Better Life with Steem|| The Diary Game||7 january 2024||
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা
কেমন আছেন আপনারা আশা করি প্রত্যেকে অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আমার একটি দিনের কার্যকলাপ নিয়ে।।
বন্ধুরা বর্তমানে আমার প্রাইভেট বন্ধ কিন্তু পড়াশোনা বন্ধ নেই। আমার ১৩ তারিখে একটা পরীক্ষা রয়েছে আর পরীক্ষা টা নিয়ে বেশ একটু টেনশনে রয়েছি। কারণ এই পরীক্ষাটা আমার ইমপ্রুভ। আর ইমপ্রুভ গুলো একটু বেশি যন্ত্রণা দেয়। আর প্রিপারেশন আগের চাইতে অনেক ভালো। পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে ঘুম থেকে একটু তাড়াতাড়ি উঠি।
তারপরে ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা করে আমি সরাসরি আমার টেবিলে যেয়ে পড়তে বসি। আর মাত্র ৫ দিন পর পরীক্ষা তাই প্রিপারেশন আরো ভালো করে নিচ্ছি। আমি সকালে অনেক সময় ধরেই পড়াশোনা করি। আমার যে সাবজেক্টের পরীক্ষা দিতে হবে তার নাম হলো "ব্যবসায়ী গণিত" বলতে গেলে এই সাবজেক্টে কোন থিউরি নেই সকল কিছুই ম্যাথ।
পরে আমি পড়াশোনা করে একটু বাইরে যাই। বেশ কিছু সময় ধরে পড়লেই আর পড়তে ইচ্ছে করে না। আর তখনই বাইরে যেয়ে একটু ঘুরাঘুরি করি। পরে বাইরে বেশ কিছু সময় থাকার পরে দুপুরের আযান হয়ে যায়। পরে আমি বাসায় চলে আসি এবং গোসল করে নেই।
দুপুরে গোসল করার পর খাওয়া-দাওয়া করে একটু চাতালে যায় কারণ সেখানে কিছু ধান শুকানোর জন্য দেয়া হয়েছে। তাই সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারপরে বাসায় চলে আসি।
বাসায় আসার পর কিছু সময় শুয়ে ছিলাম। আর ভাবতেছিলাম ভোট দিতে যাব কিন্তু ভোট কাউন্টারে কিছু সমস্যা হওয়ার জন্য ভোট দেওয়া বন্ধ ছিল। তাই আর ভোট দিতে যাইনি পরে রুমে কিছু সময় শুয়ে ছিলাম।
পরে বিকেলে বাসা থেকে একটু বের হই। মূলত ভোট সেন্টারে যাওয়ার জন্য। পরে সেখানে যাই এবং অনেক মানুষের আনাগোনা দেখতে পাই আর অনেকের মুখে অনেক রকম কথা। পরে বেশ কিছু সময় সেখানে ছিলাম আর সবার কথা শুনতে ছিলাম কে কি বলে। বাসা থেকে একটু দূরে ভোট সেন্টার।
পরে আমি সেখান থেকে বাসায় চলে আসার পথে বোনের জন্য ওষুধের ফার্মেসিতে যায়। ভোট থাকার জন্য প্রায় ফার্নিসি বন্ধ। আর কিছু কিছু ফার্মেসি খোলা রয়েছে কিন্তু সেখানে বোনের কোন ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর একটা দোকানে অবশেষে ওষুধ পেলাম। আর যদি সেখানে ওষুধ না পেতাম তাহলে আমাকে শহরে ঢুকতে হতো। সাধারণত আমি প্রাইভেট গেলে ওষুধ নিয়ে আসি। আমার প্রাইভেট না থাকায় আমি সেখানে ওষুধের জন্য যাই।
পরে ওষুধ নিয়ে আরেকটা দোকানে যাই আমার ভাগ্নের জন্য কেক নিতে। এখন ভাগ্নের জন্য আর চকলেট নেই না কারণ তার দাঁতে সমস্যা দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার জন্য। তাই এখন ভাগ্নের জন্য বেশিরভাগ সময় কেক বা অন্য কিছু নিয়ে আসা হয়। পড়ে আমি ভাইগ্নের জন্য কেক নিয়ে বাসায় চলে আসি। আর বাসায় আসতে আসতে প্রায় ৭.৩০ বেজে যায়। পরে বাসায় এসে আমি পড়তে বসি। আর এভাবেই আমি আমার গতকালকের দিন পার করি।
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
সামনে ইমপ্রুভ পরীক্ষা তাই আপনি মন দিয়ে পড়ালেখা করছেন। আপনার পরীক্ষায় কোন থিওরি নেই শুধুই ম্যাথ। তাই আপনাকে প্র্যাকটিস বেশি করতে হচ্ছে। এদিকে আবার ভোট দিতে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু গন্ডগোলের জন্য দিতে পারলেন না। ভোট নিয়ে এবার সবারই মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সব মিলিয়ে চমৎকার একটি দিন আপনি পার করলেন।
আপু সাবজেক্ট টা সত্যি অনেক কঠিন আমার কাছে।। আশা করি এবার ভালো রেজাল্ট হবে।।
পড়ালেখা ,পড়ালেখা, পড়ালেখা, পরীক্ষা চলি আইছে,,😁 নির্বাচনের কারণে পরীক্ষা বেশ পিছিয়ে দিয়েছে তবে এখন আর বেশি দিন বাকি নেই। আপনার মত আমাকেও পড়ালেখায় মন দিতে হবে।
