Better Life with Steem|| The Diary Game||21 january 2024||
কেমন আছেন আপনারা আশা করি প্রত্যেকটা অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি।
বন্ধুরা বর্তমান সময়ে ঠান্ডার কারণে পড়াশোনা ভালোভাবে করতে পারছি না। অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকায় রাতেও তাড়াতাড়ি ঘুমানো হয় আর সকালেও দেরি করে ওঠা হয় তাই পড়াশোনা থেকে অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছি। তারপরও প্রাইভেট নিয়মিত যাওয়ার চেষ্টা করছি। গতকালকেও আমার প্রাইভেট ছিল তাই সকালে একটু তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করি। তারপরও সকালে উঠতে ৮.০০ পার হয়ে যায়। পরে পরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে চলে যাই প্রাইভেট।
আমি বাসা থেকে বেরিয়ে একটা অটোতে উঠি আর সরাসরি আমার প্রাইভেট স্থানে যায়। সাধারণত প্রাইভেট যেতে আমাকে দুটা অটো পরিবর্তন করতে হয় কিন্তু গতকালকে আমার কোন অটো পরিবর্তন করতে হয়নি। আমি যে অটোতে উঠেছিলাম সে সরাসরি আমাকে প্রাইভেট স্থানে নেমে দিয়েছে। আর তাকে ভাড়া হিসাবে দিতে হয়েছে ২৫ টাকা। সাধারণত আমার যেতে ২০ টাকা লাগে কিন্তু আমি তাকে পাঁচ টাকা বেশি দেয়।
আমি প্রাইভেট যেয়ে দেখি আমার দুইটা বন্ধু এসেছে আর এখনো প্রাইভেট শুরু হয়নি। তাই আমি কিছু সময় বসে ছিলাম তার একটু পরেই শুরু হয়ে যায় প্রাইভেট। বর্তমানে আমার প্রাইভেট একটা চলছে। তাই প্রাইভেট শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগে না। এক ঘণ্টার মধ্যেই আমার প্রাইভেট শেষ হয়ে যায়।
আর প্রাইভেট শেষ করে আমি বাসায় চলে আসি। আমার বাসায় আস্তে আস্তে ১১.০০ পার হয়ে যায়। আর বাসায় এসে আমি রুমে শুয়ে থাকি কারন অনেক ঠান্ডা করতে ছিল। কিছু সময় শুয়ে থাকার পর আমি বাইরে বের হই আর ইতোমধ্যে আযান হয়ে যায়।।
পরে আমি গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়ে আবারও রুমে চলে যায়। গতকালকে অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছিল সারাদিনে রোদে দেখা পাওয়ার যায়নি। পরে রুমে অনেক সময় শুয়ে থাকার পর ভাইয়ের ডাকে বাইরে বের হই।
পরে ভাই বলতেছিল কলা পারবে। আমাদের বাসায় বেশ কিছু কলাগাছ রয়েছে। আর কয়েকটা গাছে কলা ধরেছে আর গত কালকে একটা কলা গাছের কলা পেরে রাখি কারণ সেটা বড় হয়ে গেছে। শীতের কারণে কলাগুলো খুব বেশি বড় হয়নি।
আর কলাপাড়ার পর কলার গাছের ভিতরের অংশ যেটাকে আমাদের গ্রামের ভাষায় কেনদাল বলা হয়ে থাকে। আর এটা খেতে বেশ ভালোই লাগে যদি শুঁটকি দিয়ে রান্না করা যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব বেশি পছন্দ না কিন্তু আমার মা আর ভাবির অনেক পছন্দ। আমার কাছে মনে হয় মেয়েদের কাছে এটা অনেক বেশি পছন্দের।
পরে ভাইয়ের সাথে কলা কেটে কিছু সময় বাইরে হাঁটাহাঁটি করি। ইতিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায় পরে বাসায় এসে আমি দুইটা নাড়ু খেয়ে একটু পড়তে বসি। কিন্তু ফোন হাতে থাকায় পড়া বাদ দিয়ে কিছু সময় ফোন টিপতে ছিলাম। পরে কিছুটা সময় পড়াশোনা করি।
