড়িত মানুষের জন্য চিরকাল লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি ছিলেন অসহায় মানুষের আশা-স্বপ্নের প্রতিধ্বনি। তিনি বাঙালি জাতির চিরন্তন স্বপ্ন, আশা ও সংগ্রামের সমন্বয়ক।
বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে। তার সঙ্গে শহীদ হন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে ১৬ জন শহীদ হয়েছেন।তাই এই দিনটি জাতীয় শেক হিসেবে পালিত হয়। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে নৃশংসতা ঘটিয়ে কিছু সামরিক কর্মকর্তা, ক্ষমতার ক্ষুধার্ত জাতীয়তাবাদীরা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করে। তাকে হত্যা করে শুধু ব্যক্তিগত নয়, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত রাজাকার, আলবদর, পরাজিত পাকিস্তান ও সাম্রাজ্যবাদের নীল নকশায় এই জঘন্য হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়।
এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা গণতন্ত্রের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।সময়টি ছিল জাতির জন্য একটি দুঃখজনক অধ্যায়।
শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা শান্ত থাকেনি এই হত্যা কান্ডের বিচার বন্ধ করার জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে তারা। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কালো আইন বাতিল করে ন্যায় বিচারের পথ খুলে দেয়। ততকালীন সরকার ১৫ আগস্টকে জাতীয় শেক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে এদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা অনুষ্ঠান, স্মরণ সভা ও কাঙালিভাজার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া সর্বস্তরের মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে বিভিন্নভাবে শ্রদ্ধা জানান। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এভাবেই দিবসটি পালন করা হয়। তবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়েই দিবসটির সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হবে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Device Name: | One Plus |
---|---|
Camera: | 48 Megapixel |
Shot by: | saha10 |
location: | Bangladesh🇧🇩 |
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে। তার সঙ্গে শহীদ হন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে ১৬ জন শহীদ হয়েছেন।তাই এই দিনটি জাতীয় শেক হিসেবে পালিত হয়।
আমরা সকলেই জানি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ভালো একটি নেতা ছিলেন।তাই আমরা আমাদের একজন ভালো নেতাকে হারিয়েছি এবং শোক পালন করতেছি ।
ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
By: Urdu Community cruated by @yousafharoonkhan
Stay together
Join the Urdu Community with more confidence.
Steem On
Thanks for selecting my post.Your inspiration really help me to explore my creativity.
This post has been upvoted through Steemcurator09.
Team Newcomer- Curation Guidelines For August 2023
Curated by - @karianaporras
বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবদান রেখেছেন। একসময় আমরা পরাধীন ছিলাম। অন্যায় আর অত্যাচারের শিকলে আমরা আবদ্ধ ছিলাম। তখন বাংলার মানুষ বাঁচতে চেয়েছিল। তখন আশার আলো দেখিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বক্তব্যগুলো এত ইফেক্টিভ ছিল যার ফলে বাংলার সকল শ্রেণির মানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল। তার নাম ইতিহাসের পাতায় আজীবন লিখা থাকবে। তার জন্য দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিক এবং তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। আমিন।
আমার তো মনে হয় তার ৭ই মার্চ এর ভাষন আপামর জনসাধারণকে সাহস যুগিয়েছিল।তাইত আমরা স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছি।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,সেই স্বাধীনতার স্থপতিকেই সপরিবারে মেরে ফেলল কিছু স্বৈরাচারী।
বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলা জাতির জনক।আর আমরা সত্যি তার মৃত্যুতে শোকাহত। আপনাদের ওইখানে ১৫ ই আগস্ট এর শোক দিবস অনেক সুন্দর ভাবে পালন করা হয়েছে। অনেক বাচ্চারা ও এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে। যা দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ তো ভালো একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ সাকিব আপনাকে আপনার মূল্যবান কমেন্টস এর জন্য।আসলে আমার কাছে মনে হয় এই একদিন মনে শোক রেখে বিভিন্ন আয়োজনে তা পালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে বোঝা যাবে না অন্তর থেকে তার আদর্শ অনুভব করতে হবে তবেই সম্ভব তাঁর আদর্শের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব।
১৫ আগস্ট রাত্রে যে ঘটনা ঘটেছিল আসলে আমরা এতে শোকাহত
বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবের রহমান সহ তার পরিবারের ১৫ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এই দিনটা বাংলাদেশের শোক দিবসের পালন করা হয়। আমরা সকলেই জানি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ভালো একটি নেতা ছিলেন।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে খুবই ভালো লেগেছে।
হত্যা সব সময় হৃদয় বিদারক, আর এমন নৃশংস হত্যাকান্ড পৃথিবী এর আগে দেখেনি। শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একজন নেতাই ছিলেন না,ছিলেন বাঙালির একমাত্র ভরসার জায়গা।আর তাঁকেই কিনা এভাবে জীবন দিতে হলো। আসুন আমরা প্রত্যেকেই তাঁর আদর্শের বাহক হই,আর দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি।
সত্যি ব্লগটি পড়ে আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেল। আমার বাবার একমাত্র বন্ধু ছিল পরেশ সাহা। আমার বাবা ও পরেশ সাহা সাভারের একটি অবৈতনিক বোর্ডিং স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়। সম্ভবত স্কুলের নাম ছিল অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়।পরেশ সাহা ছিলেন কলকাতার যুগান্তর কাগজের লেখক ও জার্নালিষ্ট। ১৯৭২ সালে উনি একটা বই লিখেছেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ব্লগটি পড়ে রিপ্লাই দেয়ার জন্য। অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এখনো আছে আর ঐ নামেই পরিচিত।যেহেতু বাংলাদেশের আদি বাসিন্দা ছিলেন আপনার বাবা,আপনাকে আমার নিমন্ত্রণ রইল এখানে আসার।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপনার বাবার বন্ধু বই লিখেছেন জেনে ভালো লাগল।আসলে বঙ্গবন্ধু এমনই একজন মানুষ ছিলেন তাঁর সম্পর্কে সবাই আগ্রহী।
আপনার আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ।