"Better Life With Steem || The Diary game || 25 December "

in Incredible India9 months ago

Picsart_23-12-26_14-07-06-605.jpg

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা

কেমন আছেন আপনারা আশা করি প্রত্যেকে অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আমার একটি দিনের কার্যকলাপ নিয়ে।।

IMG_20231225_125324.jpg

আজ সকালে বেশ শীত পড়েছিল। অনেক দিনে হয় সকালে সেই ভাবে শীতের দেখা পারছিলাম না। আজ একটু সকালে উঠে ছিলাম আর বাইরে যেয়ে দেখি বেশ কুয়াশা পড়েছে। আজ সকালে মূলত একটা জমিতে গিয়েছিলাম সেখানে জমির চাষ করার কথা ছিল কিন্তু যেয়ে দেখি ট্র্যাক্টর আসেনি তাই বাসায় চলে আছি।

IMG_20231225_125002.jpg

বাসায় এসে সকালের নাস্তা করে গেটে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। আর মোবাইলে গান শুনতে ছিলাম। মোবাইলে গান শোনা খুবই কম হয়। কালকে কেন জানি হঠাৎ করে গান শুনতে ইচ্ছা করছিল। তাই ইউটিউবে যেয়ে একটা গান শুনি। গানটার নাম ছিল "teri ungli pakad ke chala" আমি জানি এই গানটি অনেকেই শুনে থাকেন। আবার অনেকের অনেক বেশি পছন্দ।।

তারপর সেখান থেকে রুমে চলে আসি এবং আমার সহপাঠীদের পোস্ট পড়ে কমেন্ট করি। আপনারা সকলেই জানেন বর্তমানে টিম ওয়ার্ক চলছে । তাই দায়িত্ব নিয়ে একটু বেশি কমেন্ট করার চেষ্টা করি যখনই সুযোগ পাই সেই সময়টা কমেন্টে কাজে লাগায়।

IMG_20231225_151844.jpg
IMG_20231225_151815.jpg

আর ইতি মধ্যেই দুপুর হয়ে যায়। পরে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। খাবার খাওয়া শেষ করে আমি রুমে আসতেই দেখি আমার ভাগ্নে ও ভাতিজা দুজনে গেটের মধ্যে খেলা করছে। আমিও ছোট থাকতে ঠিক একই ভাবে খেলা খেলছি। আমার মত অনেকে ই এভাবে হয়ত খেলা খেলেছেন শৈশবে। পরে সেখান থেকে রুমে চলে আসি। আর প্রতিদিনের মতোই দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ি।

IMG_20231225_125025.jpg

ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো ফ্রেশ হয়ে একটু বাইরে বের হই। বাইরে বের হয়ে দেখি আমার পাশের বাসার ছোট কয়েকটি মেয়ে হাড়ি পাতিল খেলা খেলছে। তারা সেখানে রান্নাও করেছে। যেখানে ভাত হিসেবে নিয়েছে মাটি আর তরকারি হিসেবে নিয়েছে লতাপাতা। আমিও ছোট থাকতে এরকম খেলা অনেক খেলেছি সবাই মিলে। অনেক বেশি আনন্দ হতো যখন এইভাবে সবাই মিলে খেলতাম।

Screenshot_2023-12-25-21-39-41-156_com.discord.jpg
Screenshot_2023-12-25-21-39-36-046_com.discord.jpg

বাইরে বেশকিছু সময় কাটিয়ে বাসায় চলে আসি আর প্রতিদিনের মতো নাস্তা করে পড়তে বসি। গতকালকে একটু তাড়াতাড়ি পড়তে বসেছিলাম কারণ রাত ৯.০০ সময় আমাদের হ্যাংআউট ছিল। তাই আমি আগে থেকেই আমার পড়া গুলো পড়ে নিয়েছিলাম। পরে ৯ঃ০০ টা বেজে গেল আর হ্যাংআউটে জয়েন হয়ে সবার সাথে অনেক মজা করলাম। কালকে ২০২৩ সালের শেষ হ্যাংআউট ছিল। যেখানে দিদি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছে। যেটা আমাদের জীবনের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল। খুবই ভালো লেগেছে গতকালকের হ্যাংআউট। আর এভাবেই আমি আমার একটি দিন অতিবাহিত করি।

তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

Sort:  
 9 months ago 

আসলেই বর্তমান সময়ে অনেক বেশি শীত পড়েছে। সেই সাথে অনেক বেশিই কুয়াশা। আর টুর্নামেন্ট যেহেতু চলতেছে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজের জায়গা থেকে পালন করা উচিত। তা না হলে হয়তো বা অনেক বেশি সমস্যা হয়ে যাবে। আসলে আপনি আপনার যে খেলার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেটা আমিও ছোটবেলায় অনেক খেলতাম।