তো বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া ,এই দুদিন ধরে ঠান্ডা আরো বেড়ে গেছে তাই ঠান্ডা জনিত সমস্যা সবারই কম বেশি ভুগছে । ঠান্ডা জন্য পড়াশোনার অনেক সমস্যা হচ্ছে ।যেহেতু সকালে ঠান্ডায় কুয়াশার ভিতরে অটোওয়ালা গাড়ি চালাচ্ছে তাইতো আপনার ২০ টাকার ভাড়া 25 টাকা নিয়েছে ।
এগারোটায় বাসায় আসলে কিছু সময় বিশ্রাম নিলেন এবং দুপুরের আযানের সাথে গোসল করে নিলেন ।দুপুরের খাবার খেলেন ।আপনার ভাইয়া কলা পেড়ে নিয়ে এসেছে ।আপনাদের ভাষায় কেনদাল বলা হয়ে থাকে । বরিশালের ভাষা এটাকে থোর বলা হয়।আজ নতুন একটি শব্দ শুনলাম কেনদাল ।আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
জি আপু অতিরিক্ত ঠান্ডায় কোন কিছুই শান্তিমত করা যায় না।। তারপরে ও কোন কাজ থেমে নেই সবাই সবার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত।
অতিরিক্ত শীত থাকার কারণে আসলে স্বাভাবিক কোনো কাজকর্মই করা যাচ্ছে না। এটা একটি সমস্যাই বটে। তবে কিছু করার নেই দৈনন্দিন কাজগুলো তো করতেই হয়। আপনি ঠিক সময় প্রাইভেটেও গেলেন। আপনাদের অনেক কলা গাছ আছে তাই নিয়মিত আপনারা নিজেদের গাছের কলা খান। তবে শীতের দিনে কলা পাকেও দেরিতে আর বড় হয় না। যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো দিন পার করলে আপনি।
আপনি সঠিক বলেছেন শীতের দিনে কলা পাকতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে।। ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
প্রিয় ভাই আপনার আজকের দিনটি দারুণ ছিলো। যদিও বলেছেন ঠান্ডার মধ্যে পড়ালেখা করা অনেক কঠিন। হ্যা কঠিন কিন্তু তবুও করতে হয়। আমি বাসায় সকালে লেপ মুড়ি দিয়ে পড়ি। এতে অসুবিধা হলেও বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।
আপনাদের বাসার কলা গুলো শীতকাল হিসেবে ভালোই ছিলো। এখন ঠান্ডার কারণে কলা তেমন বড় হয় না। কলা আমার পছন্দের একটি ফল। ভালো থাকবেন ভাই।
পড়াশোনা এমন একটা জিনিস যেখানে ফাঁকি দিলে নিজের ক্ষতি ছাড়া অন্য কারো ক্ষতি হয় না।। তাই কষ্ট হলেও পড়াশোনা করতেই হয়।।
অতিরিক্ত থাকার কারণে কোন কোন রকমের কাজ করতে ইচ্ছে হয় না। তবে না করে উপায় নেই দৈনিদের কাজগুলো তো করতেই হবে। ঠিকই বলেছে শীতের কারণে কলা গুলো অনেক ছোট হয় কারন আমাদেরও কয়েকটি কলা গাছ আছে এবং তাতে কলাও ধরেছে কলা গুলো খুব ছোট ছোট।কলা গাছের ভিতরে অংশটাকে আমাদের এলাকায় থোর বলে থাকে। তবেই থোর চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে বেশ স্বাদ লাগে আমি অনেকবার খেয়েছি।
ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। থ্যাঙ্ক ইউ
কয়েকদিন হয় শীতের প্রবণতা আরো বেড়ে গেছে তাই কোন কিছু করতে ইচ্ছে করে না।। আর একেকটা জিনিস একেক অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন নাম বলা হয়ে থাকে।।
