সুস্বাস্থ্যের জন্য কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা:-
pexels |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
আজকে আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয় নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে কথা বলবো কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে।
আম পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব শ্রেণীর মানুষই আম কে অনেক বেশি পছন্দ করে। আম সকলেই পছন্দ করলেও কাঁচা আম কিন্তু সকলেই পছন্দ করে না সবাই পাকা আম খেতে পছন্দ করে। কিন্তু জেনে আশ্চর্য হবেন পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আম সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকর।
pexels |
---|
কাঁচা আম আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের অন্যতম ফল। যে আমে বেশি পরিমাণে এসিড থাকে সে আম তত বেশি টক হয়। আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করে কাঁচা আম খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এটা একদমই ভুল ধারণা। কাঁচা আম খাওয়া সুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর না বরঞ্চ শরীরের জন্য অনেক উপকার। কাঁচা আম গরমের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আমে থাকে পটাশিয়াম যা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কাজ করে।
কাঁচা আম খাওয়ার কিছু উপকারিতা: - |
---|
pexels |
---|
- যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য উপকারী একটি ফল হচ্ছে কাঁচা আম। পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমে ক্যালরি অনেক কম থাকে। যে কারণে ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার হজমে সাহায্য করে কাঁচা আম। এটি অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও বদ হজমের মত সমস্যা দূর করতেও কার্যকরী।
- গরমে কাঁচা আম আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি কাজ করে। কাঁচা আম সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ কার্যকরী। কাঁচা আমে থাকা পটাশিয়াম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করে। ফলে ঘাম ও ক্লান্তিও কম হয়।
কাঁচা আম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক কার্যকর। কাঁচা আমে ভিটামিন সি ও ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ নানাভাবে শরীরের উপকার করে। আমাদের শরীরে এসব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কাঁচা আম যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য অনেক উপকারী।
কাঁচা আম খাওয়ার আরেকটি উপকারিতা হলো ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাজ করে। গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়। আর এই জন্য কাঁচা আমের জুস খেলে তার মাধ্যমে এই ঘাটতি দূর করা সম্ভব।
ঘামাচি দূর করতে কাঁচা আম অনেক বেশি কাজ করে। গরমের সময়ে অনেকেরই ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ কাঁচা আমে থাকা উপকারী উপাদান ঘামাচি দূর করতে অনেক বেশি কাজ করে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
সতর্কবার্তা:- অবশ্যই কাঁচা আম নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এতে করে উপকার হওয়ার বদলে ক্ষতি হওয়া সম্ভবনা রেয়েছে।
অসময়ে আমের ছবি আর আমের গুণাগুণ জেনে ভীষণ আম খেতে ইচ্ছে করছে ।দারুন একটি পোস্ট আপনি আজকে শেয়ার করেছেন। কাঁচা আমের যে এত উপকারিতা তা জানতাম না। ওজন কমাতে, শরীর ঠান্ডা রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ,ঘামাচি দূর করতেও যে আম এত কার্যকরী সেটা আপনার পোস্ট পড়ে আজকে জানলাম।
খুব ভালো লাগলো লেখাটি ।এভাবেই এগিয়ে যান। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
আপনি এমন অসময়ে কাচা আমের কথা লিখে লোভ লাগিয়ে দিলেন।এখন কাসুন্দি দিয়ে আম মাখা খেতে ইচ্ছে করছে।
কাচা আমের গুনাবলী এত চমৎকার ভাবে লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।।
বাহ, কাচা আম নিয়ে এত এত বিস্তারিত আগে কখনোই কোথাও পড়ি নি। আপনি দারুণ ভাবে বিষয়গুলো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
কাঁচা আমের লবন মরিচ দিয়ে বানানো রেসিপিটা অনেক মজার হয়। কাঁচা আমের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে একটাু আধটু জানি তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম যা আগে কানা ছিল না। এমনিতে পাকা আমের উপকারিতা সম্পর্কে সবার জানা আছে। কিন্তু কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকর ধারনা থাকে না।
কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আমাদেরকে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশেষ করে কাঁচা আম ঝালাই খেতে খুবই ভালো লাগে। আম পাকলে যেমন ওটা খাওয়া উপকারিতা তেমনি ভাবে কাঁচা আমেও খাওয়া অনেক বেশি উপকার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।
কাঁচা আম খেতে অনেক টেষ্টি লাগে ৷ বিশেষ করে কাঁচা আমের সালাদ খেতে আরো অনেক বেশী সুস্বাদু ৷ কাঁচা আম শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি সেই উপকারি দিক গুলো তুলে ধরেছেন বেশ সুন্দর ভাবে ৷ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনি কাঁচা আম নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাঁচা আম খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো আর আম এর সৃজন চলে গেছে তাই আমার এই ইচ্ছা টা পুরোনো করতে পারলাম না। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।