"Better Life With Steem || The Diary game || 12 December "
edit PicsArt |
---|
বন্ধুরা গতকালকের দিনটি আমার বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আর কেন ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে তা আপনার আমার পোস্ট পড়লেই বুঝতে পারবেন।।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমাদের বাসার পাশেই কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গতকালকে কমিউনিটি ক্লিনিকে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। আর এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্বটা আমাকে দিয়েছিল সাথে একটা ছোট ভাই।
সকাল আটটা থেকে বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময়সূচী দিয়েছিল তাই আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। এবং ক্লিনিক যেয়ে সর্বপ্রথম বাইরে একটা পতাকা লাগিয়ে দেই যেখানে লেখা ছিল "আপনার শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ান"
তারপর আমি কমিউনিটি ক্লিনিকে যে বসি তার একটু পর থেকেই বাচ্চারা আসা শুরু হয়ে যায় আর তাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করে দেই।
6-11 মাস শিশুদের জন্য |
---|
৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম। আর এই নীল রঙের ক্যাপসুল এর মধ্যে রয়েছে ( ১ লক্ষ আই ইউ ) যা শিশুদের চোখের জ্যোতি থেকে আরও নানা রকম সমস্যা থেকে ভালো রাখে।
১২-৫৯ মাস শিশুদের জন্য |
---|
১২ থেকে ৬৯ মাস বয়সী বাচ্চাদের ১টি করে লাল রঙ্গের ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম। যার মধ্যে রয়েছে ( ২ লক্ষ আই ইউ ) এই লাল রঙ্গের ক্যাপসুল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষেরা ও খেতে পারে। বেশ কার্যকরী এই ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো। আমি নিজেও একটা খেয়েছি । চোখের জন্য অত্যান্ত উপকারী।
আমি সর্বমোট ১২০ টা শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়েছি তার মধ্যে ১৪ টা ছিল ৬-১১ মাসের শিশু এবং ২টা প্রতিবন্ধী শিশু। বাকি ১০৪ টা খাওয়াইছি ১১-৫৯ বছর বাচ্চাদের। সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত আমি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়েছি।
আমি এবারই প্রথম এ ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছি না। এর আগে খাওয়াইছিলাম এবং তার বিনিময়ে আমাকে অল্প কিছু অর্থ দিয়ে থাকে। মূলত অর্থের জন্য আমি এটি করি না। আমার কাছে এটি অনেক আনন্দের তাই আমি নিজ থেকে এই দায়িত্বটা নিয়ে থাকি।
আমি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর বাসায় চলে আসি এবং গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়ে। সেই সাথে আমি আমার সহপাঠীদের পোস্টে বেশ কিছুক্ষণ কমেন্ট করি তারপর ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে উঠতে বেশ লেট হয়ে যায় । পরে ফ্রেশ হয়ে রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। তারপর বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে প্রতিদিনের মতো পড়তে বসি, যা আমার বর্তমানে রুটিন মাফিক হয়ে গেছে। আর এভাবেই আমার একটি দিন অতিবাহিত করলাম।
আপনি একটি ভাল কাজে অংশগ্রহণ করলেন। অনেক অনেক কাজ আছে অর্থের জন্য করতে হয় না নিজের মনের আনন্দের জন্যই করা হয়। আসলে আমাদের বাড়ির পাশে একটা ক্লাব ঘর আছে ওখানে সব বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এবং আমার ছেলেকে আমি ওখানে নিয়ে গেছি খাই এবং খাইয়ে এনেছি। আসলে লাল ক্যাপসুলটা যে বয়স্ক মানুষ সকলেই খেতে পারে তো আমার জানা ছিল না। তারপর আমি একটা আমার ছেলের সঙ্গে খেয়ে আসি কারণ এই অভ্যাসটা আমার ছোটবেলা থেকেই আছে। আরে ক্যাপসুল টা নাকি চোখে জ্যোতি বারে। সত্যি এটা আমার জানা ছিল না তো আমি মনে হয় খেয়ে ভালোই করেছি ।
আপনি ক্লিনিক থেকে দুপুর 2 টার দিকে আসলেন এবং গোসল করে দুপুরে ভাত খাইয়ে নিলেন। তারপর বন্ধুদের পোস্টে কমেন্ট করলেন। সবকিছু মিলিয়ে আপনি একটি ব্যস্ত দিন পার করলে এবং আপনার ব্যস্ততাগুলো পরে খুব ভালই লাগলো। থ্যাঙ্ক ইউ।
জি আপু কিছু কিছু কাজ রয়েছে সেখানে অর্থ ছাড়াই কাজ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।। আর কিছু কিছু জায়গায় আছে সেখানে অর্থ দিল কাজ করার ইচ্ছা করে না।।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।।
আপনি একটি সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করলেন। ছোট ছোট শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে যোগ দিয়েছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আপনি অনেকগুলো শিশুকেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়েছেন। একটি ক্যাপসুল আপনি নিজেও খেয়ে নিয়েছেন। কারণ এটি চোখের জন্য অত্যন্ত সুফল বয়ে আনবে। অতঃপর আপনি বাড়ি ফিরে গেলেন এবং দুপুরের খাবার খেয়ে নিলেন। এরপর আপনি বন্ধুদের পোস্টে কমেন্ট করলেন। সব মিলিয়ে আপনি বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম। ভালো লাগলো।
সেবামূলক কাজ করতে আমার ভালই লাগে আর ক্লিনিক আমার বাড়ির পাশে হয় বেশ কিছু দায়িত্ব আমাকে দেয়।।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত এত সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার জন্য।।
