Better Life with Steem|| The Diary Game||12 September 2024
সময় খুবই দ্রুত চলে যাচ্ছে দেখতে দেখতেই ২০২৪ সালের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। এইতো মনে হল কয়েকদিন আগেই ২৪ সাল এসেছে আর কয়েকটা দিন গেলেই ২৫ সাল পড়ে যাবে। আগের তুলনায় বর্তমানে সময় গুলো খুব তাড়াতাড়ি পার হয়ে যাচ্ছে। আর যত সময় চলে যাচ্ছে তত জীবনের মানে বুঝতে পারছি, অনেক চিন্তা মাথায় উঁকি দিচ্ছে তারপরও শুকরিয়া জানাই সৃষ্টিকর্তার প্রতি এখন পর্যন্ত সুস্থ ভালো রেখেছে।
একটি দিন পার হয়ে, একটি রাত আসে আর একটি রাত পার হয়ে সকাল আছে আর এভাবেই চলছে সময়। আগে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসতাম আর স্কুল যাওয়ার একটা চিন্তা মাথায় থাকতো। আর এখন সেই চিন্তা মাথায় উঁকি দেয় না, এখন ঘুম থেকে উঠার পর মাথায় নানা রকম চিন্তা উঁকি দেয় কারণ এখন তো বড় হয়ে গেছি। ঘুম থেকে উঠেই সূর্যের আলো দেখি অত্যাধিক তাপ তারপরও সকালে একটু বাইরে বের হওয়া অভ্যাস আছে তাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কিছু সময় বাহিরে অতিবাহিত করি।
আর বাইরে থেকে বাসায় এসে প্রতিদিনের মতোই কিছু কাজ করি। মূলত গুরুকে খাওয়ানো ও পানি দেওয়া এই কাজগুলো এখন আমাকেই করতে হয় তারপরও বাবা মাঝে মাঝে করে। আর কাজ করার পর রুমে চলে আসি অনেক গরম ছিল আর রুমে আসার পর শুয়ে থেকে ফোনে কিছু অনলাইনে কাজ করি। আর একটু পরেই দেখতে পাই চারপাশে অন্ধকার হয়ে আসছে মনে হচ্ছে বৃষ্টি এবার আসবেই। কিন্তু একটু পর বাতাস উঠে আসে আর চারো পাশে অন্ধকার কেটে আবারো আলোকিত হয়ে যায় দেখে সত্যি খারাপ লাগে। ভেবেছিলাম হয়তো বৃষ্টির মুখ আবারও দেখব আবহাওয়া কিছুটা শীতল হবে কিন্তু না আশা দিয়ে চলে গেল বৃষ্টি।
যাইহোক কিছু সময় পরেই দুপুর হয়ে যায় তাই দেরি না করে গোসল টা সেরে নেই। রুমে এসে কিছু সময় বসে থাকে তারপরেই দুপুরের খাবার খাওয়া শেষ করে রুমে আসি আর কিছু সময় ফোন দেখতেই ঘুমিয়ে যায়। আর ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আমার একটা বন্ধু ফোন করে আর বলে মার্কেটে যাবে ফোন কিনতে আর আমিও না করি না বলি ঠিক আছে বিকালে যাব। আসলে ফোন কেনার কথা কেউ আমাকে বললে আমি না করি না কারণ আমারও ভালোই লাগে।
তারপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বসে ছিলাম তারপরেই বেরিয়ে পড়ি মার্কেটে যাওয়ার জন্য। আর যাওয়ার সময় আমার একটা বন্ধুকে ফোন করি সে লালমনিহাট একটা দোকানে থাকে মূলত মোবাইল বিক্রি করে। কিন্তু সে বাটন ফোন বিক্রি করে তাই তাকে বলে রাখি যাচ্ছি একটা ফোন নিতে হবে।
পরে আমরা চলে যাই মার্কেটে আর বন্ধুর সাথে দেখা করে একটা দোকানে যাই ইতিমধ্যেই সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। যেহেতু ফোনের বাজেট ছিল ১৮ হাজার টাকা তাই আমরা এর মধ্যেই ফোন দেখি। পরে আমরা Redmi 13 ফোনটা দেখি আর সেটাই নেই ১৭ হাজার টাকা দিয়ে।
আর ফোন নেওয়ার পর আমরা সেখান থেকে একটা দোকানে বসি নাস্তা করার জন্য। আর বন্ধুর সাথে বসে কিছু সময় গল্প করি তারপরে নাস্তা শেষ করে বাসায় চলে আসি। আর এভাবেই আমি আমার গত কালকের দিনটি অতিবাহিত করি।
ছোট কালে সময় অনেক দেরিতে যাইতো মনে হয়। কিন্তু এখন যত বড় হয়েছি ততই মনে হয় সময় তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। দোয়া করি আপনার সামনের দিনগুলো যেন সুন্দরভাবে কাটে। আমীন
এটা আমাদের সাথে প্রায় সময়ই ঘটে থাকে।
আমাদের বন্ধুদের কাছে কোন কিছু বিক্রি করার মত থাকলে অথবা কোন কিছুর ব্যবসায়ী হলে, সেই জিনিসের প্রয়োজন হলে আমরা জানিয়ে রাখি।
বন্ধুদের ব্যবসা হলে মাঝে মাঝে ফ্রিতে হোম ডেলিভারিও পাওয়া যায়।
যাই হোক, আমার মনে হয় ১৭ হাজার টাকায় মোবাইলটি খুব ভালো মানের এবং আদর্শ মান সম্পন্ন হবে।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মন্তব্য করার জন্য আর হ্যাঁ আমরা আমাদের যতটুকু সামর্থ্য থাকে ততটুকু চেষ্টা করে ভালো জিনিস কেনার চেষ্টা করি।। কোথায় আছে যার সামর্থ্য যত তার ব্যয় করার দূরত্ব তত দূরে থাকে।।
ঠিক বলেছেন ভাই,২০২৪ সালের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি। মনে হয় যেন চোখের পলকেই বছরটা শেষ প্রান্তে এসেদাঁড়িয়েছে।সময়ের সাথে সাথে যেমন প্রকৃতির পরিবর্তন হয় ।ঠিক তেমনিভাবে সময়ের সাথে সাথে মানুষের ভাবনা চিন্তা গুলোরও পরিবর্তন হয় ,এটাই স্বাভাবিক।
যাইহোক ,আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
একদম দিদি তোমার সাথে যাতে যেমন প্রাকৃতিক পরিবর্তন হয় তেমনি সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন হয়।। খুবই চমৎকার কমেন্ট করেছেন পরে খুবই ভালো লাগবে ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।।
আমাদের জীবনের সময়টা অতি দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক এরকম ভাবেই আমাদের জীবনটা একজন শেষ হয়ে যাবে, আমরা পরপারে চলে যাব, বন্ধুরা যখন নতুন জিনিস কিনে তখন সেটার উপরে ট্রিট হয়, সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।