প্রাইভেট পড়তে যান আপনি ।যা আপনা পূর্বের পোস্ট পড়ে আমি জানতে পেরেছি। গাছের কলা সাথে কলার ভিতরের একটি অংশ কেটে নিলেন যার নাম আপনি বললেন আপনার এলাকায় বলা হয় "কেনদাল" আমি কখনো খাইনি তবে আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে বেশ ভালই লাগে খেতে যদি কখনো সময় সুযোগ হয় তাহলে খেয়ে দেখব। মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো আপনার দিনটি ভালো থাকবেন ভাগ্নের জন্য মন খারাপ করার কিছু নেই ইনশাআল্লাহ সে আবার আসবে।
কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আশা করি মন্দ লাগবে না।।।
*অবশ্যই দেখবো যদি সময় সুযোগ হয় আর চোখের সামনে এরকম কলা গাছ পাই তাহলে.। দেশের বাড়িতে গেলে কলা গাছ পাব। তখন একবার খেয়ে দেবো কেমন লাগে। তবে খারাপ লাগবে না এটা আমি জানি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
সকালে উঠে আপনি প্রাইভেটে পড়তে চলে যান সেখান থেকে বাসায় ফিরে ভাত খেয়ে নেন।
এর পরে ঠান্ডার কারনে শুয়ে থাকেন।গতকাল থেকে আসলেই হঠাৎ করে যেন ঠান্ডার পরিমান অনেকটাই বেড়ে গেছে।
আযান হয়ে যাওয়ার পরে আপনি ভাইয়ের ডাক শুনে উঠেন কারন আপনাকে গাছ থেকে কলা কাটতে হবে।
কলা গাছ এর ভেতর এর এই অংশকে ভাদাইল বলে বোধকরি আমাদের এলাকায়।
আমি অবশ্য কখনো খাই নাই নাই তাই জানি না কিভাবে খায় বা খেতে কেমন হয়।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বর্তমানে ঠান্ডার পরিমাণটা আসলেই অনেক বেড়ে গেছে।। সকালে একদম উঠতে ইচ্ছে করে না।।
আপনা স্যার মনে হয় ইনেক ভালো মানুষ, তাই পড়ানোর সময় পেছন থেকে ছবি ঊঠালেও কিছু বলে না।
আমাদের এলাকায় কলা গাছের এই অংশ কে গাত্থোর বলে। খেতে কিন্তু ভীষন মজার হয়।
গাত্থোর নামটা জীবনের প্রথম শুনলাম ভাই।। আসলে একই জিনিস একই অঞ্চলে একেক নামে ডাকা হয়ে থাকে এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়।।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলেন।আর আমার ও কিছু দিন এর ভিতরে পড়ালেখার চাপ বেড়ে যাবে ভাই কলেজ পরিক্ষা শুরু হবে। প্রাইভেট থেকে বাসায় আসতে আপনার ১১ বেজে গেছে। আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এখন থেকেই পড়াশোনা শুরু করে দেন ভাই যেহেতু সামনে পরীক্ষা শুরু হবে।। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।
ভাই আমি এখন রাতে একটু একটু পড়ে নি অনেক দিন হলো পড়তে বসি না তো তাই কেমন জানি লাগে কিন্তু তাও কি করার । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
এই শীতে কোনো কাজই ঠিক মতো হয় না। যেকোনো কাজ করতে গেলে ঠান্ডার ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই আধা ঘন্টা সময় লস হয়ে যায়।
আমাদের দেশে কলার গাছের এই অংশকে ভাদাল বলে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে।
আপনাদের ওখানে কলার এই অংশকে ভাদাল বলে জেনে ভালো লাগলো এই প্রথমবার শুনলাম আপু।।