ভাই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এমন মহৎ একটি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য। ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রতিবছর আমাদের দেশের শিশুদের খাওয়ানো হয়। আপনার লিখায় এই ক্যাপসুলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাই আশারাখবো এভাবেই সামাজিক বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিক বলেছেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রতিবছর শিশুদের খাওয়ানো হয় এটি সরকারের অনেক ভালো একটি উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আজ সারাদিন কমিউনিটি ক্লিনিক ছিলেন এবং আপনি আজকে দায়িত্ব পেয়েছিলেন শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো সেখানে আপনি আপনার আজকের সারাটা দিন ব্যস্ততার ভেতরে ছিলেন তার পরেও আপনি সুন্দর করে পোস্ট আমাদের মাঝে সাজিয়ে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই আমি সেখানে দায়িত্ব পেয়েছিলাম আর আমাদের একটা মিটিং ও হয়েছিল দুঃখের বিষয় সেখানে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি কোন এক কারণে।।
বেশ ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট পড়ে ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
হুম ভাই আমাদের এই খানেও মাইকিং করে বলা হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে ৷ সাধারনত এগুলো ছোট বাচ্চাদের ক্যাপসুল ৷ তবে আপনি এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন ৷ আর দায়িত্বতাও বেশ সুন্দর ভাবে পালন করেছেন ৷ সেই সব বিষয় গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বেশ ভালো লাগলো ভাই ৷
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷ নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন ৷ দিনটি আপনার শুভ হোক এই কামনাই করি সৃষ্টিকর্তার কাছে ৷
জি ভাই সারা বাংলাদেশে মাইকিং করা হয়েছে।। সরকার এই বিষয়গুলো নিয়ে খুবই সচেতন খুবই ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য।।
ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি ক্লিনিকে গিয়ে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করেন। ৫-১১ মাসের শিশুদের একটি করে নীল ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাসের শিশুদের একটি করে লাল ক্যাপসুল খাওয়ান। সবশেষে আপনি নিজেও একটি ক্যাপসুল খান আর আপনি মোট ১২০ জন শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ান। আসলে চমৎকার একটি দিন অতিবাহিত করেছেন ভাই।
এই ক্যাপসুল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও খেতে পারে কোন সমস্যা হয় না।। তাই আমি একটা খেয়েছিলাম।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।।
আপনার বাসার পাশের কমিউনিটির পক্ষ থেকে খুবই ভালো উদ্যোগ নিয়েছে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর। আপনি এই উদ্যোগে যোগদান করে খুবই মহৎ একটা কাজ করেছেন। ভিটামিন এ’র অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, বিশেষ করে চোখের জন্য তো এর উপকারিতা অপরিসীম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জি ভাই চোখের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ভিটামিন এ ক্যাপসুল।। অনেক মুরুব্বি মানুষ এসেও এক জন চেয়েছিল আমার কাছে কিন্তু অতিরিক্ত না থাকায় আমি তাদের দিতে পারিনি।।
আপনি অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন, শিশুদের ভিটামিন "এ" ক্যাপসুল খাওয়ানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মানুষের সেবা করা এটি অনেক মহৎ কাজ।
আসলে প্রত্যেক জনের জীবনে রুটিন মাফিক চলা দরকার, রুটিন মাফিক চললে সময়ে বরকত হয়। সময়ের কাজ সময়ে হয়ে যায়। আর রুটিন মাফিক না চললে সময়ের কাজ সময়ে করা যায় না।
আপনার দিনগুলো আরো ভালো কাটুক, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ক্লিনিকটা আর বাসার কাছে হয় বেশ কিছু দায়িত্ব আমাকে দেয় আর সেগুলো আমি পূর্ণাঙ্গভাবে করার চেষ্টা করি।।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।
ছোটবেলায় যখন এ-ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় হত তখন বাড়ির সব সমবয়সীরা একসাথে মিলে খাওয়ার জন্য যেতাম। তবে বাংলাদেশ সরকার অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ হচ্ছে বিনা-মূল্যে এই কাজটি। আজ আপনার সারাদিনের অনেক ব্যস্তময় সময় পার করেছেন। তবে এ-ক্যাপসুল খাওয়াতে তেমন ঝাামেলা পোয়াতে হয় না শুধু কেঁচি দিয়ে কেটে মুখের সামনে নিয়ে আলতো করে একটা চাপ দিলে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে আপনার সারাদিনের সকল কর্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
এখনো যারা সমবয়সী রয়েছে একসাথে এসে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খায়।। আর হ্যাঁ আমরা এক সময় এভাবেই দল বেধে এসে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়েছি।।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।।