Better Life with Steem|| The Diary Game||29 august 2024
কি অদ্ভুত? দেশ একটাই অথচ একেক জায়গার পরিস্থিতি একেক রকম। কোথাও বন্যায় মানুষ কষ্টে জীবন যাপন করছে কোথাও আবার গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হচ্ছে কিন্তু সকলেই একই দেশে বসবাস করি, একই আকাশের নিচে রয়েছি তারপরও কতটা ভিন্নতা। সৃষ্টিকর্তা চাইলে কি না করতে পারে, আমরা ভাবলেই বুঝতে পারি সৃষ্টিকর্তা কত মহান, কত ক্ষমতার অধিকারী। পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে, প্রতিটি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আর আমরা কিনা সেই সৃষ্টিকর্তাকেই ভুলে যায়।।
যাই হোক বর্তমান সময়ে আমাদের এখানে অনেক গরমের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। আর অনেকদিন হয় কোন বৃষ্টির দেখা নেই তেমনভাবে, যার ফলে কৃষকেরও অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই মৌসুমে কৃষকের ধান রোপন করার জন্য খুবই সীমিত খরচ হয়ে থাকে কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় খরচটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গতকালকে জমিতে পানি দিবে তাই ভাইয়া আগে থেকেই বলে রেখেছিল। তাই ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ভাইয়ের সাথে পানির লাইন দিতে যাই। জমিতে যাওয়ার পর পানির লাইন দেই। আপনারা উপরে দেখতেই পারছেন মেশিনের সাহায্যে পানি দেওয়া হচ্ছে। এটা হয়তো অনেকেই চিনে থাকবেন আবার অনেকের এই মেশিনের পানি নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। কারণ ছোটবেলায় বন্ধুরা একত্রিত হয়ে এই মেশিনে গোসল করতাম অনেক আনন্দের সাথে।
যাইহোক যেহেতু বাসার কাছে তাই পানির লাইন দিয়ে আমি বাসায় চলে আসি আর বাসায় আসার পর রুমে কিছু সময় শুয়ে থাকি। তার একটু পরে বাবা ডাকতে ছিল আর বলতেছিল কিছু ছাড় মিশ্রিত করে সেই জমিতে নিয়ে যেতে। পরে আমি বাবার কথামতো সারগুলো একত্রিত করে একটা বস্তার ভিতর নিয়ে জমিতে চলে যাই।।
আর জমিতে ভাইয়া ছিল পরে আমি সারগুলো নিয়ে জমিতে যাই আর ভাইয়া বলে সার কিছু সময় পরে দিতে হবে পানি এখনো দেওয়া শেষ হয়নি। তাই আমি সারগুলো সেখানে দিয়ে বাসায় চলে আসি ইতিমধ্যেই দুপুর হয়ে গেছে।
আর বাসায় আসার পর প্রতিদিনের মতোই দুপুরের গোসল করে নেই অনেক গরম ছিল গতকাল। যাই হোক গোসল করার পর কিছু সময় রুমে বসে থাকি তারপরে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। ভেবেছিলাম ঘুমাবো কিন্তু বিদ্যুৎ চলে যায় তাই বাইরে কিছু সময় বসে থেকে ফোন দেখি। তার একটু পরেই বিদ্যুৎ চলে আসে তাই রুমে এসে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে যায়।
আর ঘুম থেকে বিকাল ৫ টার পরে উঠি আর ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বসে থাকি। তার একটু পরেই বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেই যেহেতু বাসার পাশেই ছোট্ট একটি বাজার আছে। আর দুইটা ছোট ভাই ফোন করে ডাকতেছিল পরে বাজারে যেয়ে তাদের সাথে বসে গল্প করি আর একটা কাজ করি। আর কাজটা শেষ হলে আমি বাসায় চলে আসি আর এভাবেই আমি আমার গতকালকের দিনটি অতিবাহিত করি।
দেশের একপ্রান্তে এক ধরনের পরিস্থিতি আর অন্য প্রান্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু অনুভূত হওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। প্রকৃতির বৈচিত্র্য ও অস্থিরতা আমাদের জীবনকে নানা রঙে রাঙিয়ে তোলে।আপনার দিনটিকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতাগুলি বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক, এবং আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাধারণ জীবনও কতটা বৈচিত্র্যময় হতে পারে।সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
খুবই বাস্তবিকভাবে কমেন্ট করেছেন ভাই আসলেই প্রাকৃতিক বিচিত্রময় এক এক জায়গায় এক এক ধরনের হয়ে থাকে।। আর হ্যাঁ ভাই আপনার লেখার ধরনটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।।
সৃষ্টিকর্তা বড় মহান, কিন্তু আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাই, আমাদের সকলকে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তাকে সবসময় স্মরণ করতে হবে, দিন যাচ্ছে আর গরমের তীব্রতা যেন বাড়ছে, অনেক সময় গরমে তক্ত হয়ে যাই, আপনি খুব সুন্দর করে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য।
একদম ভাই সৃষ্টিকর্তাকে সব সময় স্মরণ করা উচিত কারণ তিনি আমাদের বিপদ দিয়ে থাকে আবার তিনি সেখান থেকে রক্ষা করেন।। সব সময় যে ঠান্ডা থাকবে এরকমটা না মাঝে মাঝে গরম থাকারও প্রয়োজন আছে । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।।