আর এই গানটা আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয়। এই গানটা শুনলে মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। আমি ডাউনলোড করে আমার মোবাইলে রেখেছি। অন্তত একবার হলেও শোনার চেষ্টা করি। কিন্তু গত দুই দিনে শুনা হয়নি। কেননা অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম। আমরা সবাই হ্যাংআউটে অনেক বেশি মজা করে থাকি। কিন্তু গত hangout আমার নিজের সমস্যার কারণে, আমি কিছুই বলতে পারিনি শুধু উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।

 9 months ago 

শুনে ভালো লাগলো এই গানটি আপনার অনেক প্রিয়।। আর আপনি ডাউনলোড করে ফোনে রেখে দিয়েছেন আর মাঝে মাঝেই শুনেন।। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।

আপনার কাটানো সুন্দর একটি দিন আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনার লেখাগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে আপনি উল্লেখ করেন। স্পষ্টভাষীয়,শীতের সকাল মানে চারিদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন। দূর মাঠের দিকে তাহলে চারিদিকে কুয়াশা কুয়াশা সাদা আবারো। আপনার ভাগিনার মতো আমরাও এভাবে খেলা করতাম খুব মজা করতাম সেই সময়। এখন পরবর্তী প্রজন্মের আমার ছেলেও খেলা করে । ছোট হাড়ি করে নিয়ে সহপাঠীদের সাথে খেলা করতাম পুতুল নিয়ে খেলা করতাম রান্নাবান্না করতাম বর বউ খেলতাম অনেক মজা ছিল।😅কালকে হ্যাংআউট ক্লাসে দিদির কথাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল। এবং অনেক শিক্ষা নিয়ে কথা। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার দেয়ার জন্য।

 9 months ago 

আমরা যেটা খেলেছি এখন আমাদের ছোটগুলো এগুলা খেলা করে আবার তারা বড় হবে তাদের ছোট গুলা খেলা করবে আর এভাবেই চলতেই থাকবে।।

 9 months ago 

আপনি ছোটবেলায় মেয়েদের মত রান্না বাটি খেলেছেন শুনে বেশ মজাই পেলাম। আমরাও ছোটবেলা যখন রান্না বাটি খেলতাম তখন ছেলেদেরকে সাথে নিতাম। এই খেলাগুলো আসলে জীবনের একটি অংশ। আপনি সারাদিনে খুব স্বাভাবিকভাবেই কর্মব্যস্ত দিন পার করেছেন। সন্ধ্যার পরে জলদি জলদি পড়ালেখা শেষ করেছেন কারণ হ্যাংআউট ছিল। হ্যাংআউটে বেশ মজা করলাম সবাই মিলে। খুব ভালো লাগলো আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়ে।

 9 months ago 

ছোটবেলায় এরকম অনেক খেলায় খেলেছি।। এখন ছোটদেরকে এসব খেলা দেখলে আগের সব কথাই মনে পড়ে যায়।।

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।

আমাদের এখানে দু তিন দিন ধরে শীত অনেকটাই কম। আপনার উল্লেখ করা গানটি আমারও বেশ পছন্দের। আমিও ছোটবেলায় এরকমভাবে খেলেছি। আমার ছোটবেলায় আমি দেখেছি বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরা বা বলা ভালো সেই সময় আমার সমবয়সী মেয়েরা হাড়ি পাতিল খেলা খেলতো, মিছিমিছি রান্না করত। গতকাল ২০২৩ সালের শেষ হ্যাংআউটে অ্যাডমিন ম্যাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। সেগুলো আমরা অবশ্যই মেনে চলবো।

 9 months ago 

শুনে ভালো লাগলো আপনিও ছোটবেলায় এরকম খেলা খেলেছেন।। আরো অনেক রকমের খেলা খেলেছে ছোটবেল ায় হয়তো আপনিও খেলেছেন খুবই আনন্দ ছিল সেই সময় গুলো।।।

 9 months ago 

আপনি অন্যান্য কাজের সাথেও আপনার বাবাকে জমির কাজে সাহায্য করেন সেটি আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম ।আসলে বাচ্চাদের এই খেলাধুলা দেখলে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায় । আপনাদের বাঁচার ওখানে রান্নাবাড়ি খেলা খেলতে তারা সময় পাচ্ছে ।

