Better Life with Steem|| The Diary Game||3 january 2024||
বন্ধুরা গতকাল বেশ আনন্দে দিন পার করেছি। সারাদিন বাসায় ছিলাম আর কোন কাজের চাপ ছিল না। বলতে গেলে সারাদিন বাসায় ছিলাম। আর বাসায় সারাদিন কি কি করেছি চলুন জেনে নেই।
আপনারা সকলেই জানেন আমি বর্তমান সময়ে পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করছি। আর প্রাইভেট প্রতিদিন না থাকায় আমার জন্য বেশ ভালো হয়েছে। কারণ প্রাইভেটে যে পড়া গুলো দেই সেগুলো একদিনে কভার দেওয়া একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। গত কালকে প্রাইভেট ছিল না আর যেহেতু শীত বেশি পড়েছে তাই ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি করি। প্রায় ৯.০০ পর ঘুম থেকে উঠি তাও উঠতে মন চায় না।
পরে উঠে গেলাম ঘুম থেকে। আর উঠে প্রতিদিনের মতো ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা করে নেই। আর রোদের দেখা না পেয়ে রুমে বসেছিলাম। আর ভাইয়া ডাক দিচ্ছিল মূলত বাসায় একটা মুরগিকে ১৫ টা ডিম দিয়ে বাতে বসিয়ে দিয়েছিল প্রায় ২০ দিন আগে। তাই ভাইয়া ডাক দিয়ে বলে মুরগিটা দেখতে, বাচ্চার শব্দ পাওয়া যায়। পরে আমি মুরগিটা চেক করি আর দেখতে পাই ১২টা বাচ্চা ফুটিয়েছে। আর একটা ডিম নষ্ট হয়ে গেছে আরো দুইটা আছে আশা করি সে দুটো ফুটাবে।
পরে মুরগি দেখে রুমে এসে কিছু সময় শুয়ে ছিলাম। আর এমন সময় দেখতে পাই বাইরে রোদ উঠে গেছে। পরে বারান্দায় কিছু সময় রোদ্দুরে বসে ছিলাম। বেশ ভালোই লাগতেছিল রৌদ্র বসে থাকতে। তার একটু পরেই দুপুরের আযান হয়ে যায়। পরে দুপুরের গোসল করে নেই।
গোসল করা শেষ হলে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে নেই। আর আবারও একটু বাইরে রোদে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় আমার একটা বন্ধুর সাথে দেখা। সে মাথায় করে কি যেন নিয়ে আসতেছে। পড়ে তাকে জিজ্ঞেস করি মাথায় কি এগুলা। পরে বলল এই গুলো চাউল নিয়ে আসলাম। পরে তার সাথে একটু কথা বলে আমি বাসায় চলে আসি।
বাসায় আসার পর আর কোন কাজ নেই শুয়ে থাকা ছাড়া। তাই শুয়ে থেকে মোবাইল ব্যবহার করতে থাকি। গতকালকে দুপুরে ঘুমাইনি কেন যেন খুব ধরতেছিল না। তাই শুয়ে থেকে মোবাইলে কিছু কাজ করতে ছিলাম। সেই সাথে আমার বন্ধুদের পোস্টে কমেন্টস করতেছিলাম। আর এখন টুর্নামেন্ট শেষ তাই খুব বেশি কমেন্টস করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা করছি নিজের অ্যাক্টিভিটি ধরে রাখার।
পরে বিকেলের দিকে একটু বাসা থেকে বের হই। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি আর পাশে একটা জমিতে যাই হাঁটাহাঁটি করতে করতে। পরে বাইরে বেশ কিছু সময় কাটিয়ে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে রুমে কিছু সময় বসে ছিলাম। এমন সময় আমার একটা বন্ধু বাজার থেকে ফোন করে যে বাজারে যেতে।
পরে আমি বাজারে যাই। বাজারে একটা মিটিং ছিল। আপনারা জানেন যারা বাংলাদেশে আছেন, বর্তমানে ভোট নিয়ে বেশ আলোচনা ও সভা হচ্ছে। গতকালকেও আমাদের বাজারে একটা আলোচনা সভা ছিল। তাই বেশ কিছু বন্ধু এসেছে আর আমাকে ফোন করে যেতে বলছে। পরে আমি বাজারে যাই এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করি একসাথে বসে চা ও খাই।
বাজারে অনেকটা সময় পার করি বন্ধুদের সাথে। অনেকদিন পর কয়েকটা বন্ধু এক জায়গায় হয়েছি। তাই অনেকের অনেক কথাই বলতেছিল। পরে বাজার থেকে আমার আস্তে আস্তে ৮.০০ পার হয়। পরে বাসায় চলে এসে একটু পড়তেও বসি। আর গত কালকে আমাদের সাপ্তাহিক টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল, সেখানে জয়েন করি। আর আমাদের এডমিন ম্যাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে। যেগুলো কাজের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। পরে প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত টিউটোরিয়াল ক্লাসে থাকি। আর এভাবেই আমি আমার গত কালকের দিনটি পার করি।