ভোট দিতে গিয়েছিলাম এবং নির্বাচন কেন্দ্রের যে পরিস্থিতির কথা শেয়ার করেছেন এটা পড়ে মনে হল বেশ গরম ছিলো, তবে আমাদের এখানে খুবই ঠান্ডা হবে নির্বাচন শেষ করা হয়েছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে একটু বেশি সমস্যা হয়েছিল।। আর সেই কারণে কেউ ভোট দিতে যেতে পারেনি।। এখন পর্যন্ত সরকারি ভোট দিতে পারলাম না দুঃখ দুঃখ 😂😂
সামনে ইমপ্রুভ পরীক্ষা তাই আপনি মন দিয়ে পড়ালেখা করছেন।প্রিপারেশন ভালো হলে আপনার পরীক্ষাও ইনশাআল্লাহ খুব ভালো হবে। তাই ঘুম থেকে উঠেই নিজের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আপনাদের ওখানে ভোটার কেন্দ্র কিছু ঝামেলা হওয়ার কারণে ভোট দিতে যাননি। তবে আমাদের এলাকায় ভোটার কেন্দ্রে কোন রকমে ঝামেলা হয়নি সবাই ঠান্ডা ভাবে ভোট দিতে পেরেছে ।
থ্যাংক ইউ চমৎকার ভাবে দিনটি কাটালেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ।
ইম্প্রুভ পরীক্ষাগুলা সত্যি অনেক বেশি পেরা দেয়।। আর হ্যাঁ এবার পিপারেশন অনেক ভালো আশা করি ভালো রেজাল্ট হবে।
ইলেকশন এর দিন শুনেছিলাম প্রায় কিছু কেন্দ্রই নাকি ঝামেলার কারনে ভোট বন্ধ ছিলো। তবে আমাদের এদিকে আবার তেমন কোনো ঝামেলা হয় নি।।তাই সুষ্ঠ ভাবেই ভোট দিতে পেরেছিলাম।
আপনি আপনার ভাগ্নের জন্য চকলেট না নিয়ে ভালো কাজ করেছেন। কারণ বেশি চকলেট খেলে দাতের অনেক সমস্যা দেখা দেয়, পোকা হয়,আর পরে বাচ্চারা দাত ব্যাথায় কষ্ট পায়।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে অনেক বেশি ঝামেলা ছিল আপু মানুষ ভোট দিতে যেতে অনেক ভয়ে ছিল।। তাই কেউ ভোট দিতে যায়নি।।
পড়াশোনার মাঝপথে মাঝেমধ্যে একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করে আসা ভালো। তাহলে আবারও নতুন করে এনার্জি নিয়ে পড়তে বসা যায়। বেশি চকলেট খেলে বাচ্চারা দাঁতের সমস্যায় ভোগে। আপনার ভাগ্নের জন্য চকলেট না কিনে তার বদলে কেক কিনে ভালো কাজ করেছেন।
একটানা অনেক সময় পড়া পড়লে মাথায় অনেক প্রেসার হয়।। তাই মাঝে মাঝে একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসলে অনেক ভালো লাগে।।
ভাই, ব্যবসায় গণিত সাবজেক্ট টা আমারও আছে এবং ১৩ তারিখ পরিক্ষা।যদিও আমার ইমপ্রুভমেন্ট না। একটাই কথা বলবো, পুরাই মাথা নষ্ট সাবজেক্ট😄।যাই হোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল। সম্ভব হলে আমার জন্যেও একটু শুভকামনা করবে যেন আমারও পরিক্ষাটা ভালো হয়।
জি ভাই সাবজেক্টটা মোটামুটি কঠিন বলা যেতে পারে।। শুনে ভালো লাগলো আপনারও পরীক্ষা রয়েছে আশা করি পরীক্ষা ভালো হবে।।
আপনার প্রাইভেট ছিলো না তবে সামনেই আপনার একটা পরীক্ষা তাই পড়ার চাপ কিছুটা বেশি। এটা আপ্নি ইমপ্রুভ দিচ্ছেন।ব্যাবসায়িক গনিত হবার কারনে সবই ম্যাথ কিন্তু থিওরি তেমন নেই, যার কারনে আপনার জন্য কিছুটা প্রেশার পরেছে।
কিছু সময় পড়ে বাইরে চলে আসেন কিছুটা চেঞ্জের জন্য। দুপুরে খাওয়া কমপ্লিট করে চাতালে চলে যান আর সেখানে বসে বসে ধান শুকানো দেখেন। বোনের জন্য ওষুধ কিনে আনেন আর ভাগ্নের জন্য কেক।দাতের সমস্যা থাকলে মিষ্টি জিনিস কম খাওয়াই ভালো।
আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জি আপু এক্সামটা মোটামুটি কঠিন আশা করি এবার সমস্যা হবে না।। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।।
ভাই আমরা ভালো আছি আপনি কেমন আছেন?
চাতালে ধান শুকানো খুবই সহজ অনেক বড় জায়গায় খুব সহজেই ধানগুলো শুকিয়ে যায়।
ভাই আপনাদের ওইখানে সরকারি ভোট কেমন চলছে দেখে তো মনে হচ্ছে খুব ভালোভাবেই ভোটকেন্দ্রের পরিদর্শন করছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী দিনের কার্যক্রম পড়ার।
ভাই এটা অন্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম আমাদের কেন্দ্রে ভোট হয়নি মানে হতে দেয়নি।।
ভাই আপনাদের মত আমাদের কেন্দ্রী ও ভোট হতে দেই নাই। প্রায় প্রত্যেক কেন্দ্রে একই অবস্থা তবে এটা কিভাবে সম্ভব ৪১% ভোট গণনা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই কমেন্টের ফিডব্যাক জানানোর জন্য।