ছোটবেলা আমরা বান্ধবীরা মিলে রান্না বাটি খেলতাম ।আমরা মুড়ি দিয়ে ভাত বানাতাম , মায়ের কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে আলু নিয়ে যেতাম। প্লাস্টিকের ও সিলভারের হাড়ি পাতিল ছিল। সেগুলো দিয়ে রান্না করতাম । মা আমাকে একটি ছোট মাটির চুলে বানিয়ে দিয়েছিলেন রান্নাবাড়ি খেলার জন্য ।আমি রান্না বাড়িতে খেলার সাথে সাথে পুতুল খেলতে অনেক পছন্দ করতাম। আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি তখনও আমি পুতুল খেলতাম।

শৈশবের স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়লে হাসি পায়। যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত সেই দিনগুলি। আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।নতুন পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।

 9 months ago 

বাসায় বর্তমানে একটু কাজ ছিল তাই বাবার সাথে সেগুলো করেছি।। আর হাড়ি পাতিল খেলা আমার মনে হয় প্রত্যেকে খেলেছে।। কিন্তু আপনি বাসা থেকে আলু চুরি করে নিয়েও খেলেছেন এটি বেশি বোঝার ছিল।।

 9 months ago 

আসলে ব্যস্ততার ভিতরে নিজেকেও কিছু সময় দিতে হয় আনন্দ করার জন্য। আমাদের এখন টুর্নামেন্ট চলছে একটু সময় পেলে কমেন্ট করতে বসি। সেই ব্যস্ততার ভিতরে আপনি গান শুনেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ভাগ্নে ভাতিজার খেলাধুলা দেখে ছোটবেলার সেই স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। আর আপনি যে রান্নাবান্না করা খেলছেন এটা শুনে বেশি ভালো লাগলো। আসলে ঠিকই আমরা ছোটবেলার রান্নাবান্না খেলাধুলার সময় ছেলেদের নিতাম তাদের বাজার করেতে দিতাম।যাইহোক কিছু ছোটবেলার স্মৃতি বললাম । আপনি সন্ধ্যা বেলা তাড়াতাড়ি করে পড়ালেখা শেষ করেছেন কারণ নয়টার সময় হ্যাংআউটে জয়েন করতে হবে। আর সেই হ্যাংআউটে সবাই মিলে বেশ মজা করলা।
থ্যাংক ইউ আপনার সারা দিনের দিনলিপিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ।

 9 months ago 

জি আপু আমরা ছোটবেলায় এরকম অনেক খেলা খেলেছি আর আপনিও এরকম খেলা খেলেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো।।

 9 months ago 

আবার মনে করিয়ে দিলেন সেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো আসলে এমন কেউ নাই যে ছোটবেলায় এ রান্নাবাটি খেলাটা করি নাই।

আজকে আপনার লেখাটি পড়ে মনে পড়ে গেল যে আমি এই খেলাটি করতে গিয়ে আমার এক বোনের সাথে মারামারি করছিলাম।

রাত ৯ টার সময় আমাদের হ্যাংআউটে জয়েন হয়ে মজা করছেন আসলেই আমরা সারা সপ্তাহে যে পরিশ্রম করি হ্যাংআউটে আসলে সেই পরিশ্রম গুলো ভুলে অন্যরকম একটি মজাই জমে উঠি।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার প্রতিটা দিন ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাই করি।

 9 months ago 

আপনি ছোটবেলায় রান্নাবাটি খেলতে গিয়ে বোনের সাথে মারামারি করেছে।। আসলে ছোটবেলায় এরকম মারামারি আমার অনেক হয়েছে।। সত্যি বলতে এইগুলোই এখনকার স্মৃতি।।

Loading...
 9 months ago 

পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে এবং ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে কত কচুরিপানা, লতাপাতা ,ঘাস এগুলো দিয়ে, মাছ, গোশত কত কিছু রান্না করতাম।
সেদিন গুলো কত সুন্দর ছিল বেশ ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভালো লেগেছে।

 9 months ago 

শৈশবের মত আনন্দের মুহূর্ত আর কখনো পাওয়া যাবে না।। এখন শুধু আমরা ছোটদের দেখে আমাদের শৈশবের কথাগুলো মনে করব।।

আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।আর কয়েকদিন ধরে সকাল বেলা অনেক কুয়াশা পড়ে। আমার কাছে সকালের দৃশ্য ভালোই লাগে।আর আপনি জমিতে চাষ করতে গেছিলেন। আমাদের সাথে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

 9 months ago 

সকালের দৃশ্য আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে কিন্তু খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করলেও হয় না।। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।

আমার থেকে তো আপনি তাড়াতাড়ি ওঠেন আর আমি সকালে দৃশ্য উপভোগ করি ফজরের নামাজ আদায় করতে উঠে। আমার কমেন্ট এর রিপ্লাই করার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 61726.97
ETH 2392.47
USDT 1.00
SBD 2.60