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ। |
---|
সংসারিক কাজকর্মের উপরে আপনি বেশ মনোযোগী, এটা আপনার পোস্ট পড়লে বোঝা যায় এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
যাক তবুও তো ভালো এই শীতের দিনে মুরগিটা পনেরোটা ডিমের বাচ্চা না দিতে পারলেও বারোটা বাচ্চা দিয়েছে। এটাই অনেক বেশি আর হ্যাঁ মুরগির বাচ্চা গুলো কিন্তু খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন।। একটি মেয়ের পাশাপাশি একটি ছেলেরাও সংসারের অনেক ভূমিকা থাকে।। আর হ্যাঁ বারোটা বাচ্চা দিয়েছে এখন শীতের মধ্যে বারোটা বেঁচে থাকলেই হয়।।
মুরগির ছানাগুলোকে খুব কিউট লাগছে। সে কি আপনি গতকাল দুপুরে ঘুমাননি? তাহলে তো আমার দুপুরে ঘুমানোর একজন সঙ্গী কমে যাবে! এটা একদম সঠিক বলেছেন, টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশি কমেন্ট করতে আর ইচ্ছে করে না তবে এটাও জানি যে এই অভ্যাসটা থাকা ভালো আমাদের সবার পক্ষে।
গতকালকে দুপুরে ঘুমানোর চেষ্টা করো ঘুমাইতে পারিনি ভাই।। আর এটি আপনি খুবই ভালো কথা বলেছেন।। টুর্নামেন্ট চলাকালীন যেভাবে কাজ করেছি এভাবে কাজ সবসময় করা ভালো।
আপনাদের ধানের কাজ প্রায় শেষ। এর মধ্যে আপনাদের মুরগি ডিম ফুটায় অনেকগুলো বাচ্চা দিয়ে দিল। পুরোপুরি একটি কৃষির আমেজ আপনার পুরো ঘরে ছড়িয়ে আছে। একেবারে মাটির কাছাকাছি আপনারা থাকেন। এটি খুবই ভালো একটি ব্যাপার। বর্তমানে আপনার পড়াশোনা ছাড়া তেমন কোন কাজ নেই। এখন চারিদিকে শুধু নির্বাচন আর ভোট নিয়েই কথা। দেখা যাক কি হয়। আপনার ব্যস্তদিন লিপি পড়লাম। ভালো লাগলো পড়ে।
মুরগির বাচ্চা গুলো দেখতে অনেক বেশি কিউট। আমার মা ও কিছুদিন আগে বেশ কিছু মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসেছিল, কিন্তু সেগুলো একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। যাই হোক আশা করি আপনাদের মুরগির বাচ্চা গুলো ভালোভাবে বড় হবে। আপনার দিনটা বেশ আনন্দই কেটে গিয়েছে। আর বর্তমান সময়ে নির্বাচন নিয়ে অনেক জায়গায় মিটিং মিছিল হচ্ছে। জানিনা কোন দল জিতবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শুনে, খারাপ লাগলো আপনার মা কিছু মুরগির বাচ্চা দিয়েছিল কিন্তু সেগুলো বেশিদিন রাখতে পারেননি। আশা করি আমাদের মোরগের বাচ্চাগুলো নষ্ট হবে না।।
মুরগির বাচ্চা গুলো সব সময়ই অনেক সুন্দর হয়। আগে গ্রামে থাকতে এরকম চেকিং এর দায়িত্ব পালন করতাম।
১২ টা বাচ্চা যেহেতু অলরেডি ফুটেছে তাহলে ডিমের বাচ্চা ফুটানোর হার সন্তোষজনক
ভোটের চা তাহলে খেয়ে নিলেন??
আমরা সব দিক দিয়েই মিস করছি, ঢাকায় থাকায় ভোটের আমেজ টাই পাচ্ছি না, কারণ আমি গ্রামের ভোটার।
ধন্যবাদ ভাই।
ভাই চা টা ভোটের না।। আমার বন্ধু খাওয়াইছে। আর ভোটের ওখানে মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু দিয়েছে। আর আমি তার আগেই বাসায় চলে আসি।
মুরগির ছাতা গুলো বেশ কিউট লাগছে। ছানাগুলো যখন ছোট থাকে ধরতে এবং দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে যখন একটু বড় হয় তখন কেমন জানি হয়ে যায় তেমন বেশি একটা ভালো লাগে না।
এখন সব জায়গায় ভোটে মিটিং ও আলোচনার কথা হচ্ছে ভোটের চা খেয়ে নিলেন।
ধন্যবাদ আপনার একটা দিনে কার্যক্রম গুলো উপস্থাপনা করার জন্য ।
যেকোনো প্রাণী ছোট থাকতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।। আর যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তখন তাদের আকৃতি চেঞ্জ হয় তাই দেখতাম একটু ভিন্ন লাগে।।
শীতের কথা কি আর বলবো ভাই,দিনকে দিন বাড়তেই আছে।যেহেতু শীতের সময় শীত তো বাড়বেই,আর তার মধ্যেই আমাদের সকল কাজ করতে হয়।
এই শীতের মধ্যে হাস, মুরগির ছা বাচিয়ে রাখাটাই অনেক কষ্টকর।
জ্বী আপু শীত একটু বেশি পরেছে।। সকালে একদমই উঠতে ইচ্ছে করে না তাও কাজ থাকার জন্য আমাদের উঠতে হয়।।